ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/28056/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ
রয়েছে যে,
হাদীসে নামাজে চুপ
থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ إِسْمَاعِيْلَ
بْنِ أَبِيْ خَالِدٍ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ شُبَيْلٍ عَنْ أَبِيْ عَمْرٍو
الشَّيْبَانِيِّ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي
الصَّلَاةِ يُكَلِّمُ أَحَدُنَا أَخَاهُ فِيْ حَاجَتِهِ حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ
{حَافِظُوْا عَلَى الصَّلَوٰتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطٰى وَقُوْمُوْا لِلهِ
قَانِتِيْنَ} فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوْتِ
যায়দ ইবনু আরকাম
(রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সালাতের মধ্যে
কথাবার্তা বলতাম আর আমাদের কেউ অন্য ভাইয়ের প্রয়োজন নিয়ে কথা বলতেন। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ
হয়ঃ حَافِظُوْا عَلَى الصَّلَوَاتِ
وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُوْمُوْا لِلهِ قَانِتِيْنَ তখন আমাদেরকে চুপ
থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। [বুখারী ৪৫৩৪.১২০০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৭৫)
حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، مُحَمَّدُ
بْنُ الصَّبَّاحِ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - وَتَقَارَبَا فِي لَفْظِ
الْحَدِيثِ - قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ حَجَّاجٍ
الصَّوَّافِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ،
عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ
بَيْنَا أَنَا أُصَلِّي، مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ عَطَسَ
رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ . فَرَمَانِي الْقَوْمُ
بِأَبْصَارِهِمْ فَقُلْتُ وَاثُكْلَ أُمِّيَاهْ مَا شَأْنُكُمْ تَنْظُرُونَ
إِلَىَّ . فَجَعَلُوا يَضْرِبُونَ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ فَلَمَّا
رَأَيْتُهُمْ يُصَمِّتُونَنِي لَكِنِّي سَكَتُّ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم فَبِأَبِي هُوَ وَأُمِّي مَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَبْلَهُ
وَلاَ بَعْدَهُ أَحْسَنَ تَعْلِيمًا مِنْهُ فَوَاللَّهِ مَا كَهَرَنِي وَلاَ
ضَرَبَنِي وَلاَ شَتَمَنِي قَالَ " إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ لاَ يَصْلُحُ
فِيهَا شَىْءٌ مِنْ كَلاَمِ النَّاسِ إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ
وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ "
আবূ জাফার মুহাম্মাদ
ইবনুস্ সাব্বাহ ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ..... মু'আবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস সুলামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, কোন এক সময় আমি রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সলাত আদায় করছিলাম। ইতোমধ্যে (সলাত আদায়কারীদের
মধ্যে) কোন একজন লোক হাচি দিলে (জবাবে) আমি "ইয়ারহামুকাল্প-হ" (অর্থাৎ-
আল্লাহ তোমার প্রতি রহম করুন) বললাম। এতে সবাই রুষ্ট দৃষ্টিতে আমার প্রতি তাকাতে থাকল।
তা দেখে আমি বললামঃ আমার মা আমার বিয়োগ ব্যথায় কাতর হোক। (অর্থাৎ এভাবে আমি নিজেকে
ভৎসনা করলাম)। কি ব্যাপার! তোমরা
আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছ যে? তখন তারা নিজ নিজ
উরুতে হাত চাপড়াতে থাকল। (আমার খুব রাগ হওয়া সত্ত্বেও) আমি যখন দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চায় তখন আমি চুপ করে রইলাম।
পরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম সলাত শেষ করলে আমি তাকে সবকিছু বললাম। আমার পিতা ও মাতা তার জন্য
কুরবান হোক। আমি ইতোপূর্বে বা এর পরে আর কখনো অন্য কোন শিক্ষককে তার চেয়ে উত্তম পন্থায়
শিক্ষা দিতে দেখিনি। আল্লাহর শপথ করে বলছি,
তিনি আমাকে ধমকালেন
না বা মারলেন না কিংবা বকাঝকাও করলেন না। বরং বললেনঃ সলাতের মধ্যে কথাবার্তা ধরনের
কিছু বলা যথোচিত নয়। বরং প্রয়োজনবশতঃ তাসবীহ,
তাকবীর বা কুরআন পাঠ
করতে হবে। (মুসলিম শরীফ ১০৮৬.ইসলামী
ফাউন্ডেশন ১০৮০, ইসলামীক সেন্টার. ১০৮৮)
নামাজ ভঙ্গের অন্যতম
একটি কারন হলোঃ-
নামাজের ভেতর কথা
বলা। নামাজে এমন কোনো অর্থবোধক শব্দ করা, যা সাধারণ কথার অন্তর্ভুক্ত
হয়ে যায়। (হোক সেটা এক অক্ষর বা দুই অক্ষরে ঘটিত) তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে
শামী ১/৬১৩, আল বাহরুর রায়েক : ২/২)
নামাজে মনোযোগ বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জানুন- https://ifatwa.info/54315/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
না,
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মনে মনে বলার দ্বারা নামাজ ভঙ্গ হবে না। তবে উচ্চারণ করে বা আওয়াজ করে বললে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।