আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (40 points)
কোন বেক্তি তার স্ত্রীকে কোন কারনে যদি পুনরায় বিবাহ করে এবং প্রথমবার যেই দুইজন সাক্ষী রেখেছিল সেই  দুইজনই যদি আবারও  সাক্ষী হয় তাহলে তার বিবাহ শুদ্ধ হবে কি? পুনরায় বিবাহ করার সময় ইজাব বলার সময় "পুনরায় বিবাহ" কিংবা "বিবাহ নবায়ন" এই ধরনের বাক্য বলা জরুরি  কি?

আপনি উওর দিয়েছেন যে, তার বিবাহ শুদ্ধ হবে।
পুনরায় বিবাহ করার সময় ইজাব বলার সময় "পুনরায় বিবাহ" কিংবা "বিবাহ নবায়ন" এই ধরনের বাক্য বলা জরুরি নয়।

এখন প্রশ্ন (১) কোন বেক্তি তার স্ত্রীকে কোন কারনে যদি পুনরায় বিবাহ করে এবং পুনরায় বিবাহ করার সত্য কারনটা যদি তার স্ত্রীকেও এমনকি কাহাকেও না জানিয়ে যদি বলে যে, রাসুল  মসজিদে বিবাহ করেছে তাই আবার পুনরায় বিবাহ করতে চায়,এইভাবে কেও বিবাহ করলে তার পুনরায় বিবাহ কি শুদ্ধ হবে?

যিনি বিবাহ পড়াবেন অর্থাৎ কাজী তিনি যদি পুনরায় বিবাহ পড়ানোর জন্য বলে "কবুল একটাই হবে" এই বলে বিবাহ পড়ান আর যদি তিনি মন থেকে না পড়ান তাহলে পুনরায় বিবাহটা কি শুদ্ধ হবে?

প্রশ্ন (২)কোন বেক্তির উপার্জন  সুদের সাথে  জড়িত এখন অপর এক বেক্তি বেব্যসার জন্য সুদ ছাড়া তার ঐ সুদের  টাকা ঋণ নিয়ে বেব্যসা করলে তার বেব্যসার টাকা কি হারাম হবে?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
কোন ব্যাক্তি তার স্ত্রীকে কোন কারনে যদি পুনরায় বিবাহ করে এবং পুনরায় বিবাহ করার সত্য কারনটা যদি তার স্ত্রীকেও এমনকি কাহাকেও না জানিয়ে যদি বলে যে, রাসুল  মসজিদে বিবাহ করেছে তাই আবার পুনরায় বিবাহ করতে চায়,এইভাবে কেউ বিবাহ করলে তার পুনরায় বিবাহ শুদ্ধ হবে।

যিনি বিবাহ পড়াবেন অর্থাৎ কাজী তিনি যদি পুনরায় বিবাহ পড়ানোর জন্য বলে "কবুল একটাই হবে" এই বলে বিবাহ পড়ান আর যদি তিনি মন থেকে না পড়ান তাহলে পুনরায় বিবাহটা শুদ্ধ হবে।

(০২)
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
ব্যাংক লোন হারাম।কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।

ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন 

 ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করা জায়েজ নয়।

লোন গ্রহণ নাজায়েয ও হারাম। যদি লোনকে হালাল টাকা দ্বারা পরিশোধ করা হয়, তাহলে লোনের টাকা দ্বারা যা কিছুই করা হবে, তা জায়েয।পরবর্তীতে যত ইনকাম হবে, তার সবই জায়েয।
লোন গ্রহণের জন্য তাওবাহ করতে হবে।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জেনে শুনে সূদের টাকা ঋন নিয়ে ব্যবসা করা জায়েজ নেই।

তবে এভাবে ঋন নিয়ে ব্যবসার মুনাফা হারাম হবে কিনা,সেটি নির্ভর করবে ঋন পরিশোধ করছে কোন টাকা দিয়ে,সেটির উপর। 

যদি হালাল টাকায় লোন শোধ করে,তাহলে উক্ত ব্যবসার মুনাফা হালাল থাকবে।
আর যদি হারাম টাকায় লোন শোধ করে,তাহলে উক্ত ব্যবসার মুনাফা হারাম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (40 points)
ব্যবসার মুনাফার টাকা দিয়ে যদি ঋণ শোধ করে তাহলে ব্যবসার মুনাফার টাকা কি হালাল হবে? যিনি ঋণ নিয়েছেন তিনি  তার ভগনীপতির টাকা ঋণ নিয়েছেন আর ঐ বেক্তি তার বাবার থেকে যে পরিমান টাকা নিয়েছেন তা ঋণ নয় এমনি তার ছেলেকে দান করেছেন কিন্তু বাবার টাকার ভিতরে হারাম হালাল মিশ্র থাকতে পারে।যিনি টাকা নিয়ে বেব্যসা করছেন তার তো কোন টাকা পয়সা কিছুই  নেই আর তার বাবা তার ছেলেদের মধ্যে ম্পত্তির মেরাজ করেন নাই তিনি  বেচে  আছেন।এখন করনীয় কী।
by (682,440 points)
উক্ত ব্যবসার মুনাফার টাকা দিয়ে যদি ঋণ শোধ করেন তাহলে ব্যবসার মুনাফার টাকা হালাল হবেনা।

আপনি কাহারো থেকে হালাল টাকা ঋন নিয়ে ঋণ শোধ করতে পারেন।

এরপর থেকে যেহেতু ব্যবসা হালাল হয়ে যাবে,তাই 
পরবর্তীতে ২য় ঋন দাতাকে ব্যবসার মুনাফার টাকা দিয়ে যদি ঋণ শোধ করতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...