আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
আমাদের সমাজে প্রচলিত প্রথা হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন- আকিকা,কুলখানি,ইসালে সাওয়াব ইত্যাদি তে হুজুরদের দিয়ে দোয়া করিয়ে খাবার খাইয়ে আবার তাদেরকে টাকা দেওয়া হয়।হুজুরদের পাশাপাশি সেখানে সাধারন মানুষদেরও খাওয়ানো হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে এইসব অনুষ্ঠানে হুজুরদের দিয়ে দোয়া করিয়ে খাইয়ে তাদেরকে টাকা দেওয়া কি জায়েজ? আর সাধারন মানুষদের জন্যও কি এই খাবার খাওয়া জায়েজ?

২য় প্রশ্নঃ কারো বাড়িতে কেউ মৃত্যুবরণ করলে সেই মাইতের জন্য দোয়া করার জন্য যদি তারা কোনো এতিম খানায় চাল দান করে তাহলে কি সেটা জায়েজ হবে?
by (0 points)
হুজুর আপনাকে ইনবক্সে মেসেজ দিয়েছি একটু দেখলে খুবই উপক্রিত হতাম।

1 Answer

0 votes
by (679,600 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
https://ifatwa.info/63175/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
মাইয়্যিতের ঈসালে ছওয়াব এর লক্ষ্যে দাওয়াতের ইহতিমামের এই পদ্ধতি শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে প্রমানিত নয়।
 এবং মাইয়্যিতের ছওয়াব পৌছানোর নিয়তে যেই খাবার তৈরী করা হয়েছে,তাতে শুধু ফকিরদের হক রয়েছে।
ধনীরা তার মধ্যে শরীক হবেনা।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১/৩৯১)

তবে যেই খাবার মেহমানদারীর জন্য পাকানো হয়েছে,সেটা ধনীরা খেতে পারবে।
(ফাতাওয়ায়ে রশিদিয়্যাহ ১৫২, কিতাবুন নাওয়াজেল ১/৩৭২)

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ الۡعٰمِلِیۡنَ عَلَیۡهَا وَ الۡمُؤَلَّفَۃِ قُلُوۡبُهُمۡ وَ فِی الرِّقَابِ وَ الۡغٰرِمِیۡنَ وَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰهِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۶۰﴾

সাদাকাহ হচ্ছে শুধুমাত্র গরীবদের এবং অভাবগ্রস্তদের, আর এই সাদাকাহর (আদায়ের) জন্য নিযুক্ত কর্মচারীদের এবং (দীনের ব্যাপারে) যাদের মন রক্ষা করতে (অভিপ্রায়) হয় (তাদের), আর গোলামদের আযাদ করার কাজে এবং কর্জদারদের কর্জে (কর্জ পরিশোধে), আর জিহাদে (অর্থাৎ যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য) আর মুসাফিরদের সাহায্যার্থে। এই হুকুম আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, অতি প্রজ্ঞাময়।
(সুরা তওবা ৬০)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَحِلُّ الصَّدَقَةُ لِغَنِيٍّ وَلَا لِذِي مِرَّةٍ سَوِيٍّ»

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সদকার মাল ধনীদের জন্য হালাল নয়, সুস্থ সবলদের (খেটে খেতে সক্ষম) জন্যও নয়।
(আবূ দাঊদ ১৬৩৪, আত্ তিরমিযী ৬৫২, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক্ব ৭১৫৫, ইবনু আবী শায়বাহ্ ১০৬৬৩, আহমাদ ৬৫৩০, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১৪৭৮, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৭২৫১।)

وإن اتخذ طعاماً للفقراء کان حسناً، وأطال ذلک في المعراج۔ (شامی زکریا ۳؍ ۱۴۸، طحطاوي علی مراقي الفلاح، الجنائز / فصل حملہا ودفنہا ۵۱۰ مصر، کفایت المفتی ۴؍۱۱۶، فتاوی شیخ الاسلام ۱۵۱) 
সারমর্মঃ-
যদি শুধু ফকিরদের জন্য খানা তৈরী করে,তাহলে তাহা উত্তম।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আকীকার অনুষ্ঠানে খাওয়া,হুজুরকে হাদিয়া দেয়া সবই জায়েজ।

কুলখানীর উদ্দেশ্যে দাওয়াত দেয়া হলে সেই দাওয়াতে অংশ গ্রহন বিদ'আত।
তাই এক্ষেত্রে সেই দাওয়াতে অংশ গ্রহন করে দোয়া করলে,পরে হাদিয়া দেয়া হলে এক্ষেত্রে সেই দাওয়াতে অংশ গ্রহন বিদ'আত হওয়ায় হাদিয়া গ্রহন অনুমদিত হবেনা।

বিদ'আতী ভাবে নয়,বৈধ ভাবে ঈসালে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে দাওয়াত দেয়া হলে সেক্ষেত্রে হাদীয়া গ্রহন জায়েজ হবে।

এক্ষেত্রে মাইয়্যিতের ঈসালে ছওয়াবের জন্য রান্নাকৃত উক্ত খাবার যারা ধনী (নেসাবের মালিক), তারা খেতে পারবেনা।
এক্ষেত্রে হুজুর সহ সকলের একই হুকুম,ধনী হলে খাওয়া যাবেনা।

যারা যারা গরিব,নেসাব পরিমান সম্পদ মালিকানায় নে,,সেক্ষেত্রে তারা খাবার খেতে পারবেন।

আর সেই খাবার মেহমানদারীর জন্যেও পাকানো হলে ধনীরাও সেই খাবার খেতে পারবে।
তবে এক্ষেত্রে ধনীর খাওয়ার দ্বারা ঈসালে ছওয়াব হবেনা।

(০২)
হ্যাঁ, জায়েজ হবে।
এক্ষেত্রে এর ছওয়াব মাইয়্যিতের কবরে পৌছবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...