ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
রাসুল(ﷺ) ছিলেন ইসমাইল(আঃ) এর বংশধর। নবুয়ত লাভের পূর্বে সেই সময়ে চালু থাকা সঠিক ধর্ম ইব্রাহীম (আঃ) এর প্রচারিত ধর্ম পালন করতেন।
তিনি জীবনে কখনো মূর্তিপূজা করেননি এমনকি মূর্তি স্পর্শও করেননি। শিশুকাল থেকেই তিনি মূর্তিপূজা অপছন্দ করতেন।
তিনি কখনো মূর্তি স্পর্শ করেননি। একবার তিনি স্বীয় মুক্তদাস যায়েদ বিন হারেছাহকে নিয়ে কা‘বাগৃহ তাওয়াফ করছিলেন। সে সময় যায়েদ মূর্তিকে স্পর্শ করলে তিনি তাকে নিষেধ করেন। দ্বিতীয়বার যায়েদ আরেকটি মূর্তিকে স্পর্শ করেন বিষয়টির নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য। তিনি পুনরায় তাকে নিষেধ করেন। এরপর থেকে নবুঅত লাভের আগ পর্যন্ত যায়েদ কখনো মূর্তি স্পর্শ করেননি। তিনি কসম করে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) কখনোই মূর্তি স্পর্শ করেননি। অবশেষে আল্লাহ তাকে অহী প্রেরণের মাধ্যমে সম্মানিত করেন।
(ত্বাবারানী কাবীর হা/৪৬৬৮; হাকেম হা/৪৯৫৬, ৩/২১৬)
জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘যখন কাবাঘর পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছিল তখন নবী (সা.) ও আব্বাস (রা.) পাথর বয়ে আনছিলেন। আব্বাস (রা.) নবী (সা.)-কে বললেন, তোমার লুঙ্গিটি কাঁধের ওপর রাখো, পাথরের ঘষা থেকে তোমাকে রক্ষা করবে। (লুঙ্গি খুলতেই) তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন। তাঁর চোখ দুটি আকাশের দিকে নিবিষ্ট ছিল। তাঁর চেতনা ফিরে এলো, তখন তিনি বলতে লাগলেন, আমার লুঙ্গি, আমার লুঙ্গি। তত্ক্ষণাৎ তাঁর লুঙ্গি পরিয়ে দেওয়া হলো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৮২৯)
কা‘বা পুনর্নির্মাণ কালে দূর থেকে পাথর বহন করে আনার সময় চাচা আববাসের প্রস্তাবক্রমে তিনি কাপড় খুলে ঘাড়ে রাখেন। ফলে তিনি সাথে সাথে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। অতঃপর হুঁশ ফিরলে তিনি পাজামা কঠিনভাবে বেঁধে দিতে বলেন’ (বুখারী, মুসলিম)।
যদিও বিষয়টি সে যুগে কোনই লজ্জাকর বিষয় ছিল না। ইবনু হাজার আসক্বালানী(রঃ) উক্ত হাদীছের আলোচনায় বলেন, ‘এতে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ স্বীয় নবী-কে নবুঅতের পূর্বে ও পরে সকল মন্দ কর্ম থেকে হেফাযত করেন’।
(মুসলিম হা/৩৪০; বুখারী হা/৩৬৪)
আল্লামা ইবনে আসির (রহ.)-এর বর্ণনায় এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জাহেলি যুগের লোকেরা যেসব কাজ করত, দুবারের বেশি কখনোই সেসব কাজ করার ইচ্ছা আমার হয়নি। সে দুটি কাজেও আল্লাহর পক্ষ থেকে বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে। এরপর সে ধরনের কাজের ইচ্ছা কখনো আমার জাগেনি।’ তা হলো তিনি বকরি ও উট চরানোর সময় দুই দিন তিনি সঙ্গের বালকের কাছে পশু রেখে মক্কা নগরীতে হওয়া রাতের আড্ডায় অংশ নিতে আসেন। সেখানে গান-বাজনা হচ্ছিল। দুই দিনই আল্লাহ তাঁর কান বন্ধ করে দেন এবং তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। (আর-রাহিকুল মাখতুম, পৃষ্ঠা ৮০)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নবুয়তের পূর্বেও রাসুল (ﷺ) আল্লাহর মনোনীত দ্বীনের উপরেই ছিলেন; তিনি সে সময় সেই সব নির্দেশনাই পালন করতেন যা পূর্ববর্তী নবী-রাসুলগন আদিষ্ট হয়েছিলেন।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এরকম প্রশ্ন মনে আসার কারনে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
(০৩)
আপনার মনে এরকম হওয়াতে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
(০৪)
আপনার মনে যেসব ভাবনা এসেছিলো, এগুলো ভাবনা সবই ভূল ছিলো।
তবে প্রশ্ন করার দরুন আপনার ঈমানের সমস্যা হয়নি।
(০৫)
এর কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা । আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
(০৬)
এভাবে আপনার মনে হওয়ার কারনে বা মনে মনে ভাবার কারনে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
গুগলে সার্চ করার কারনেও কোনো সম্ভব হবেনা।
(০৭)
আস্তাগফিরুল্লাহ লিখা ঠিক হয়নি।
তবে এর কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা। আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
(০৮)
এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
(০৯)
ভূল হয়নি।
(১০)
তাদেরকে গালি দিলে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
(১১)
এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
(১২)
প্রশ্ন সঠিক আছে।
আস্তাগফিরুল্লাহ লিখতে হতোনা।
(১৩)
এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
তবে কুরআন শরীফ উপরের তাকে রাখাই আদব।
(১৪)
এভাবে আপনার বিরক্ত হওয়ার কারনে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
(১৫)
হ্যাঁ, ঠিক ছিলো।
(১৬)
এই সার্চ দেয়ার কারনে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
কেউ যদি না জানে যে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক কে। তাহলে তার ঈমানের সমস্যা হবেনা। তার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।