আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
253 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
On behalf,
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,
আমি আমার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী।
আমার শারীরিক দূর্বলতা ও অসুস্থতার কথা যেনো ও আমাকে তিনি বিবাহ করেন। অন্যদিকে আমি ডিভোর্সি ছিলাম।
কিন্তু আমার দ্বীনের পথে আসার আগের কিছু গুনাহের কারণে আমাকে এখন তিনি অবহেলা করেন এবং আমার সাথে প্রায় খারাপ আচরণ করেন অপমান করেন।প্রথম স্ত্রীকে বেশি গুরুত্ব ও সন্মান করেন।আমাকে করেন না তেমন।
উনি যা করছে তা কি ঠিক করছেন।
আর আমি কিভাবে উনার মন জয় করতে পারি আমাকে সবসময় আমার অতিত নিয়ে কথা শুনায়, থার্ডক্লাশ মেয়ে ইত্যাদি ছাড়াও নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে। বিশ্রি নামে ডাকেন।
আমি কিভাবে এসব ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করতে পারি।

1 Answer

0 votes
by (62,920 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

স্বামীর জন্য জরুরি হলো স্ত্রীর অধিকার রক্ষা করা, তার সাথে সদব্যবহার করা।

 

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন

ألا واستوصوا بالنساء خيرا، فإنما هن عوان عندكم ليس تملكون منهن شيئا غير ذلك

শোন হে! তোমরা আমার পক্ষ হতে নারীদের প্রতি সদাচরণের উপদেশ গ্রহণ কর। তারা তো তোমাদের কাছে আটকে আছে। তোমরা তাদের কাছ থেকে এছাড়া আর কিছুর অধিকার রাখো না। (জামে তিরমিযী, হাদীস: ১০৮৩

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ كَانَتْ لَهُ امْرَأَتَانِ فَمَالَ إِلَى إِحْدَاهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّهُ مَائِلٌ " .

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি দুই’জন স্ত্রী থাকা অবস্থায় তাদের একজনের প্রতি ঝুঁকে পড়ল, ক্বিয়ামাতের দিন সে পঙ্গু অবস্থায় উপস্থিত হবে। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/55107/

 

তাওবা ও ইস্তিগফার মুমিন জীবনের সার্বক্ষণিক ওযীফা।

আল্লাহ তাআলা তো বলেছেন,

قُلْ يَاعِبَادِي الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (সূরা যুমার- ৫৩)

 

হাদীসে এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনে সত্তর থেকে এক শতবার তাওবা-ইস্তিগফার করতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস :  ৬৩০৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৭০২)

 

রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করে-

التائب من الذنب كمن لا ذنب له

অর্থঃ গুনাহ থেকে তাওবাকারী ঐ ব্যক্তির ন্যায় যার কোন গোনাহ নেই। –সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৪২৫০

 

খাঁটিভাবে তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা অতীতের ছোট বড় সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তবে বান্দার কোন হক নষ্ট করে থাকলে তাওবার পাশাপাশি তাকে তার হক তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া জরুরী।

তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/5905/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার স্বামীর জন্য উভয় স্ত্রীর  মাঝে সমতা রক্ষা করা আবশ্যক। সুতরাং যদি সমতা রক্ষা না করে তাহলে তার গোনাহ হবে।

২. আপনার অতীত নিয়ে বললে আপনার স্বামীকে এভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবেন যে- ‘দেখো, আমি অতীতে যেই অপরাধগুলো করেছি তাতে আমি অনুতপ্ত ও আল্লাহ তায়ালার কাছে খাঁটি দিলে তওবা করেছি। আর গুনাহ থেকে তাওবাকারী ঐ ব্যক্তির ন্যায় যার কোন গোনাহ নেই। সুতরাং আমাকে এভাবে থার্ডক্লাশ মেয়ে, গালি গালাজ ও বিশ্রি নামে ডাকা ঠিক হবে না।’

 

এর পরও যদি আপনাকে আপনার স্বামী আপনাকে এসব বলে তাহলে তার গোনাহ হবে। আর ভালো মনে করলে আপনি আপনার বা তার পরিবারের লোক জনের সাথেও বিষয়টা বলে সমাধান করার চেষ্টা করতে পারেন।

 

. বোন, আপনি বেশী বশেী আপনার স্বামীর খেদমত করার চেষ্টা করবেন খুব মহাব্বত ও ভালো বাসবেন আর আল্লাহ তায়ালার কাছে খুব বেশী বেশী দুআ করতে থাকবেন বিশেষ করে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে অন্তরকে পরিবর্তন করে দেওয়ার মালিক তো একমাত্র আল্লাহ তায়ালা  দেখবেন, আস্তে আস্তে আপনার প্রতিও তার মহাব্বত ও ভালোবাসা বেড়ে যাবে


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...