আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (54 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.  আমি ইউটিউবে একটি ভিডিও তে দেখেছিলাম যে    ওয়াসওয়াসা হলে সুরা হাদিদ এর  তিন নাম্বার আয়াত বেশি বেশি পরতে হবে। সুরা হাদিদ এর তিন নাম্বার আয়তের অর্থ হল -

তিনিই আদি, তিনিই অন্ত , তিনিই ব্যাক্ত, তিনিই  গুপ্ত  এবং তিনি সর্ব বিষয়ে স্যমক অবহিত।

তো একদিন আমি কোন ওয়েবসাইটে বা পেজে দেখছিলাম যে আল্লাহ তায়া’লা অনাদি অনন্ত। তো একদিন আমি নামাজ পড়ার সময় আমার মনে হয় যে,  আল্লাহ তায়া’লা অনাদি অনন্ত। আদি অন্ত  হবে না(আস্তাগফিরুল্লাহ)। তখন আমার মনে হয় যে এটা তো কুরআন শরীফের আয়াত। তখন আমার যতদুর সম্ভব মনে হচ্ছে আমি ইস্তিগফার পরেছিলাম। আমার সঠিক মনে হচ্ছে না। আমি না বোঝার কারনে অই রকম ভেবেছিলাম। আমার অইরকম ভাবার কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

২.  আমার এক নাম্বার প্রশ্ন লিখতে কোন ভূল হয়েছে কি?  এর কারনে আমার কোন সমস্যা হবে কি?

৩.  মানুষ ও সমগ্র সৃষ্টির জ্ঞান    আল্লাহর জ্ঞানের কোন একটি অংশবিশেষকেও পরিবেষ্টিত করতে পারে না।  কিন্তু আল্লাহ তায়া’লা যাকে  যে পরিমাণ   জ্ঞান দান করেন  শুধু ততটুকুই পেতে পারে। আল্লাহ তায়া’লার জ্ঞান অসীম। তাঁর সৃষ্টি মানুষের জ্ঞান সসীম। আমি এই কথাটা না বোঝার কারনে উল্টা করে বলতাম   এভাবে না বোঝার কারনে উল্টা করে বলার কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে? শায়েখ আমার প্রশ্নটি বুঝতে পেরেছেন আমি কি কথা উল্টা করে বলতাম?                                                           
৪.আমার তিন নাম্বার প্রশ্ন লিখতে কি কোন ভুল হয়েছে?  এর কারনে কি কোন সমস্যা হবে?

৫. আমি অনেক দিন আগে আপনাকে একটি প্রশ্ন করেছিলাম প্রশ্ন টি হল -  ফেসবুকে অনেক মেয়েদের কে দেখা যায় যে তারা ফেসবুকে পর্দা করে বা বোরখা পরে টিকটক করে বা নাচের ভিডিও দেয়। তখন মানুষ সেটাকে নিয়ে ট্রল করে।  সেই  ট্রলের ভিডিওতে   ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে একটা গান প্রায়ই শোনা যায় তা হল কনফার্ম জান্নাতি কনফার্ম জান্নাতি । এই রকম গান শুনে কেউ যদি হাসে বা এইরকম গান গেয়ে ট্রল করে তাহলে কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?
এর উত্তরে আপনি বলেছিলেন যে এইরকম গান শুনে কেউ যদি হাসে তাহলে তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে না।  তবে এগুলো দেখা, শোনা জায়েজ  নেই।   এইরকম গান গেয়ে কেউযদি  ট্রল করে এতে জান্নাত নিয়ে ট্রল করা হলে তার ঈমানের সমস্যা হবে। নতুবা ঈমানের সমস্যা না হলেও এগুলো নাজায়েয কাজ।                                                                        
এখন আমার প্রশ্ন হল আমি বোরখা টিকটক বা নাচের ভিডিওর কারনে অই গান বাজার কারনে সম্ভবত হেসেছিলাম। কিন্তু গান গেয়ে ট্রল করেছিলাম নাকি আমার মনে নেই। কিন্তু আমি যখন বুঝতে পারি যে এগুলো বলা যাবে না। তখন আমি সসম্ভবত ইস্তিগফার পরেছিলাম। এই রকম ভাবার কারনে যদি বলি এই বলার কারনে আমার ঈমানের কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 
(أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ) [البقرة: 85]

তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ব্যতীত তাদের কী প্রতিদান হতে পারে? (সূরা বাক্বারাহ ২:৮৫)।

অপর আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَالَّذِينَ كَفَرواْ وَكَذَّبُواْ بِآيَاتِنَا أُولَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী; অন্তকাল সেখানে থাকবে।[বাকারাহ : ৩৯ ]

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এখানে কুরআনের কোনো আয়াতকে অস্বীকার করা হয়নি,ঠাট্রাও করা হয়নি।
তাই আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
ঐ রকম ভাবার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা। আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
ভূল হয়নি। কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৩)
না জানা ও না বুঝার কারনে না বোঝার কারনে উল্টো করে বলার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা। আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

(০৪)
ভূল হয়নি। কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এই বলার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...