আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)
আমি কাউকে টাকা ধার দিলাম, সে ওই টাকা নিয়ে সুদের ব্যবসা বা এজাতীয় ব্যবসা করলো। ধার করা টাকা অল্প অল্প করে সে শোধ করে দিলো, অতিরিক্ত কোনো টাকা আমি গ্রহণ করলাম না। এতে করে ওই সুদের পাপের ভাগিদার কি আমি হবো কিনা?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো গুনাহের কাজ/অন্যায় কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই।
অন্যকে সেই কাজে সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই। 
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ    

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

অন্যকে টাকা করজ দেওয়ার ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো যাকে টাকা করজ দিবে,
আগে থেকেই যদি জানা যায় যে, সে হারাম কাজে লাগাবে, তাহলে এমন ব্যাক্তিকে করজ দিবেনা। 

কিন্তু যদি জানা না যায়,বা ভালো কাজে লাগাবে বলেই জানা যায়, তাহলে তাকে টাকা করজ দেওয়া জায়েয আছে।
,
এক্ষেত্রে তার গুনাহের ভাই করজদাতার উপর বর্তাবেনা।

কেননা আল্লাহ তা'আলা সামর্থ্যর অধিক দায়িত্ব কাউকে দেননা।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে।(সূরা বাকারা-১৮৬)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আগে থেকেই সে এহেন কাজ করবে বলে আপনি জেনে থাকেন,তাহলে তাকে করজ দেওয়া জায়েজ নেই।
,
আর যদি আপনি না জেনেই তাকে করজ দিয়ে থাকেন,তাহলে আপনার গুনাহ হবেনা।
তবে ভবিষ্যতে এহেন করজ দেওয়ার আগে জেনে বুঝে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...