আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম।
ক) হযরত কেউ যদি মানত করে যে আল্লাহ যদি আমার এই রোগ ভালো করে দেয় তাহলে আমি অমুক মসজিদে চাল আর মোরগ দেব। এই ধরনের মানত কি শিরক হবে? আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে মানত করা তো শিরক।কিন্তু আল্লহকেই রোগ সারানোর মালিক ভেবে কেউ যদি মানত  করে মসজিদে কিছু দিতে চায় এটা মসজিদের নামে মানত করা বোঝায়? এটা কি শিরক? শিরক হলে এটা কি পুরন করতে হবে? যদি পুরন করতে না হয় তাহলে এর কোনো কাফফারা আছে কি?

খ)আর যদি বলে আমার রোগ সারলে অমুক মসজিদে শুক্রবার দুই রাকাত নামাজ পরব। তাহলে কি সেই মসজিদে গিয়েই নামাজ পরতে হবে?
গ)আমার আগের কয়েক বছরের নামাজ কাযা হয়ে গেছে। আমি বলেছি যে আল্লাহ আমার এই সমস্যা না থাকলে আমি কাযা নামায গুলো প্রতি ওয়াক্তের নামাজ অই ওয়াক্তের সময় সুন্নত সহ আদায় করব। (আমার এই সমস্যা এখন আর নেই)। কিন্তু আমি এখন  আমার কথামতো নামাজ আদায়  করতে পারছি না।সুন্নত নামাজের কাযা আদায় করা আমার জন্য খুবি কঠিন হয়ে গেছে। এখন  পড়াই হচ্ছে না। এর কি কোন কাফফারা আছে নাকি এটা পুরন করতেই হবে?
by (589,140 points)
দয়াকরে নিজের নাম ইউজার নামে দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
https://www.ifatwa.info/56426 নং প্রশ্নোত্তরে আমরা হুবহু প্রশ্নের জবাবে বলেছি,
(১)
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻄﻴﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻠﻴﻄﻌﻪ ﻭﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻌﺼﻴﻪ ﻓﻼ ﻳﻌﺼﻪ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর অানুগত্যশীল কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে,সে যেন তা পূর্ণ করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যতা মূলক কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে, সে যেন তা পূর্ণ না করে।(সহীহ বোখারী-৬৩১৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/375


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মসজিদে দান করা একটি ইবাদত।মসজিদে দান করাটা মূলত আল্লাহর জন্যই হয়ে থাকে।তাই মসজিদে দান করার মান্নত করলে সেই মান্নত ওয়াজিব হয়ে যাবে।এখানে শিরক হবে না। কেননা মসজিদ আল্লাহর ঘর, আর মসজিদে আল্লাহর জন্যই দান করা হয়।

(২)
মসজিদে নামায পড়াও একটা ইবাদত। যা আল্লাহর জন্যই হয়ে থাকে। মসজিদের নামায পড়ার নিয়ত করে থাকলে, নামায পড়তে হবে।নামায পড়াটা একটা ইবাদত।

(৩)
ঐ মান্নতকৃত নামাযের কাযা আদায় করা ওয়াজিব। এর কোনো কাফফারা নাই।বরং কাযাই আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 111 views
...