আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
উস্তাদ কাল সকালের ক্লাসে আমার বান্ধবী আসতে পারবে না,, এখন ও আমায় বলতেছে ক্লাসে কোনোভাবে ওর এটেন্ডেন্সটা যেন দিয়ে দেই।তো ওকে আমি বলছি এইটা জায়েজ না।ও তখন আমায় বলতিছে এখানে তো কারও ক্ষতি হচ্ছে না বরং আমার একটু সুবিধা হচ্ছে তাহলে কেন এইটা নিষেধ?
এখন আমি বলেছি এর মাধ্যমে তুমি অন্য যে আসলো না এবং এটেন্ডেন্স পেলো না তার হক নষ্ট করতেছো।

কিন্তু আমার মনে হচ্ছে ওকে আমি পুরোপুরি আশ্বস্ত করতে পারি নি। এখন আপনি যদি একটু উস্তাদ ব্যাখ্যা করেন ইনশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (675,920 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


ক্লাসে উপস্থিতির নূন্যতম একটা শতকরা হার এর  উপর ভিত্তি করে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দেবার অনুমতি দেয় , সেই শতকরা হার ঠিক রাখার জন্য বা অন্য কোনো কারনবশত কোনো এক ছাত্র/ছাত্রী ক্লাসে উপস্থিত না হলে অন্য কোনো  ছাত্র/ছাত্রী কে বলে আমার উপস্থিতিটা করে দিতে (যখন ওই অনুপস্থিত ছাত্র/ছাত্রীর নাম ডাকবে তখন লাব্বাইক স্যার /উপস্থিত স্যার বলা). আর এই উপস্থিতির কাজটা করে দেয়াকে প্রক্সি দেয়া বলে।

এখানে যে ক্লাশে নেই,সেও এসেছে বলে মিথ্যা হাজিরা দেয়া হয়,এটা স্পষ্ট মিথ্যা ও ধোকার শামিল, বিধায় তাহা কোনো ভাবেই জায়েজ হবেনা।


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রক্সি দেয়া মিথ্যা ও ধোকার শামিল হওয়ায় জায়েজ নয়।
ইহা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম বহির্ভূত কাজ।
সুতরাং আপনি আপনার সেই বান্ধবীর পক্ষ থেকে প্রক্সি দেয়া থেকে বিরত থাকবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...