بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/52645/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ
করা হয়েছ যে,
ইসলামী দৃষ্টিতে
স্বপ্ন তিন প্রকার।
১. যা আল্লাহর
পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।
২. শয়তানের
পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ
ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন
দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা। ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন
কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা
দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়।
৩. মানুষের
কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়।
হাদীস শরীফে
এসেছে
خَالِدُ بْنُ
مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا
سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا
رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ
مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو
سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا
هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.
আবূ ক্বাতাদাহ
হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন
দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে
তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
আবূ সালামাহ
বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭
মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন/বোন!
অনেক সময় আল্লাহওয়ালা ও মুত্তাকী ব্যক্তিবর্গ স্বপ্ন যুগে
ভবিষ্যত সংক্রান্ত কিছু বিষয় দেখে থাকেন। যদিও সেগুলি শরীয়তের কোন দলীল বা প্রমাণযোগ্য
কোন বিষয় নয়। তথাপি নিজের জন্য তাতে কিছু ইংগিত থাকে। প্রিয় ভাই আপনি যেই স্বপ্নটি
দেখেছেন, তাতে বুঝা যায় যে, দুনিয়া পরিবর্তনশীল। দিনের পর দিন প্রকাশ পাচ্ছে
কিয়ামতের বিভিন্ন আলামত। এজন্য সর্বদা নিজেকে পরকালের জন্য প্রস্তুত রাখা। বেশী
বেশী নেক আমলের প্রতি যত্নশীল হওয়া।