আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
96 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
সপ্নটা ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে কোনও এক সময় দেখা। ঠিক মনে নাই। কিছুদিন পরপর কমপক্ষে ২/৩ বার দেখেছি একই সপ্ন। আমি তখন স্কুলে ভর্তি হয়েছি মাত্র। ওইসময় বাসায় বড়দেরকেও বলেছিলাম। তারা ভেবেছে ছোট মানুষ ঘুমের মধ্যে কিছু দেখে ভয় পেয়েছে। খুব একটা পাত্তা দেয় নাই। এরপর মাঝের এতো বছর আমার এটার কথা মনেও ছিলো না। এখন বর্তমান পরিস্থিতি দেখে আবার মনে পড়েছে।

সপ্নটা অনেকটা এরকম:

বাংলাদেশের মধ্যে কোনো একটা ব্যাস্ত শহর(সম্ভবত ঢাকা)।আমি একটা বড় রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আছি। আমার সাথে হয়ত আরও কেউ ছিলো,  মনে নাই। চারিদিকে উঁচু উঁচু বিল্ডিং।রাস্তার উপর দিয়ে বিল্ডিংগুলার  কিনারা ঘেঁষে একটা ব্রিজ/ফ্লাইওভার চলে গেছে। আমি ফ্লাইওভার এর নিচে দাঁড়িয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে আছি। ফ্লাইওভার দিয়ে একটা ট্রেন যাচ্ছে আর আমি তাকিয়ে  দেখছি। ব্যাস এতটুকুই।

সপ্নটা যে সময় দেখেছি সেই সময় এই দৃশ্য কল্পনাই করা যায় না। তাই আমি ছোটবেলায় অনেক ভেবেছিলাম এটা নিয়ে, যে এইটা কিভাবে সম্ভব? মাথার উপর দিয়ে রেললাইন আর সেখানে এত ভারী ট্রেন কিভাবে চলতে পারে? একটা সময় আমি এটাকে আজগুবি চিন্তা বলে এড়িয়ে গেছি। কিন্তু এখন ঢাকার মেট্রোরেল-লাইন দেখে আমার আবার আগের কথা মনে পড়ে গেছে। একই দৃশ্য যা কিনা আমি ১৩/১৪ বছর আগে সপ্নে দেখেছিলাম। এটা মনে পড়লে আমার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। অস্থির লাগে। কি করব বুঝি না। এমন মনে হয় যে আমাকে কিছু একটা ইংগিত দেয়া হচ্ছে, যে যখন মাথার উপর দিয়ে ট্রেন যাবে তখন কিছু একটা হবে, কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না।

আমি কী করব?

1 Answer

0 votes
by (63,240 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/52645/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছ যে,

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার।

১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা। ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়।

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়।

হাদীস শরীফে এসেছে 

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭]

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন/বোন!

অনেক সময় আল্লাহওয়ালা ও মুত্তাকী ব্যক্তিবর্গ স্বপ্ন যুগে ভবিষ্যত সংক্রান্ত কিছু বিষয় দেখে থাকেন। যদিও সেগুলি শরীয়তের কোন দলীল বা প্রমাণযোগ্য কোন বিষয় নয়। তথাপি নিজের জন্য তাতে কিছু ইংগিত থাকে। প্রিয় ভাই আপনি যেই স্বপ্নটি দেখেছেন, তাতে বুঝা যায় যে, দুনিয়া পরিবর্তনশীল। দিনের পর দিন প্রকাশ পাচ্ছে কিয়ামতের বিভিন্ন আলামত। এজন্য সর্বদা নিজেকে পরকালের জন্য প্রস্তুত রাখা। বেশী বেশী নেক আমলের প্রতি যত্নশীল হওয়া। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...