আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.আমি কালকে এশার নামাজ পড়ার সময় আমার মনে হয় যে আমি ফজরের নামাজ পরেছিলাম নাকি সন্দেহ  হয়। তখন আমি এশার চার রাকাত   ফরজ পড়ার পর এশার দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ পড়ি। তারপর আমি ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ কাযা আদায় করি। আমি বিতরের নামাজ পড়িনি। কারণ  আমি একটি ভিডিওতে দেখেছিলাম যে বিতরের নামাজের আর কোন নামাজ নেই। এজন্য আমি বিতরের আগে ফজরের কাজা নামাজ আদায় করি এবং তার পর আমার মনে হয় যে এখন যদি বিতরের নামাজ পড়ি তাহলে নামাজ তো নিয়ম মত হল না। এজন্য আমি    মনে মনে নিয়ত করি যে তাহলে আজকে বিতরের নামাজ তাহাজ্জুদের সময় পরব। আমার এভাবে বিতরের আগে ফজরের নামাজ কাজা আদায় করার কারনে আমার ফজরের কাযা নামাজ আদায় হয়েছে কি?         এবং বিতরের পরে কোন নামাজ পরা যাবে না এজন্য তাহাজ্জুদএর সময় বিতরের নামাজ পড়ার কথা চিন্তা করার কারনে বা এরকম চিন্তা করার কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

২.আমি ১ নাম্বার প্রশ্নে বলেছি যে বিতর নামাজ তাহাজ্জুদের সময় পরব। কিন্তু আমি ঘুমের কারনে উঠতে পারিনি। একেবারে ফজরের ওয়াক্তের শেষ মুহুর্তে উঠে শুধু অজু করে দুই রাকাত ফরজ নামাজ পরেছি। কিন্তু আমার অজু করার সময় আমার বায়ু বের হওয়া নিয়ে সন্দেহ হয়। তবুও আমি অজু শেষ করে শুধু ফজরের দুই রাকাত ফরজ       নামাজ পড়ি।  দুই রাকাত ফরজ  নামাজ পড়ার পর আমার মনে হয় যে  আমার মনে হয় অজু করার সময়    বায়ু বের হয়েছিল । আমি নামাজের ২য় রাকাতে মনে হয় সুরা মিলাই নি। তারপর আমার রাসুল সাঃ এর বায়ু বের হওয়া সম্পর্কে হাদিসের কথা মনে হয়। তখন আমি মনে মনে ভাবি যে যেখানে রাসুল সাঃ এর হাদিস আছে যে একজন সাহাবির বায়ু বের হওয়া নিয়ে সন্দেহ হয়েছিল।       তাহলে তো আর সন্দেহ থাকার কথা নয়। তবুও আমার সন্দেহ হয়   এজন্য আমি ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ কাজা আদায় করার পর  ফজরের  দুই রাকাত ফরজ নামাজ আবার  আদায় করি। এভাবে বায়ু বের হওয়ার সন্দেহর কারনে ফজরের নামাজ দুই বার পড়ার কারনে কি হাদিস অবমাননা হবে?  এর কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

৩.যেহেতু আমি ঘুমের কারনে তাহাজ্জুদের সময় উঠতে পারিনি। এজন্য আমি বিতর নামাজ পরতে পারনি। এজন্য আমি সূর্য উঠার পর ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত পরি, ফজরের দুই রাকাত ফরজ আগেই পরেছিলাম কিন্তু  অজুর সময় বায়ু বের হওয়ার সন্দেহে   আবার ফরজ নামাজ পড়ি। ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়ার পর আমি বিতরের নামাজ কাযা আদায় করি। এভাবে বিতরের নামাজ কাযা আদায় করলে কি বিতর নামাজের কাজা আদায় হবে?

৪.ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত দুই রাকাত ফরজ তারপর বিতরের কাযা নামাজ পরার পর  আমি দুই রাকাত   সালাতুদ্দোহা নামাজ পড়ি। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যে এখন একসাথে সালাতুদ্দোহা নামাজ পরলে হবে না নাকি এই জন্য পরে পরব। কিন্তু আমার মনে হয় যে, আমার এই রকম ভাবনার কারনে পরে পরলে গুনাহ হবে নাকি এইজন্য আমি একসাথে সালাতুদ্দোহা নামাজ পড়ি। আমার এরকম ভাবনার কারনে কি আমার গুনাহ হবে হবে?

