আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
48 views
in সালাত(Prayer) by (100 points)
একজন বয়স্ক মহিলা, ৫৫এর বেশি বয়স, যিনি জীবনে কখনো সালাত আদায় করেননি, সালাত আদায় করতে পারেন ও না, কোনো সূরা ও পারেন না। তিনি এখন সালাত আদায় শুরু করতে চাচ্ছেন,

সে কীভাবে শুরু করবে?

কোনগুলো অবশ্যই তাকে শিখতেই হবে?

সূরা মুখস্থ করতে যতদিন না পারছে ততোদিন নামাজে কি পড়বে?

1 Answer

+1 vote
by (63,040 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

সূরা ফাতিহা

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (2) الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (3) مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ (4) إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ (5) اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ (6) صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ (7

সূরা ইখলাছ

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ (1) اللَّهُ الصَّمَدُ (2) لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ (3) وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ

 

সূরা কাউসার

إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ (1) فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ (2) إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللهِ كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا خَلْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قُلْنَا السَّلاَمُ عَلَى جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ السَّلاَمُ عَلَى فُلاَنٍ وَفُلاَنٍ فَالْتَفَتَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ اللهَ هُوَ السَّلاَمُ فَإِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ فَإِنَّكُمْ إِذَا قُلْتُمُوهَا أَصَابَتْ كُلَّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ أَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ.

শাকীক ইবনু সালামাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাযি.) বলেন, আমরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পিছনে সালাত আদায় করতাম, তখন আমরা বলতাম, ‘‘আস্সালামু আলা জিব্রীল ওয়া মিকাইল এবং আস্সালামু আলা ফুলান ওয়া ফুলান।’’ তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ আল্লাহ্ নিজেই তো সালাম, তাই যখন তোমরা কেউ সালাত আদায় করবে, তখন সে যেন বলে-

التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ

সকল মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ‘ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর আল্লাহর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক।’’ কেননা, যখন তোমরা এ বলবে তখন আসমান ও যমীনের আল্লাহর সকল নেক বান্দার নিকট পৌঁছে যাবে। এর সঙ্গে اَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন মা‘বূদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল)-ও পড়বে। (বুখারী শরীফ ৮৩১.৮৫৩, ১২০২, ৬২৩০, ৬২৬৫, ৬৩২৮, ৭৩৮১; মুসলিম ৪/১৬, হাঃ ৪০২, আহমাদ ৩৫৭৫)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৯৩)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

. তিনি এখন থেকেই নামাজ পড়া শুরু করে দিবে তবে  তিনি যেহেতু সূরা কিরাত জানেন না তাই আপাতত একজন  মহিলা যেভাবে নামাজ পড়ে অর্থাৎ দাঁড়ানো, রুকু, সিজদা, বৈঠক ইত্যাদি  যেভাবে করে তিনিও সেগুলো করবেন। সূরা কিরাত যত দিন মুখস্ত না হয় ততদিন এভাবেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে থাকবেন আর পাশা পাশি নামাজের সূরা কিরাতও মুখস্ত করতে থাকবেন এবং যতটুকু মুখস্ত হয় ততটুকু নামাজেও পড়তে থাকবেন

. প্রথমে তাকে সূরা ফাতিহা ও ছোট দুইটা সূরা, তাশাহুদ, রুকু-সেজদার দুআ মুখস্ত করাবেন

. পূর্বে যেহেতু অনেক নামাজ কাযা আছে আবার এখনও যতদিন সূরা কিরাত ছাড়া নামাজ পড়বেন তাকে ঐসব নামাজগুলো পরবর্তীতে কাযা করে নিতে বলবেন কাযা নামাজ পড়া সম্পর্কে আরো জানুন- https://ifatwa.info/50083?show=50103#a50103


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...