আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
57 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত শাইখ। নিন্মের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার অনুরোধ। জাযাকাল্লাহ।
১. আমি বেশ কিছু দিন আগে স্বপ্নে দেখি আমার এক দ্বীনি বোনকে  আমার যাওজ মাসনা করেছেন। নানা জন নানা কথা বলছেন, কিন্তু তাকে আমি প্রটেক্ট করছি। কিন্তু আমি ভেতরে ভেতরে কষ্ট পাচ্ছি খুব, আবার এই ভেবে খুশি হচ্ছি যে আমি এবার এই বোনের কাছে তিলাওয়াতটা সহীহ করে ফেলতে পারব।

রিসেন্টলি আমি আবার দেখি আমার যাওজ মাসনা করেছেন এবং আমরা অনেকেই তার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে এটেন্ড করেছি এবং আমার হৃদয় ছিঁড়ে যাচ্ছে কষ্টে কিন্তু আমি কাউকে কিছুই  বলতে পারছি না।
এই স্বপ্নগুলোর ব্যাখ্যা কী হতে পারে উস্তাজ?

২. পরিধানের কাপড় বাইরে শুকোতে দিলে তা যদি রাতে বাইরে থেকে যায়  তাহলে কী কোনো সমস্যা হয় উস্তাজ? কাপড়টা পড়তে চাইলে কী আবার ধুয়ে দিতে হবে?
৩. উস্তাজ আমি দিনকে দিন গাফেল হয়ে যাচ্ছি। আমার শ্বশুর বাড়ির পরিবেশ দ্বীনি নয়, অনেকটা উচ্ছৃঙ্খল।  তার প্রভাব আমার উপর পড়ছে। বাচ্চাকে সঠিক তারবিয়াহ দেয়া কঠিন হয়ে উটছে। বাচ্চার বয়স এক বছর। তাকে সবাই মোবাইল দেখায়, নাচ-গান শেখাতে চায়। কিভাবে বাচ্চাকে ঠিকভাবে বড় করব?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,

হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্ন গুলো আপনার মনের কল্পনা প্রসূত স্বপ্ন বলেই মনে হচ্ছে।
সুতরাং কোনো সমস্যা নেই।
অহেতু টেনশন থেকে বিরত থাকবেন।

(০২)
এতে সমস্যা নেই।
সেই কাপড় পাক।
সুতরাং সেটি পরিধান করতে চাইলে ধোয়া লাগবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে আপনার স্বামীকে দিয়ে বাড়ির মানুষদের বুঝাতে হবে।
বাচ্চাকে যেনো তারা মোবাইল না দেখায়, নাচ-গান না শেখায়।

নিষেধের পরেও কাজ না হলে সেক্ষেত্রে তাদের কাছে সন্তান দিবেননা,এর জন্য যাহা ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন, সেসব ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

আপনার স্বামীর সামর্থ থাকলে প্রয়োজনে আলাদা বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে বলতে পারেন। (ভাড়া নিয়ে হলেও)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...