আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
182 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ

১৯৯২ সালের  দিকে আমার আব্বা ১০০ মন ধান ও ২০ মন গম দিয়েছিল একজনকে। আড়াই বছর হয়ে যায় টাকা দিচ্ছিল না,

পড়ে আব্বা জমি কিনতে চাচ্ছিল শহরের মধ্যে,, পড়ে যার কাছে টাকা পায় সে বলছে আমি আপনাকে ১০ শতাংশ জমি কিনে দেব ৬০ হাজার টাকা দিয়ে(মানে ধান ও গমের টাকা ৬০ হাজার ধরছে)আব্বাও রাজি হয়েছে।যেই ব্যক্তির কাছে জমি নিবে তাকে ৪২ হাজার টাকা দিয়েছিল।।কিন্তু সে আব্বাকে  জমি লিখে দিতে গিয়ে আর দেইনি।।কারন ওই ব্যক্তি (আব্বা যার কাছে টাকা পায়)সে আবার জমির মালিকের কাছে ৩৮ হাজার টাকার টিন নিয়েছিল।।তারপর সে পরবর্তীতে আবার ২০ হাজার টাকা দিয়েছিল জমির মালিককে। আবার জমির মালিক আব্বাকে জমি লিখে দিতে চেয়েছিল,,এটা অনেকেই তখন জানত,,এবং সেও স্বীকার করেছে আব্বাকে জমি দিবে,,

আব্বাকে অনেক ঘুরাইছে কিন্তু  লিখে দেইনি,,পরবর্তীতে ওই জমির দাম ৪ লাখের মত হয়েছে,,তখন জমির মালিক বলছে আপনাকে জমি লিখে দিব না,, ৫ শতাংশ জমির টাকা দিব।কিন্তু পরবর্তীতে প্রায় ১৫ বছর পড়ে ৬০ হাজারের মত মনে হয় টাকা দিয়েছে,, তবে আমি এটা নিশ্চিত ৫ শতাংশ জমির টাকা দেইনি।

আর আব্বা যার কাছ থেকে টাকা পায় সে আর কোন টাকা  দেয়নি,,বরং পরবর্তীতে আব্বার কাছ থেকে আরও ১০ হাজার টাকা নিয়েছিল ওই জমির মালিককে দিয়ে জমি লিখিয়ে নিয়ে দিবে।।কিন্তু ওই টাকা জমির মালিককে দেইনি,,প্রায় ১০ বছর পর ওই ১০ হাজার টাকা ফেরত দিছে।আর আব্বার টাকার জন্য ১৪ বছর ঘুরছে পড়ে জমিও দেইনি টাকাও দেইনি,,আর আব্বার সাথে খুবই জঘন্য আচরণ করেছে।যা বলার মত না।

এখন তার (যাকে ধান দিছে))ছেলেরা বড় হয়ে বুঝতে পারছে তার বাবা অন্যায় করেছে। (এখন তার বাবা মৃত)। কয়েকদিন আগে তারা আব্বাকে তাদের বাসায় দাওয়াত দেয়,,অনেক কথা হয়।।তাদের কথা শুনে বুঝা যাচ্ছে তারা আব্বাকে এক  দেড় লাখ টাকা দিতে চায়,,কিন্তু আব্বা বলছে আমিত তোমাদের কাছে কখনও টাকা চায়নি।।আমার বিচার আল্লাহর কাছে দিছি।আর সেই জমি এখন প্রায় ৪০ লাখের উপরে হবে।আব্বা বলছে টাকা যদি দিতে চাও তোমার বাবা ১০ শতাংশ জমি দিতে চাইছে,,তাহলে ১০ শতাংশ জমি দাও, না হয় ১০ শতাংশ জমির  টাকা দেওয়া  উচিত না।।আর তোমার বাবা যে খারাপ ব্যবহার করছে,,যত বছর ঘুরাইছে ৫ কোটি টাকা দিলেও ত শোধ হবে না(আব্বার কষ্ট থেকে বলছে)

এখন তারা যদি দেড় লাখের মত টাকা দেয়,, এটা কি নেওয়া জায়েজ হবে??

আর জমির মালিককে  যে টাকা দেওয়া হয়েছিল সে তো আব্বারে জমি লিখে দিবে বলতে বলতে অনেক বছর নিয়ে গেল,, পড়ে তখনকার সময়ে ৫ শতাংশের দাম ধরে ২ লাখ দিতে চেয়ে আনুমানিক ১৫ বছর পর টাকা দিছে।।কিন্তু পুরো টাকা দেইনি,,এটা কি নেওয়া জায়েজ হয়েছে।।

উস্তাদ বিষয়টা অনেক জটিল।। যতটুকু পারছি বুঝানোর চেষ্টা করলাম।।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ১০ শতক জমির উপর যেহেতু চুক্তি হয়েছিলো,এরপর আর নতুন কোনো চুক্তি হয়নি,সুতরাং ১০ শতক জমিই আপনার বাবাকে ক্রয় করে তাদের দিতে হবে,নতুবা ঋন পরিশোধ হবেনা।
হ্যাঁ যদি আপনার বাবা তারা যে টাকা দিতে চাচ্ছে,এর উপর রাজি হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে সম্মতিসূচক সেই টাকা গ্রহন করলেও ঋন পরিশোধ হয়ে যাবে।

তবে আপনার বাবা যে জমির দলিল ইত্যাদি বাবদ পর্যায়ক্রমে অনেক টাকা দিয়েছে,সেই টাকাও ফেরত দিতে হবে।
,
★উল্লেখ্য যে জমির মালিকের কাছ থেকে আপনার বাবা যে টাকা গ্রহন করেছে,এর দ্বারাই মূলত আপনার বাবা জমির মূল্য নেয়ার উপর রাজি হয়েছে বলে ধরা হবে।
নতুবা তিনি সেই টাকা গ্রহন করলেন কেনো?

তাই এক্ষেত্রে আপনার বাবার জন্য অবশিষ্ট ৫ শতক জমি বাবদ ঋন গ্রহিতা বা তার প্রতিনিধিদের সাথে পরস্পর সম্মতিক্রমে যেকোনো সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
টাকা দিলে সেই টাকা গ্রহন করতে সমস্যা নেই।
ঝামেলা থেকে বাঁচতে উভয়ের সন্তুষ্টিতে এটিই করনীয় হবে বলে মনে হচ্ছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...