আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহৃমাতুল্লাহ।  কেউ নিম্নোক্তভাবে প্রশ্ন করলে কি তালাক হব?

কেউ ধরেন  লিখেছেঃ

"আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

আমাকে স্বামি তালাকের অধিকার দিয়েছে।আপনাদের এখানে সন্দেহ নিয়ে নিজেকে তা....... দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে কি নিজের উপর তা.....  পতিত হবে? আমি প্রশ্ন লিখেছিলাম আবার ভয়ে কেটে দিছি।আমি জানার জন্য এবং সন্দেহ নিয়ে প্রশ্নটা করতে চেয়েছিলাম ভয়ে কেটে দিছি।এতে কোন সমস্যা হবে?""

১।সে নিজের প্রশ্ন নিজে ধরেন মাসআলা জানার জন্য উপরোক্তভাবে করলে কি তালাক হবে?

২।আর প্রশ্নটা ধরেন সে মিথ্যা বলার জন্য নিজের দিকে করতে চায় নি।ওয়াসওয়াসা আর সন্দেহ নিয়ে করতেচেয়েছিল কিন্তু করে নি।মনে মনে ওয়াসওয়াসা ছিল যে সেটা লিখে নি যেই প্রশ্নটা করতে চেয়েছিল সেটাতে।মাসআলা জানার জন্য,করতে চেয়েছিল।এতটুকুতে করতে চেয়েছিল।ভয়ে আবার কেটে দিয়েছিল।কোন প্রশ্ন করার দ্বারা কোন তালাক হবে কিনা সেই ভয়ে।প্রশ্নটা  সন্দেহ নিয়ে করতে চেয়েছিল।কিন্তুু সন্দেহের কথা প্রশ্নে লিখতে ধরেন ভুলে গিয়েছিল।আর প্রশ্নটা সন্দেহের ভিত্তিতে নিজের হয়েছে বলে প্রশ্ন করলে মাসআলা জানার জন্য তাহলে কি তালাক হয়?।এভাবে মাসআলা জানার জন্য যদি প্রশ্নটা করত যেটা কেটে দিয়েছিল সেটা করলে কি তালাক হতো?

৩।মনে হয় মেয়েটা সন্দেহের ভিত্তিতেও অন্য কারো দিকে ইন্গিত করে মানে অন্য কেউ বলেছে বলে প্রশ্নটা করেছে।২ নং প্রশ্নটা এমনিতে জানার জন্য মানে ওইরকম বললেও কোন তালাক হবে কিনা সেটা ভেবে প্রশ্নটা করেছি।এর কারনে কি কোন সমস্যা হবে?

৪।উপরের সব প্রশ্ন গুলো কি বুঝেছেন?

৫।উপরের সব প্রশ্নগুলো যার সে নিজে প্রশ্ন করলে কি তার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে? মানে মেয়েটাকে স্বামী তালাকের পাওয়ার দিলে যার প্রশ্ন সে করলে কি সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/36539/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
সে মাসয়ালা জানার জন্য নিজের প্রশ্ন নিজে উপরোক্তভাবে করলে তালাক হবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৩)
এর কারনে কোন সমস্যা হবেনা।

তবে নিজের দিকে ইঙ্গিত করে যদি স্পষ্ট ভাবে লিখে/বলে "আমি নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করলাম"
তাহলে তালাক হয়ে যাবে।

তবে নিজে নিজেকে তালাক প্রদান না করা সত্ত্বেও যদি  এভাবে বলে যে "আমি নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করেছি"

তাহলে মিথ্যা স্বীকারোক্তির দরুন তালাক হবেনা।

(০৪)
হ্যাঁ, উপরের সব প্রশ্নগুলো বুঝেছি।

(০৫)
না,এতে তার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবেনা।

তবে নিজের দিকে ইঙ্গিত করে যদি স্পষ্ট ভাবে লিখে/বলে "আমি নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করলাম"
তাহলে তালাক হয়ে যাবে।

