আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

পূর্ববর্তী প্রশ্নে মাসয়ালা ক্লিয়ার করতে বলেছিলেন এখানে করলাম।





স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে তুমি চাইলে এখন তালাক নিতে পারো,বা চলে যেতে পারো স্ত্রী তৎক্ষনাত স্পষ্ট হ্যা বা না বলেনা,তবে অস্পষ্ট কথায় কিছু কথা বলে, কিন্তু সেই কথায় তালাক নেয়ার নিয়াত ছিল কিনা জানিনা।।

তাহলে কি তালাক হবে?


অথবা আমার এই কথা বলার অনেক ক্ষন পর সে যদি বলে, 'ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি(তালাকের উদ্দ্যেশ্যে)' / বা কিছু না বলেই একবারে চলে যায়। তাহলে কি তালাক হবে?


২,শিক্ষক ক্লাসে আসলে দাড়ালে ত পাপ হয়।এক্ষেত্রে শিক্ষক কে না জানিয়ে কিভাবে না দাঁড়িয়ে থাকা যায়,পরামর্শ দিন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
https://ifatwa.info/36539/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে তুমি চাইলে এখন তালাক নিতে পারো,বা চলে যেতে পারো স্ত্রী তৎক্ষনাত স্পষ্ট হ্যা বা না বলেনা,তবে এই কথা বলার অনেক ক্ষন পর সে যদি বলে, 'ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি(তালাকের উদ্দ্যেশ্যে)' / বা কিছু না বলেই একবারে চলে যায়। তাহলে তালাক হবেনা।

হ্যাঁ যদি স্ত্রী বলে যে আমি গ্রহন করিলাম,বা নিজেকে নিজে তালাক দিলাম। তাহলে তালাক হবে।

প্রশ্নের শুরুর দিকে উল্লেখ রয়েছেঃ-
"স্ত্রী তৎক্ষনাত স্পষ্ট হ্যা বা না বলেনা,তবে অস্পষ্ট কথায় কিছু কথা বলে, কিন্তু সেই কথায় তালাক নেয়ার নিয়াত ছিল কিনা জানিনা"

এখানে সেই অস্পষ্ট কথায় সেকি উপরে উল্লেখিত বাক্য ব্যাতিত অন্য কিছু বলেছে? 
যদি বলে,তাহলে কি বলেছে? সেটি কমেন্ট বক্সে জানালে ভালো হবে।

(০২)
শিক্ষকের সম্মানার্থে দাড়ানো জায়েজ আছে,অনেকের মতে মুস্তাহাবও।
তবে শর্ত হলো শিক্ষকের মনে এই ব্যাপারে অহংকার না আসা এবং প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকের পক্ষ থেকে না দাড়ানোর উপর শাস্তির বিধান না থাকা।      

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মানার স্বার্থে শিক্ষকের সামনে দাঁড়িয়ে যেতে পারেন।
,
(তবে সবচেয়ে ভালো হয়,উক্ত লিংকের মাসয়ালা পুরাটা সম্ভব হলে শিক্ষককে দেখানো।
তাহলে ইনশাআল্লাহ শিক্ষক সব কিছু সমাধান করে দিতে পারবেন।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...