আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (54 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
হুজুর আল্লাহ তায়ালা   সূরা আরাফের ১৮০ নম্বর আয়াতে বলেছেন যে, আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দর নাম সমূহ সুতরাং তোমরা তাঁকে  সেসব নামে ডাকো। আর তাদেরকে বর্জন করা যারা তাঁর  নামের বিকৃতি ঘটায়। তারা যা করত অচিরেই তাদেরকে তার প্রতিফল দেয়া হবে।

হুজুর এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বা তাফসীরে দেখলাম যে, দ্বীনের মধ্যে ইলহাদ হল বক্র পথ অবলম্বন করা ধর্মত্যাগী  হওয়া। আল্লাহর নামসমূহেব বক্রপথ অবলম্বন করা     তিনভাবে হতে পারে তার মধ্যে একটি হলো। যেমনঃ   আল্লাহর নাম কম করে দেওয়া বা  তাঁকে   একটি নির্দিষ্ট নামেই ডাকা ও অন্যান্য গুণবাচক নামে ডাকাকে খারাপ মনে করা।

হুজুর আমার প্রশ্ন হল, হুজুর আমি ফেসবুকে দেখছিলাম যে দোয়া করার সময় আল্লাহর গুনবাচক নাম ধরে আল্লাহকে ডাকতে হবে। যেমন  আমি রহমানুর রহিম গফুর রহিম বলে আল্লাহর কাছে দোয়া করি   আমি মনে করেছি যেহেতু কাহ্হার  অর্থ কঠোর  তাই আমি মনে করেছি দোয়ার সময় কাহ্হার       নামে ডাকা যাবে না।  আমি একদিন হাটতে হাটতে আল্লাহর কাছে দোয়া করার সময় কাহ্হার নামে আল্লাহ কে ডাকি। ডাকার পর আমার মনে হল  দোয়ার সময় তো কাহ্হার নামে ডাকা যাবে না তাই তখন আমার যতদূর মনে পরছে আমি আস্তাগফিরুল্লাহ পরি।   এভাবে দোয়ার সময় কাহ্হার নামে ডাকাকে খারাপ মনে করা বা ডাকার পর আস্তাগফিরুল্লাহ পড়া কি দ্বীনের মধ্যে ইলহাদের মধ্যে পরে। এর কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে। হুজুর আমি ভুল বোঝার কারনে    অই রকম করেছিলাম। হুজুর আমি পরবর্তীতে এক হুজুরের কাছে প্রশ্ন করলে হুজুর বলে যে সমস্যা হবে না।

২.হুজুর আমি ১ নং প্রশ্নের উত্তর আমি জেনেছিলাম ২০ -২৫ দিন আগে। হুজুর কালকে ১নং প্রশ্ন সংক্রান্ত একটা বিষয় আমি মনে মনে বলি বা ভাবি আর তা হল-
আমি মোবাইলে আল্লাহর উপর ঈমান সম্পর্কে   একটা লেখা পরছিলাম তখন সেই লেখার   উপরের কলামে মহান আল্লাহ তায়ালার    গুনাবলির বর্ননা দেয়াছিল আর নিচের কলামে এটা লেখা ছিল -

    এ পর্যন্ত আল্লাহ    তাায়ালকে  চিন বার জন্যে তাঁর কতগুলো সিফাতে কামালিয়া অর্থাৎ মহৎ গুনাবলির বর্ননা দেয়া হল।   এতদ্ব্যতীত যত মহৎ গুণ আছে  , আল্লাহ তায়ালা    তৎসমুদয় দ্বারা বিভূষিত।  ফলকথা,  সৎ ও  মহৎ যত গুন আছে    অনাদিকাল যাবত সেসব আল্লাহ  তায়ালার   মধ্যে আছে   এবং      চির কাল থাকবে।কিন্তু কোন দোষ ত্রুটির   লেশমাত্রও তাঁর মধ্যে   নেই। ( হুুুজুর   শেষেের    লাইনটা   পড়ার  আগেই,  যখন ফলকথা সৎ   ও মহৎ যত গুন এই শব্দগুলো  ) যখন পরছিলাম তখন আমার মনে হয় যে,আর  মন্দ গুণ  আমার তখন কাহ্হার অর্থ  যেহেতু কঠোর তাই   এটা মন্দ গুণ মনে হয় (আস্তগফিরুল্লাহ)। হুজুর আমি সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়ি।হুজুর যেহেতু   আমি  জানি আল্লাহর গুনবাচক সব নাম ধরে ডাকতে হবে। এভাবে জানার  পরও  এভাবে  মন্দ গুণ  মনে করা বা মনেমনে ভাবার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে। আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে।        (বিঃদ্রঃ  হুজুর প্রশ্নে উল্লেখিত আর মন্দ গুণ এই কথাটায় এক্টু সন্দেহ হচ্ছে কিন্তু আমি মন্দ গুণের কথা মনে করে কাহ্হার অর্থ কঠোর   এটা ভেবে এটা মন্দ গুণ ভাবি এবং সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়ি।)