৫. আমি সাহেবে তারতিব সম্নধে পরছিলাম।  সাহেবে তারতিবের হুকুম সম্নধে পরছিলাম । তখন আমি মনে মনে ভাবছিলাম যে আমি সাহেবে তারতিব নয়। আমার উপর এই হুকুম নয়। সাহেবে তারতিবের হুকুম আমার উপর নয় এজন্য আমি মনে মনে এক্টু  খুশি হয়েছিলাম (আস্তাগফিরুল্লাহ)। আমার উপর সাহেবে তারতিবের হুকুম আসবেনা এজন্য মনে মনে খুশি হওয়ার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে ?

৬.আমার ৫নাম্বার প্রশ্ন  ২নাম্বার প্রশ্নের হাদিসের কথা  লিখতে কোন ভূল হয়েছে কি?

1 Answer

0 votes
by (677,280 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَفَلَ مِنْ غَزْوَةِ خَيْبَرَ فَسَارَ لَيْلَةً حَتَّى إِذَا أَدْرَكَنَا الْكَرَى عَرَّسَ وَقَالَ لِبِلَالٍ " اكْلأْ لَنَا اللَّيْلَ " . قَالَ فَغَلَبَتْ بِلَالاً عَيْنَاهُ وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى رَاحِلَتِهِ فَلَمْ يَسْتَيْقِظِ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم وَلَا بِلَالٌ وَلَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى إِذَا ضَرَبَتْهُمُ الشَّمْسُ فَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَوَّلَهُمُ اسْتِيقَاظًا فَفَزِعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " يَا بِلَالُ " . فَقَالَ أَخَذَ بِنَفْسِي الَّذِي أَخَذَ بِنَفْسِكَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللهِ فَاقْتَادُوا رَوَاحِلَهُمْ شَيْئًا ثُمَّ تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم وَأَمَرَ بِلَالاً فَأَقَامَ لَهُمُ الصَّلَاةَ وَصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ قَالَ " مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللهَ تَعَالَى قَالَ (أَقِمِ الصَّلَاةَ لِلذِّكْرَى) " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তনের একরাতে বিরতিহীনভাবে সফর করতে থাকলে আমাদের ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়। ফলে শেষ রাতে তিনি যাত্রা বিরতি করেন এবং বিলাল (রাঃ)-কে বলেনঃ তুমি জেগে থাকবে এবং রাতের দিকে লক্ষ্য রাখবে। কিন্তু বিলাল (রাঃ)-ও নিদ্রাকাতর হয়ে তার উটের সাথে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ফলশ্রুতিতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, বিলাল এবং তাঁর সাহাবীদের কারোরই ঘুম ভাঙ্গল না। অতঃপর সূর্যের তাপ তাদের গায়ে এসে পড়লে সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাগলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অস্থির হয়ে বললেনঃ কি হলো বিলাল! বিলাল বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! যে সত্তা আপনাকে অচেতন রেখেছেন, আমাকেও তিনিই অচেতন রেখেছেন। অতঃপর তারা নিজেদের বাহন নিয়ে কিছু দূর অগ্রসর হওয়ার পর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযু করলেন এবং বিলালকে নির্দেশ করলে বিলাল ইক্বামাত দিলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকলকে নিয়ে ফজরের সলাত আদায় শেষে বললেনঃ কেউ সলাত আদায় করতে ভুলে গেলে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই উক্ত সলাত আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘‘আমার স্মরণার্থে সলাত প্রতিষ্ঠা কর।’’ (সূরা ত্ব-হা ১৪)
(আবু দাউদ ৪৩৫)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ফজরের কাযা নামাজ আদায় হয়েছে।

বিতরের পরে কোন নামাজ পরা যাবে না এজন্য তাহাজ্জুদএর সময় বিতরের নামাজ পড়ার কথা চিন্তা করার কারনে বা এরকম চিন্তা করার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।  আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
এভাবে ফজরের নামাজ দুই বার পড়ার কারনে হাদিস অবমাননা হবেনা।
এক্ষেত্রে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।  আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

তবে এভাবে পুনরায় ফজরের নামাজ পড়া ঠিক হয়নি।
২য় বার যেটি আদায় করেছেন,সেটি নফল বলে গন্য হবে।

(০৩)
হ্যাঁ, এভাবে বিতিরের নামাজের কাজা আদায় করলে আদায় হয়ে যাবে।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বিতরের নামাজের কাজা আদায় হয়ে গিয়েছে।

(০৪)
আপনার এরকম ভাবনার কারনে গুনাহ হবেনা।

(০৫)
আপনার উপর সাহেবে তারতিবের হুকুম আসবেনা, এটি মনে করে মনে মনে খুশি হওয়ার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।  আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

(০৬)
হ্যাঁ এমনটি হাদীসে আছে।
সুতরাং এটি সহীহ কথা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...