আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু ' আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

একজন বিধবার ৩ মেয়ে আছে। বড় মেয়েটির বিয়ে হয়ে গিয়েছে এবং তিনি অনেক দূরে থাকেন, তাই উনি এখন ২ মেয়ে নিয়ে থাকেন। বিধবার কোন ছেলে নেই। উপার্জনের কেউই নেই। স্বামীর রেখে যাওয়া ভাড়া ঘর থেকে যা আয় হয় উনি সেটা দিয়ে কোন রকম সংসার চালান। বিধবার স্বামী ২০১১ সালে ব্যাংকে একটি DPS করে যান। ২০১৯ সালে উনার স্বামী মারা যান। তখনও উনার সুদ হারাম হওয়া এবং তার ভয়াবহতা সম্পর্কে কোন ধারনা ছিল না। বর্তমানে তিনি তা সম্পর্কে ভালভাবে জানতে পেরেছেন এবং এগুলা থেকে বের হইয়ে আসতে চাচ্ছেন। সমস্যা হল উনার ৬,০০,০০০ টাকার মত ঋন আছে যা তিনি উনার স্বামী মারা যাওয়ার পর নিয়েছিলেন এক নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে। ঋনটি উনার স্বামীর নয়, উনার  নিজের আর ঋনটি তিনি তার ভাড়া ঘর গুলো সংস্কারের কাজে নিয়েছিলেন যা তার একমাত্র আয়ের উৎস। সংস্কার না করলে বাসা গুলো বাসযোগ্য হত না। DPS টি এই বছর (২০২২) এর সেপ্টেম্বরে ম্যাচিউরড হবে এবং তা থেকে তিনি সব মিলিয়ে ৩,২০,০০০ টাকা পাবেন। তিনি এই টাকা দিয়ে তার ঋন পরিশোধ করবেন ভেবে রেখেছিলেন এবং বাকি টাকা আসতে আসতে শোধ করবেন ভেবেছিলেন। এ কথা তিনি উনার পাওনাদারকেও বলে রেখেছিলেন। কিন্তু এখন সুদ সম্পর্কিত সকল তথ্য জেনে উনি সেটা নিয়ে ভীত এবং শংকিত।
এখন সম্মানিত মুফতিদের কাছে প্রশ্ন হল যেহেতু উনার অন্য কোন উপায় নেই এত বড় ঋন পরিশোধ করার, তাই উনি  DPS হতে প্রাপ্ত টাকাগুলো দিয়ে উনার ঋন পরিশোধ করতে পারবেন কিনা? এমতাবস্থায় উনার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (677,640 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "

 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।

 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
 (معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37

যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে সেটি ফকিরদেরকে সদকাহ করে দিতে হবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
সুদের টাকা দ্বারা ঋন শোধ করা ট্যাক্স দেওয়া জায়েয হবে না।

কারণ ঐ টাকা দিয়ে ঋন শোধ করলে বা ট্যাক্স দিলে তা নিজ প্রয়োজনেই ব্যবহার হয়।

★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঐ সূদের টাকা দিয়ে সেই বিধবা মহিলা তার ঋন শোধ করতে পারবেনা।
তার মূলধন থেকে সে তার ঋন শোধ করবে।

আর সূদের টাকা সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদেরকে সদকা করে দিতে হবে কিংবা জনকল্যাণমূলক কোন কাজে ব্যয় করতে হবে।যেমন, টিউবওয়েল স্থাপন, রাস্তা নির্মাণ ইত্যাদি। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...