বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির কাজ নিঃসন্দেহে ধোকার অন্তর্ভুক্ত যাহা জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি ধোকার আশ্রয় নিয়েছে।
তবে সে যেহেতু কাজের বিনিময়েই ইনকাম করছে,শ্রমের বিনিময়েই টাকা নিচ্ছে,তাই সে যেই কাজ করছে, সে কাজটা হালাল হলে ইনকামকে হারাম বলা যায়না।
(০২)
হ্যাঁ, এতে আপনার সদকাহ আদায় হবে।
আপনি হারাম থেকে মুক্ত হবেন।
(০৩)
আপনি যেহেতু তার থেকে অনুমতি নিয়েই সেই টাকা ব্যবহার করছেন,সুতরাং এটি জায়েজ আছে।
টাকা ফেরয় দেয়ার সময় দিতে না পারলে সে যদি আপনাকে সুযোগ দেয়,তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই।
আপনি নিজ সামর্থ অনুযায়ী সময় সুযোগ মোতাবেক তার টাকা ফেরত দিতে পারবেন।
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
এতে কোনো সূদ নেই।
(০৪)
টিচার থেকে হাদিয়া নেয়ার ব্যাপারে তো কোনো সমস্যাই নেই।
আপনি যার থেকেই হাদিয়া নিবেন,সেক্ষেত্রে মুল লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো দেখবেন যে তার পুরো ইনকাম বা অধিকাংশ ইনকাম হালাল কিনা?
যদি তাই হয়,তাহলে হাদিয়া নিবেন।
আর অধিকাংশ ইনকাম হারাম হলে তার হাদিয়া নিবেননা,নিলে গরিব মিসকিনকে দিয়ে দিবেন।