আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
মসজিদের ইমাম সাহেব আসতে দেরি করায় মসজিদের মুয়াজ্জিন দাড়িয়ে ইকামাত দেন। ইকামত চলাকালীন সময়েই  ইমাম চলে আসেন কিন্তু যিনি ইকামত দিয়েছেন তিনি জামায়াত পড়িয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় কী?  তখন কী ইমাম সাহেব নামাজ পড়াবেন নাকি যিনি ইকামত দিয়েছেন তিনি নামাজ পড়াবেন? বিস্তারিত জানিতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও ইকামত দিয়ে নিজেই ইমামতী করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
عن عقبة بن عامرالجهنى قال: كنت مع النبى صلى الله عليه وسلم فى سفر، فلما طلع الفجر أذن وأقام، ثم أقامنى عن يمينه (المصنف لابن ابى شيبة، كتاب الصلاة، باب ما كان يخفف القراءة فى السفر-3/254، رقم-3708)
সারমর্মঃ
উকবা ইবনে আমের আল জুহনী রাঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাথে সফর ছিলাম,যখন ফজর উদিত হলো,তখন তিনিই আযান দিলেন,ইকামত দিলেন,আমাকে নিয়ে নামাজ কায়েম করলেন।

وفى رد المحتار: وقد أخرج الترمذى أنه عليه الصلاة والسلام  فى سفر وصلى بأصحابه (الدر المختار مع رد المحتار، باب الاذان، مطلب هل بأثر النبى صلى الله عليه وسلم الأذان بنفسه-2/71
সারমর্মঃ-
রাসুলুল্লাহ সাঃ এক সফরে নিজেই আযান দিয়েছেন,ও নিজ সাহাবাদের নিয়ে নামাজ পড়েছেন।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যিনি ইকামত দিয়েছেন তিনিই যে জামায়াত পড়িয়েছেন,এতে কোনো সমস্যা হয়নি।

তবে ইমাম সাহেব যেহেতু চলেই এসেছিলো,তাই ইমাম সাহেবকে দিয়ে নামাজ পড়ানোই উত্তম ছিলো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...