ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে,
(তরজমা) এবং কোনো (দেনাদার) যদি অসচ্ছল হয়, তবে সচ্ছলতা লাভ পর্যন্ত তাকে অবকাশ দেওয়া উচিত। আর যদি সদাকাই করে দাও, তবে তোমাদের জন্য সেটা অধিকতর শ্রেষ্ঠ, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। (সূরা বাকারা (২) : ২৮০)
হাদীস শরীফে এসেছে,
তোমাদের পূর্ববর্তী এক লোকের হিসাব নেওয়া হলে তার কোনো নেক আমল পাওয়া যায়নি। তবে সে মানুষের সাথে লেনদেন করত এবং বিত্তবান ছিল। কর্মচারীদের প্রতি তার এ নির্দেশ ছিল যে, অক্ষমদের যেন তারা মাফ করে দেয়। আল্লাহ বললেন, মাফ করার সক্ষমতা তো ওর চেয়ে আমার বেশি। এরপর তিনি ফিরিশতাদেরকে আদেশ দেন তাকে মাফ করে দেওয়ার।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৬১)
অন্য এক হাদীসে এসেছে, যে অক্ষমকে সুযোগ দেয়, আল্লাহ তাআলা তাকে কিয়ামতের দিন তাঁর আরশের ছায়াতলে জায়গা দিবেন- যখন আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস ১৩০৬)
আবদুল্লাহ ইবনে আবী কাতাদা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু কাতাদা রা. তার এক ঋণগ্রহীতাকে খুঁজলে সে আত্মগোপন করল। পরে তাকে পাওয়া গেল। তখন সে বলল, আমি অসচ্ছল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহর কসম? সে বলল, আল্লাহর কসম (আমি অসচ্ছল)! আবু কাতাদা রা. বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যার পছন্দ যে আল্লাহ তাকে কিয়ামতের বিপদসমূহ থেকে মুক্তি দিন সে যেন অসচ্ছলকে সুযোগ দেয় অথবা মাফ করে দেয়।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৬৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ধার নেওয়া ব্যক্তির কাছে ধার নেওয়া টাকা বা জিনিসটা চাওয়া/নেওয়া জায়েজ হবে।
কেননা শুধু মনে মনে মাফ করে দেয়ার দ্বারা মাফ হয়না।
তবে মাফ করে দেয়ার যেহেতু ফজিলত অনেক বেশি।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সামর্থবান হলে আর ঋন গ্রহীতা ব্যাক্তি ঋন পরিশোধে অক্ষম হলে তাকে মাফ করে দেয়ার পরামর্শ থাকবে।
(০২)
তাহলে হুরমত সাব্যস্ত হবেনা।
(০৩)
নিজে নিজে কালেমায়ে শাহাদাত পড়লেই হবে।
(০৪)
না,পরবর্তীতে দান না করলে গুনাহ হবেনা।
(০৫)
তাবিজে নাপাক কিছু না থাকলে নামাজ বিশুদ্ধ হবে।
নামাজ হয়ে গেলেও তার দেয়া তাবিজ আপনার জন্য কোনোভাবেই জায়েজ নেই।
(০৬)
নিজ কান পর্যন্ত যেনো আওয়াজ আসে,সর্বনিম্ন এতটুকু আওয়াজ দিতেই হবে।
(০৭)
ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের সন্তুষ্টি চিত্তে হলে জায়েজ হবে।
(০৮)
সরকারি আইনে যদি এটি নিষিদ্ধ না হয়,সেক্ষেত্রে ক্রেতার উপর জুলুম না হলে এটি জায়েজ হবে।