তবে নিজে নিজেকে তালাক প্রদান না করা সত্ত্বেও যদি  এভাবে বলে যে "আমি নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করেছি"

তাহলে মিথ্যা স্বীকারোক্তির দরুন তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (40 points)
আসসালামুআলাইকুম ওরাহৃমাতুল্লাহ
কোন মুসলিমের মনে যদি ওয়াসওয়াসা আসে ভিন্ন ধর্ম গ্রহন করবে এমন।আবার পরে না না করলে মনে মনে তাহলে কি ঈমান চলে যাবে? এমনিতে ওয়াসওয়াসা আসলে?মুখে বলেছে কিনা জানে না তবে ওর ৯৮% মনে হচ্ছে বলে নাই।এমনিতে ওয়াসওয়াসা আসছিল যে।সাথে সাথে  না না করেছে মনে মনে। মুসলমান থেকে কি খারিজ হয়ে যাবে? দয়া করে উত্তর দিবেন।সে চায় না এমন হোক।সে খুব ভয়ে আছে।দয়া করে উত্তর দিবেন।


আর এই বিষয়ে জানার জন্য প্রশ্ন করলেও যার এমন ওয়াসওয়াসা আসছে সে প্রশ্ন করলেও মাসআলা জানার জন্য তাহলে কি ঈমানে সমস্যা হবে?
by (678,880 points)
এতে ঈমান চলে যাবেনা।

★আর এই বিষয়ে জানার জন্য প্রশ্ন করলেও যার এমন ওয়াসওয়াসা আসছে সে প্রশ্ন করলেও মাসআলা জানার জন্য তাহলে  ঈমানে সমস্যা হবেনা।
by (40 points)
edited by
১।শায়খ কোন গান যেখানে আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা আছে এসব গান তালাকের উদ্দ্যশ্যে ছাড়া গেয়ে ফেললে কি কোন সমস্যা হবে?মানে গান আগে বেশি গায়ত এমন মানুষ।এখন না গাওয়ার খুব চেস্টা করে।আগের চাইতে অনেক অনেক কম গায়।তবে মাঝে মাঝে গেয়ে ফেলে ।তহ এমন গান যেখানে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা আছে,আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা আছে এসব তালাকের নিয়ত ছাড়া এমনিতে গেয়ে ফেললে বা গাইলে বৈবাহিক সমস্যা হবে?আগেও বেশি গাইত যে তখন ও নিয়ত ছাড়া গাইলে বেৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?

২।একটা মানুষ সবসময় আপনাদের এই সাইটে প্রশ্ন করে।সবসময় হয়ত আপনার কাছে নয়ত ইমদাদুল হুজুরের কাছে।অন্য কোন সাইটে করে না।মানে তালাকের বিষয়ে আর কি।তহ কেমন জেন ওর মনে আস্থা চলে আসছে এই সাইটের প্রতি।তহ ওর মনে হয় যে অন্য সাইটে কঠিন করে উত্তর দিবে।বা ভয়ে মনের অন্য সাইটে প্রশ্ন করে না।যেমন এখানে ধরেন এমন কিছু প্রশ্নের উত্তরে তালাক হবে না বলেছে অন্য সাইটে করলে আবার হ্যা বললে? বা আরো বিষয়ে ওর ভয় চলে আসে মনে।আর সে মারাত্মক টেনশন করে ধরেন কোন একটা বিষয় নিয়ে।তহ মনে এসব রেখে অন্য সাইটে প্রশ্ন না করলে কি কোন গুণাহ হবে?সে সাধারন মানুষ জানে না কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক।সে যা জানতে পারে সেই অনুযায়ী আমল করার চেষ্টা করে।দয়া করে বলবেন কিছু মনে করিয়েন না।দয়া করে উত্তর দিবেন এই বিষয়ে টেনশন চলে আসছে ওর  নাকি আবার।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...