৩.হুজুর  উপরের  প্রশ্নের কথা মনে করে আমি আজ সকালে খুব টেনশনে ছিলাম যে কোন সমস্যা হবে নাকি। তখন আমার মনে একটা কথা মনে হয় যে, মন্দ গুণ থাকলেও বলা যাবে না। এই কথা মনে মনে ভাবার বা মনে মনে  বলার সাথে সাথে আমি ইস্তিগফার পড়ি। হুজুর কারণে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?
৪.হুজুর আমি কিন্তু সুরা আরাফের ১৮০নং আয়াত      ২০-২৫ আগেই জেনেছিলাম। এবং তার তাফসির পরেছিলাম। তারপরও কাহ্হার অর্থ কঠোর  এটা মন্দ গুণ ভাবার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে। আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে।       হুজুর এটা মনে হওয়ার সাথে সাথে আমি ইস্তিগফার পরেছি।

৫.হুজুর আল্লাহ তায়ালা লেখার সময় আমি তায়ালা শব্দে অই চিনহ টা দিচ্ছি কিন্তু অন্য শব্দ আসতেছে। তায়ালা  বানান সঠিক না লেখার কারনে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৬.হুজুর এই প্রশ্নগুলো করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (686,800 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ لِلّٰہِ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی فَادۡعُوۡہُ بِہَا ۪ وَ ذَرُوا الَّذِیۡنَ یُلۡحِدُوۡنَ فِیۡۤ اَسۡمَآئِہٖ ؕ سَیُجۡزَوۡنَ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۸۰﴾

আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। অতএব তোমরা তাকে সেসব নামেই ডাক; আর যারা তার নাম বিকৃত করে তাদেরকে বর্জন কর; তাদের কৃতকর্মের ফল অচিরেই তাদেরকে দেয়া হবে।
(সুরা আ'রাফ ১৮০)

মহান আল্লাহ তায়ালাকে ডাকার জন্য মানুষ এমন ইচ্ছাধীন নয় যে, যে কোন শব্দে ইচ্ছা ডাকতে থাকবে, বরং আল্লাহ বিশেষ অনুগ্রহপরবশ হয়ে আমাদিগকে সেসব শব্দসমষ্টিও শিখিয়ে দিয়েছেন যা তার মহত্ত্ব ও মর্যাদার উপযোগী। কারণ, আল্লাহ্ তা'আলার গুণ-বৈশিষ্ট্যের সব দিক লক্ষ্য রেখে তার মহত্ত্বের উপযোগী শব্দ চয়ন করতে পারা মানুষের সাধ্যের উর্ধ্বে। 

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ 'আল্লাহ তা'আলার নিরানব্বইটি এমন নাম রয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি এগুলোকে আয়ত্ত করে নেয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [বুখারীঃ ৬৪১০, মুসলিমঃ ২৬৭৭]

‘ইলহাদ’ অর্থ ঝুঁকে পড়া এবং মধ্যমপন্থা থেকে সরে পড়া। কুরআনের পরিভাষায় ইলহাদ বলা হয় সঠিক অর্থ ছেড়ে তাতে এদিক সেদিকের ব্যাখ্যা- বিশ্লেষণ জুড়ে দেয়াকে। 

এ আয়াতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়াসাল্লামকে হেদায়াত দেয়া হয়েছে যে, আপনি এমন সব লোকের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলুন, যারা আল্লাহ্ তা'আলার আসমায়ে-হুসনার ব্যাপারে বক্রতা অর্থাৎ অপব্যাখ্যা ও অপবিশ্লেষণ করে।

আল্লাহর নামের অপব্যাখ্যা ও বিকৃতির কয়েকটি পন্থা হতে পারে। 
তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলোঃ আল্লাহ্ তা'আলার জন্য এমন কোন নাম ব্যবহার করা যা কুরআন-হাদীসের দ্বারা প্রমাণিত নয়।


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতটি ইলহাদের মধ্যে পড়েনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা। 
আপনার বিবাহের সমস্যা হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রেও আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা। 
আপনার বিবাহের সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এক্ষেত্রেও আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৬)
এই প্রশ্নগুলো করার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...