আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (54 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি কুরআন পড়ছিলাম তার সাথে বাংলা অনুবাদ ও পড়ছিলাম। তখন সুরা নিসার ৭৭ং আয়াতের অনুবাদ পড়ছিলাম। আয়াতের অনুবাদ হল- তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যাদেরকে বলা হয়েছিল, তোমরা তোমাদের হাত সংযত রাখ, নামায কায়িম কর এবং যাকাত দাও? অতঃপর যখন তাদের প্রতি  জিহাদ ফরয করা হল, তখন তাদের একদল মানুষকে এমন ভয় করতে লাগল যেমন আল্লাহকে ভয় করা উচিত, বরং তার চেয়েও বেশী  এবং বলতে লাগল,  'হে আমাদের প্রতিপালক ! কেন আমাদের প্রতি জিহাদ ফরয করলে, আমাদেরকে আরও কিছু অবসর দিলে না কেন?' বল,  'পার্থিব ভোগ সামান্য, যে তাকওয়া অবলম্বন করে তার জন্য আখিরাতই উত্তম, তোমাদের প্রতি বিন্দুমাত্র অন্যায় করা হবে না। '              
এখন আমার প্রশ্ন হল-  
১.সুরা নিসার ৭৭ নং আয়তের অনুবাদ পড়ার পর   আমি মনে মনে ভাবি বা আমার মনে হয় যে জিহাদ কি পরবর্তীতে রহিত করা হয়েছে নাকি?( আস্তাগফিরুল্লাহ)। এই মনে করে আমি আয়াতের তাফসির দেখি।
আমার এইরকম মনে হওয়ার কারনে বা মনে মনে ভাবার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?  যেহেতু আমি অইরকম মনে হওয়ার কারনেই আয়াতের তাফসির দেখি।

২.আয়াতের অনুবাদ লেখার সময় চিনহ গুলো যদি সঠিক না থাকে বা লিখতে যদি ভূল হয় তাহলে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? কারন আয়াতের অনুবাদ লিখতে দুইটা চিনহ ভুল হয়েছে এই জন্য কোন সমস্যা হবে?

৩.আমার ১ নং প্রশ্ন লিখতে কি কোন ভুল হয়েছে?
ইউটিউবে আমি একটি ভিডিও তে দেখেছিলাম  যে নাজায়েজ কাজে বা অনেক খেলা ধুলায় ইনশাআল্লাহ বল্লে অনেক সময় ঈমান নিয়ে সমস্যা হবে।  তো এখন আমার প্রশ্ন হল-

1. কেউ যদি কারো প্রতি আকর্ষন অনুভব করে। তাকে নিয়ে   বিভিন্ন খারাপ চিন্তা ভাবনা করে। এই জন্য অই ব্যক্তি যদি এগুলো থেকে বেড়িয়ে আসতে চায় এবং  আল্লাহর  কাছে এভাবে দোয়া করে। আল্লাহ আমার মন থেকে ওগুলো  ( মানে তার প্রতি আকর্ষন বা তাকে নিয়ে খারাপ চিন্তা ভাবনা) দূর করে দাও। এভাবে দোয়া করা যাবে?  এভাবে আল্লাহর কাছে    দোয়া করলে কি কোন সমস্যা হবে?

2.জমি জমার কেসের জন্য যদি দুই এক্টা মিথ্যা কথা বলতে হয়। এখন কেউ যদি এভাবে দোয়া করে যে,  আল্লাহ আমাকে যেন আর মিথ্যা কথা বলতে না হয়। এভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  বিবাহের কোন সমস্যা হবে? এবং বলে যে আল্লাহ আমাকে যেন আর মিথ্যার ভেতর যেতে না হয় এভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করলেও কি কোন সমস্যা হবে?

3. ইমাম যদি  কেরাত দীর্ঘ করে আর মুক্তাদি যদি বিরক্ত হয় তাহলে কি মুক্তাদির এই বিরক্ত হওয়ার কারনে কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৪.ইমাম যদি কেরাত দীর্ঘ করে এবং মুক্তাদি যদি বায়ু চেপে রেখে নামাজ পড়ে এবং কেরাত দীর্ঘ করার কারনে মুক্তাদি যদি বিরক্ত হয় সেখেত্রে কি বিরক্ত হওয়ার কারনে তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 
(أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ) [البقرة: 85]

তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ব্যতীত তাদের কী প্রতিদান হতে পারে? (সূরা বাক্বারাহ ২:৮৫)।

অপর আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَالَّذِينَ كَفَرواْ وَكَذَّبُواْ بِآيَاتِنَا أُولَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী; অন্তকাল সেখানে থাকবে।[বাকারাহ : ৩৯ ]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি তো আয়াতকে অস্বীকার করেননি।
তাই এইরকম মনে হওয়ার কারনে বা মনে মনে ভাবার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৩)
আয়াতের অর্থে সমস্যা নেই।

1.
এভাবে দোয়া করা যাবে।  এভাবে আল্লাহর কাছে  দোয়া করলে কোন সমস্যা হবেনা।

2.
প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

3.
না,তার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
এরকম বিরক্ত হওয়ার দৃষ্টান্ত ছাহাবায়ে কেরামের জীবনিতেও পাওয়া যায়।

(০৪)
সেক্ষেত্রে তার বিরক্ত হওয়ায় তার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...