ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
□
স্বামীর জন্য জরুরি
হলো স্ত্রীর অধিকার রক্ষা করা, তার সাথে সদব্যবহার করা।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন
ألا واستوصوا بالنساء خيرا، فإنما هن
عوان عندكم ليس تملكون منهن شيئا غير ذلك
শোন হে! তোমরা আমার পক্ষ হতে নারীদের প্রতি সদাচরণের উপদেশ গ্রহণ কর। তারা তো
তোমাদের কাছে আটকে আছে। তোমরা তাদের কাছ থেকে এছাড়া আর কিছুর অধিকার রাখো না। (জামে
তিরমিযী, হাদীস: ১০৮৩
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ
النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ كَانَتْ لَهُ امْرَأَتَانِ
فَمَالَ إِلَى إِحْدَاهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّهُ مَائِلٌ "
.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি দুই’জন স্ত্রী থাকা অবস্থায় তাদের একজনের প্রতি ঝুঁকে
পড়ল, ক্বিয়ামাতের
দিন সে পঙ্গু অবস্থায় উপস্থিত হবে। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/55107/
□
তাওবা ও ইস্তিগফার
মুমিন জীবনের সার্বক্ষণিক ওযীফা।
আল্লাহ তাআলা তো বলেছেন,
قُلْ يَاعِبَادِي الَّذِينَ أَسْرَفُوا
عَلَى أَنْفُسِهِمْ لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ
الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
বলুন, হে আমার বান্দাগণ
যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ
সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”। (সূরা যুমার-
৫৩)
হাদীসে এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনে সত্তর থেকে
এক শতবার তাওবা-ইস্তিগফার করতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬৩০৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৭০২)
রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করে-
التائب من الذنب كمن لا ذنب له
অর্থঃ গুনাহ থেকে তাওবাকারী ঐ ব্যক্তির ন্যায় যার কোন গোনাহ নেই। –সুনানে ইবনে
মাজাহ, হাদীস নং ৪২৫০
খাঁটিভাবে তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা অতীতের ছোট বড় সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন।
তবে বান্দার কোন হক নষ্ট করে থাকলে তাওবার পাশাপাশি তাকে তার হক তাকে বুঝিয়ে দেওয়া
বা মাফ চেয়ে নেওয়া জরুরী।
তওবার
পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/5905/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার স্বামীর জন্য উভয় স্ত্রীর মাঝে সমতা রক্ষা করা আবশ্যক। সুতরাং যদি সমতা
রক্ষা না করে তাহলে তার গোনাহ হবে।
২. আপনার অতীত নিয়ে বললে আপনার স্বামীকে এভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবেন যে-
‘দেখো, আমি অতীতে যেই অপরাধগুলো করেছি তাতে আমি অনুতপ্ত ও আল্লাহ তায়ালার কাছে
খাঁটি দিলে তওবা করেছি। আর গুনাহ থেকে তাওবাকারী ঐ ব্যক্তির ন্যায় যার কোন গোনাহ নেই।
সুতরাং আমাকে এভাবে থার্ডক্লাশ মেয়ে, গালি গালাজ ও বিশ্রি নামে ডাকা ঠিক হবে না।’
এর পরও যদি আপনাকে আপনার স্বামী আপনাকে এসব বলে তাহলে তার গোনাহ হবে। আর
ভালো মনে করলে আপনি আপনার বা তার পরিবারের লোক জনের সাথেও বিষয়টা বলে সমাধান করার
চেষ্টা করতে পারেন।
৩. বোন,
আপনি বেশী বশেী আপনার স্বামীর খেদমত করার চেষ্টা করবেন। খুব মহাব্বত
ও ভালো বাসবেন। আর আল্লাহ তায়ালার কাছে খুব বেশী বেশী দুআ করতে থাকবেন। বিশেষ করে তাহাজ্জুদের
নামাজ পড়ে। অন্তরকে পরিবর্তন করে দেওয়ার মালিক তো একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। দেখবেন, আস্তে আস্তে আপনার প্রতিও তার মহাব্বত ও ভালোবাসা বেড়ে যাবে।