আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম।
(১)  সিগারেটের, জর্দার যেই তামাক আছে, সেটা যদি ভিজা অবস্থায় ধরা হয়, তাহলে কি হাত নাপাক হিয়ে যাবে?
(২) কেউ যদি ওয়াশরুমের থেকে বেরিয়ে এসে তার ভিজা হাত আমার শরীরে লাগায় এবং সে স্পর্শ করার কারনে আমার শরীরে পানি লাগে, তাহলে কি আমার শরীরের সেই স্থান নাপাক ধরবো?
(২.১) কারন, আমি তো জানি না যে, সে নিজেকে ওয়াশরুম থেকে সঠিকভাবে পাক করে এসেছে কিনা। আর সে যে তার ভিজা হাত নিয়ে আমার শরীরে স্পর্শ করেছে এবং আমার শরীরে পানি লেগেছে সেই পানি পাক বা নাপাক নাকি জানি না। আর লজ্জার কারনে তো তাকে জিজ্ঞাসাও করতে পারবো না যে সে নিজেকে ঠিক মতো পাক করে এসেছে কিনা। তাহলে কি করবো?

(৩) মশা শরীর থেকে রক্ত খাওয়া অবস্থায় যদি সেই মশা হাত দিয়ে মারা হয় এবং শরীরে রক্ত লাগে, তাহলে কি সেই রক্ত শরীরে লাগার কারনে শরীর নাপাক হয়ে যাবে?

★পায়ের মধ্যে চর্মরোগ হওয়ার কারণে পা অনেক চুলকাচ্ছে। তাই পা চুলকানোর ফলে পায়ের থেকে পানি জাতীয় তরল পদার্থ বের হচ্ছে। এখন পা থেকে অল্প অল্প কিন্তু অনবরত করে সেই তরল বের হচ্ছে। বারবার মুছার পরেও সেই তরল বের হচ্ছে।

নিচে আমার পায়ের অবস্থার ছবির লিংক দেওয়া হলঃ

https://drive.google.com/file/d/1_3ThwyRN5APyM-sFdHKVGbHmcQ4hiEnH/view?usp=drivesdk

(৪.১) এখন এই অবস্থায় কি আমি মাযুর?
(৪.২) আর আমি যদি মাযুর হয়ে থাকি তাহলে হয়তো আমি পাঁচ ওয়াক্তের নামায পাঁচবার অজু করলেই পড়তে পারব কিন্তু পায়ের টাখনুর নীচে প্রায় অনেক অংশ থেকেই এই তরল বের হচ্ছে। এত জায়গায় তো একসাথে ব্যান্ডেজ করা সম্ভব না। এখন মাযুর হওয়ার কারণে হয়তো নামাজ পড়তে পারব কিন্তু সেই তরল তো কিছু করতে গেলেই আমার হাতে বা বিভিন্ন জায়গায় লাগতেছে অথবা আমি জুতা পড়ে নামাজে গেলে সেই জুতাতে লাগতেছে। তাহলে আমি যদি বাসা থেকে অজু করে যাই এবং আমার পায়ের থেকে সেই তরল বের হয়ে যদি জুতায় লাগে তা মসজিদে গিয়ে আবার সেই জুতা ও আমার পা ধুতে হবে নাকি একবার অজু করে গেলে যদি পরবর্তীতে সেটা বের হতে থাকে তাহলে কি সমস্যা হবে না?
(৪.৩) আমার হাত বা কোন কিছু হঠাৎ করে আমার পায়ের সেই ক্ষত স্থানে লাগলে সেই তরল আমার গায়ে লাগতেছে অথবা আমি ফ্লোরে হাঁটাচলা করলেও সেই তরল ফ্লোরে লাগতেছে। এখন আমি যেখান দিয়েই হাঁটবো সেখানেই কি নাপাক হয়ে
 যাবে? (যদি আমি মাযুর হয়ে থাকি)
এখন আমি হয়তো নামাজ পড়তে পারতেছি পাঁচ ওয়াক্তের কিন্তু সেই নাপাক বিভিন্ন জায়গায় লাগার কারণে যেমনঃ মসজিদে নামাজ পড়লে মসজিদের ফ্লোরে অথবা বিছানায় উঠে বসলে বিছানার চাদরে। এমন অবস্থায় করণীয় কি?

(৫) তেলাপোকার যেই ডিম, সেই ডিম যদি পাড়া দেই এবং সেটা ভেঙে যায়, তাহলে কি পা নাপাক হয়ে যাবে?

(৬) "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" নাকি "বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম"
এখানে সঠিক কোনটা? এখানে প্রথমটা যদি সঠিক হয় কিন্তু কেউ যদি দ্বিতীয় টা বলে অথবা দ্বিতীয় টা যদি সঠিক হয় কিন্তু কেউ প্রথমটা বলে তাহলে কি ভুল হবে? নাকি এখানে উভয় টাই সঠিক?

1 Answer

0 votes
by (676,800 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
এতে হাত নাপাক হয়ে যাবেনা।

(০২)
সেই ভেজা হাত আপনার শরীরে লাগালে আপনার শরীর নাপাক হবেনা।

(২.১)
আপনি পাক হিসেবেই ধরবেন।
তবে সেই পানি হতে নাপাকির গন্ধ পেল আপনি সেই ভেজাকে নাপাক ধরবেন।

(০৩)
মশার রক্ত নাপাক নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

হাসান বসরী, আতা, আবু জাফর, উরওয়া প্রমুখ তাবেয়ীগণ থেকে বর্ণিত আছে যে, কাপড়ে মাছি-মশার রক্ত লাগলে কোনো সমস্যা হবে না। তবে এক্ষেত্রে গেঞ্জি পরিবর্তন করে নেওয়া বা ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া যে ভালো তা তো স্পষ্ট। 

(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২০৩১, ২০৩২, ২০৩৩)

আরো জানুনঃ- 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শরীরের সেই স্থানকে আপনি পাক ধরবেন।

(৪.১)
নামাজের পুরো ওয়াক্ত জুড়ে এই সমস্যা থাকলে আপনি মা'যুর।

(৪.২)
নামাজের পুরো ওয়াক্ত জুড়ে অনবরত এই ভাবে তরল বের হলে আপনি মা'যুর।
এক্ষেত্রে একবার অজু করে গেলে যদি পরবর্তীতে সেটা বের হতে থাকে তাহলে কোনো সমস্যা হবেনা।

(৪.৩)
হ্যাঁ, সেই স্থানই নাপাক হয়ে যাবে।

(০৫)
এতে পা নাপাক হয়ে যাবেনা।

(০৬)
উভয়টিই সঠিক।
তবে আপনি "বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম" লেখার/বলার চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 138 views
0 votes
1 answer 145 views
...