আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
edited by
১. শিয়াদের কথা বর্ণনা কালে তাদের মুসলিম নামে সম্ভোধন করা যাবে?(যেমন, মুসলিম বা শিয়া মুসলিম)। শিয়াদের অনেক উপদল আছে যাদের থেকে একটি দল মুসলিমর সিমানার মধ্যে আছে, কিন্তু শিয়াদের কথা বর্ণনা কালে আমরা তো জানছিনা ওরাই সেই উপদল কি না?

২. আপনাদের জানা মতে ইরানের শিয়ারা কি মুসলিম পর্যায়ে রয়েছে? আমারা তাদের মুসলিম বললে সমস্যা হবে না তো?আমরা তো জানি না ওদের সম্পর্কে বিস্তারিত।

৩.শিয়াদের সম্পর্কে পড়ার সময় কেও একজন দেখলো শিয়াদের তিনটি ভাগ, ২য় টি হলো, যারা কয়েকজন সাহাবী ছাড়া সবাইকে কাফের বলে। এইটা দেখে সে ভূল পড়েছে,এবং ভেবেছে ওই দল কয়েকজনকে কাফের বলে। ভুল পড়ার পর সে ভেবেছিলো হয়তো লেখক ওই দলকে কাফের বলবেন না/বা ভেবেছিলো ওই দল হয়তো কাফের না(শিওর মনে নাই)। এর পর দেখলো ওই দল ও কাফের, অথচ সে জানতো সাহাবীদের কাফের বললে কাফের হয়ে যায়। তবুও হঠাৎ এমন ভাবনা কেনো আসলো বুঝতেছে না, এর পর থেকেই পেরেশানিতে আছে। এর জন্য কি ওই মানুষের ইমানে সমস্যা হবে? (তওবা ও করেছে)

৪. সাহাবী (রাঃ) দের মধ্যে কোনো একজনকে কাফের বললে (আস্তাগফিরুল্লাহ)সে কি আর মুসলিম থাকে?

৫. বিভিন্ন ছোট ছোট কাজে কথায় ই মনে হয় ইমানে সমস্যা হলো  কি না এই ভাবনায় অতিষ্ঠ প্রায়, তাই যখন ই সন্দেহ হয় তখনই কলিমা পাঠ করে ফেলি নবায়ন এর নিয়তে, এই কাজ সমস্যা হবে না তো?

৬. মুখস্থ সুরা তিলাওয়াত এর সময় যখন শব্দের হরকত ঠিক মনে থাকতো না, (যেমন,  কাফিরুন,  না কি কাফিরিন) এরুপ হলে আমি দুই শব্দ দিয়েই পুরো আয়ত দুইবার পড়তাম মনে মনে ভাবতাম এতে একটা তো শুদ্ধ হবে। কিন্তু অন্যটিযে ভুল পরছি তা খেয়ালে আসতো না, আজ হঠাৎ আসলো এরুপ করলে কি ইমানে সমস্যা হবে? বা আগে ভুলের কথা খেয়ালে না থাকা কালীন এরুপ করার কারণে কি ইামনে সমস্যা হবে? মনেও পরছে না তখন কি ভাবতাম,

৭. আমার একটা ঘটনা মনে উটতেছে, আমার বয়স তখন ৮/৯/১০ হবে শিওর মনে নাই, তখন ছোট অনেক এটা মনে আছে।, মনে হচ্ছে আমি কামের ভাব নিয়ে মায়ের শরীরে টাচ করেছিলাম, তখন তার গায়ে কাপড় ছিলো কামিজ, আমার  ফিল এর ফলে তখন গুপনাঙ্গ কিছু হয়েছিলো কিনা মনে নাই। এইসব থেকে সমস্যা হবে? অনেক আগের ঘটনা পরিষ্কার সব ঘটনা মনেও নাই,কখন ফিল এসেছিলো, আগে না ধরার পরে,মনে হচ্ছে নিয়তে স্পর্শ করেছিলাম, মনে পরছে না শিওর করে। পাগল হয়ে যাবো

৮.কামের নিয়ত নিয়ে স্পর্শ করলো কিন্তু লিঙ্গে রক্ত প্রবাহিত হয়ে কোনো পরিবর্তন হলো না, এতে কি হুরমত হবে?

৯. আমার মাথায় সারাদিন পুরাতন ঘটনা, বর্তমান ঘটনা এইসব নিয়া বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ের সন্দেহ লেগেই আছে কি করবো বুঝতে পারি না সারাটাদিন অসহ্য যন্ত্রণার মাঝে আছি একটা সমাধান বা আমল।কি দেওয়া যায় সাধারণ জীবনযাপন করার জন্য যেমনটা আগে করতাম।

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


ইসলামে বিভিন্ন দল হবে,হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " تَفَرَّقَتِ الْيَهُودُ عَلَى إِحْدَى وَسَبْعِينَ أَوِ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً وَالنَّصَارَى مِثْلَ ذَلِكَ وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً "

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামঃ বলেছেনঃ ইয়াহুদীরা একাত্তর অথবা বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল এবং খৃষ্টানেরাও অনুরূপ দলে বিভক্ত হয়েছিল। আর আমার উন্মাত বিভক্ত হবে তিয়াত্তর দলে।

হাসান সহীহঃ তিরমিজি ২৬৪০ ইবনু মা-জাহ (৩৯৯১) 

কিছু শিয়াদের আকিদা মারাত্বক পর্যায়ের।যেমন (১)বর্তমানে আমাদের সামনে যে কুরআনে কারীম রয়েছে,সেটা বিকৃত।
(২)হযরত আবু বকর উমর কাফির।
(৩) হযরত আয়েশা রাযিঃ এর ইফকের ঘটনা বাস্তব সম্মত।

এমন সব আকিদা গ্রহণ কারী অবশ্যই কাফির।
এতে সাথে কোনো রকম সম্পর্ক রক্ষা করা যাবে না।

শিয়া সংক্রান্ত জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
শিয়া মুসলিম বা শুধু শিয়া বলে সম্বোধন করা যাবে।

(০২)
তাদের অনেকে মুসলিম হিসেবেই আছেন।
তাই তাদের মুসলিম বললে সমস্যা হবেনা।
তবে তাদের অনেকেরই যেহেতু আবার শিয়াদের  কুফরি আকীদা মানেন,তাই তাদের শিয়া মুসলিম বলতে পারেন।

(০৩)
ঐ মানুষের ঈমানে সমস্যা হবেনা। 

(৪)
তাকে তওবা করতে হবে।
সে মুসলিম থাকবে।
তবে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত নয়। 
তওবা করার দরুন আর সমস্যা নেই।

(০৫)
বারবার ঈমান নবায়ন সমস্যা হবেনা।

(০৬)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৭)
এতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হবেনা।
আপনি এসব ভাবনা মনে আসতে দিবেননা।

(০৮)
এতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হবেনা।

(০৯)
এসব নিয়ে আর ভাববেননা।
তাহলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 128 views
...