আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহু। আমার হাসবেন্ডের পরিচিত এক প্রতিবেশী ভাই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছেন। গ্র‍্যাজুয়েশনের টাইম পার হয়ে গেলেও শেষ করতে পারেননি ওনার সাবজেক্টের পড়াশোনার সাথে খাপ খাওয়াতে পারেননি বলে। উনি বিয়ে করতে পারছেন না যেহেতু পড়াশোনা শেষ হয়নি, এবং বাসাতেও পড়াশোনা ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে জানাতে পারছেন না। এখন বিদেশে চলে যেতে চাচ্ছেন, এবং ওখানে নতুন করে পড়াশোনা শুরু করতে চাচ্ছেন।
এখন আমার হাসবেন্ড ভালো স্টুডেন্ট হওয়াতে উনি আমার হাসবেন্ডকে প্রক্সি হিসেবে ওনার পরীক্ষা দিয়ে দিতে বলছেন। কাজটাকে হারাম সাব্যস্ত করে আমার হাসবেন্ড ওনাকে না করেছেন যেহেতু এখানে ওই ভাইয়ের বাবা-মা সহ আরও অনেকে ধোকার মধ্যে পড়ছেন প্লাস অন্য শিক্ষার্থীদের হক নষ্ট হয়। কিন্তু উনি বিভিন্ন যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন যে এখানে কারোর ক্ষতি হচ্ছেনা বরং আমার হাসবেন্ডের সাহায্যের কারণে ওনার বিয়ে করা ও ইনকাম শুরু করা সহজ হবে এবং ওনার ভাষ্যমতে উনি ওনার এলাকার হুজুরের সাথে কথা বলেছেন এবং ওই হুজুরও নাকি বলেছেন সাহায্যের উদ্দেশ্যে অন্যের হয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেয়া জায়েজ।
উস্তাদ এমতাবস্থায় আমার হাসবেন্ডের করণীয় কি এবং প্রক্সি পরীক্ষা জায়েজ হবে কিনা এই বিষয়ে মাসায়ালা জানালে উপকৃত হবো ইন শা আল্লাহ। জাযাকুমুল্লহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (696,600 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-
যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)

ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
যে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্বামী অন্যজনের পরীক্ষা কখনো দিতে পারবেন না। আপনার স্বামীর জন্য তা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (696,600 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...