আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমার সামি তার আপন খালার(তার চেয়ে বয়সে ছোট ) সাথে সম্পর্কে জরিয়েছে। আমি বিয়ের আগেই জানতাম। তখন আমাকে বলেছিল তাকে ছেরে দিবে।কিন্তু এখন বলে তাকে ছাড়া সম্ভব না। তার পরিবারকে জানিয়েছি তারা আমাকে অবিশ্বাস করেছে। শুনেছি সে তার খালাকে বিয়ে করেছে। আমার তার খালার সাথে কয়েকবার কথা হয়েছে, সে ও আমাকে বলেছে সে কখনই আমার সামিকে ছারবেনা। আমি আমার সামিকে অনেক বুঝিয়েছি। সে নামাজ পরে রোজা করে কিন্তু এই অবৈধ সম্পর্ক সে ছারতে পারবেনা। আমার সাথে তার সম্পর্ক ভালো।  কিন্তু এসব নিয়ে কিছু বললেই আমার সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। আমিও তাকে ছারতে পারছিনা।

১)আমার তার সাথে সংসার করা কি পাপ হবে?
২) আমার সামি আমাকে তালাক দিতে চায়না, তাহলে কি আমাকে খোলা তালাক নিতে হবে?

৩) তার বাবা এখন সব বুঝতে পেরেছে।কিন্তু সে তাকে কিছুই বলেনা। এতে করে সে কি গুনাহগার হবেনা?

৪) ভয়ংকর বিষয় যে আমার সামির বড় খালা সব জানে এবং তাদেরকে সাপোর্ট করে। এত্তো কিছুর পরেও আমি তাকে ছারতে পারছিনা,  এতে কি আমি গুনাহগার হচ্ছি?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যেহেতু আপনার স্বামী এখনো আপনার সাথে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। বিচ্ছেদের আলোচনা করছেন না বা সেদিকে অগ্রসর হচ্ছেন না।এটা প্রমাণ করে সে আপনাকে ভালবাসে।হয়তো কোনো কারণে সে পরকিয়ায় লিপ্ত রয়েছে।তাই আমি মনে করি যে, আপনি তাকে পূর্ণ ভালবাসা প্রদাণ করুন।তার সাথে যথেষ্ট মায়াবী আচরন করুন।তার সামনে সু-সজ্জিত হয়ে আসুন।এবং প্রথম দিনের মত তাকে আগ্রহ ভরে দেখুন।এবং সাথে সাথে তাকে আখেরাতের ভয় প্রদর্শন করুন।বা ইসলামী বিধি-বিধান সম্পর্কে সম্মক অবগত করানোর চেষ্টা করুন।

আমি আপনাকে বিশেষ কয়েকটি নসিহত করবো-
(ক)
আপনার স্বামীর পরকিয়া সম্পর্কে অন্য কাউকে জানাবেন না।কেননা গোনাহে গোপন রাখা ওয়াজিব।তাই গোপন রাখার চেষ্টা করুন।

(খ)
পূর্ণ আগ্রহের সাথে তাকে সময় দিন।তাকে কখনো একা ছেড়ে দিবেন না।বরং সর্বদা তার সাথে লেগে থাকুন।তার সকল প্রকার পছন্দের জিনিষকে নিজের পছন্দ বানিয়ে তার সাথে সর্বদা থাকার চেষ্টা করুন।

(গ)
তার হেদায়তের জন্য দু'আ করতে থাকুন।

এসবের পরেও যদি কোনো প্রকার ফায়দা না হয় তথা যদি স্বামী পরকিয়া থেকে বিরত না থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় স্ত্রীর সামনে দু'টি পথ থাকবে-

(এক)
হয়তো স্ত্রী নিরবে সহ্য করে যাবে। এবং আল্লাহর কাছে হেদায়তের জন্য দু'আ করবে।

(দুই)
স্ত্রী তালাক চাইতে পারবে বা খূলা করতে পারবে।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। 
(সূরা ফাতির-১৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতে স্বামীকে বুঝিয়ে এই গোনাহের কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন।ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন।আল্লাহ অবশ্যই এর জন্য আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/295


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) পরক্রিয়ায় লিপ্ত স্বামীর সাথে সংসার করা স্ত্রীর জন্য পাপ হবে না।
(২) পরক্রিয়ায় লিপ্ত স্বামীর কাছ থেকে খুলা তালাকের আবেদন করা যাবে।

(৩) স্বামীর বাবা সব বুঝতে পারার পরও যদি সে তাকে কিছুই না বলে। তাহলে এতে করে সে দাইয়ুস হবে।তার গোনাহ হবে।

(৪) আপনি তাকে ছাড়তে পারছেন না, এজন্য আপনি গুনাহগার হবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...