শায়েখ, আমার বউ এর নাম মারিয়া, ও অনেক বছর আগে ২০১৭-১৯ সালের দিকে ফেসবুকে তার আইডির নাম একটা ইংরেজি নামে রেখে দেয় ""মারিয়া মার্গারেট"। পরে অবশ্য বদল করে বিয়ের অনেক আগেই।
আজকে তাকে এই বিষয়ে জিগ্যাস করলাম যে সে কেনো আইডির নাম এই রকম দেওয়ার কারণ কি?মানুষ খ্রিষ টান ভাবুক এই নিয়ত ছিলো কি না? সে বললো """ এই রকম কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না, এমনিই দিয়েছিলো,, এটা বলে বললো "তবে ভাবতাম মানুষে হয়তো খ্রিস্টান ভাব্বো, ভাব্লে ভাবুক""এমন মাইন্ড নিয়া দিছিলো। তবে কেও জিগ্যেস করলে সব সময় বলতো মুসলিম। এমনটাই বললো।
সে নামাজ পরে বা প্রতিদিনই কলিমা শাহাদাৎ পাঠ করে, তাকে জিগ্যাস করলাম এই অভয়াস বিয়ের আগে থেকে ছিলো কি না। বললো বিয়ের আগে থেকেই মনে হয় পড়ছে, শিওর করে বলতে পারছে না। তবে সে কালিমার অর্থ জানতো না। আমাদের বিবাহিত জীবন দেড় বছর চলে।
১. সে কি তখন কাফের হয়ে গেছিলো? হলে আমাদের বিবাহের কি রায়্?
২. তাকে কি পুরাতন ম্যাসেজ গুলো চ্যাক করে কাওকে মজা করেও খ্রিষ্টান দাবী করেছিলো কি না তা খোজ করা দরকার?
৩. কেও যদি এই তথ্য জানে না যে মজা করে জেনে শুনে নিজেকে কদফের দাবী করলেও কাফের হয়ে যায়। তবেও কি কাফের হবে?
৪.অনেক আগে আমার মা কে বাবা বলেছিলেন, "ফালতু নামাজ থেকে তোমার ঘরের কাজ জরুরী" ( নফল নামাজের লম্বা কিরাত পড়া নিয়ে বাবা বলেছিলেন")। এর পরে উনাকে আবার জিগ্যেস করেছিলাম নামাজকে ফালতু বলছেন কি না। উনি বলেছিলেন নামাজকে ফালতু বলেন নি । যতোটুক মনে পরছে ওই সময় সুরতহাল সহ একজন মুফতিকে জানিয়েছিলাম উনি বলেছিলেন যে, সংসারে কোনো সমস্যা হবে না। এখন আবছা মনে পরছে বিস্তারিত মনে পরছে না। এখন কি করণীয়, উনাদের সমস্যা হয় নি তো? আসলে সন্দেহ থেকে আমার জিগ্যেসা আমার শুধু পুরাতন এইসব ঘটনা আবছা মনে পরে বিস্তারিত পরেও না ভালো করে।আর শুধু সন্দেহ হয়। প্রথম অংশ একটা জায়গায় লেখা পাওয়ায় আবার মনে হলো না হয় এগুলো মনেও ছিলো না
(উল্লেখ্য, ফালতু, ফালতো /বিশেষণ পদ/ অনাবশ্যক; অপ্রয়োজনীয়; অতিরিক্ত, বাজে।ফালতু শব্দের একটা অর্থ বাড়তিও হয়)