আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (33 points)

একজন অনলাইনে কাজ করে। নিয়ম হচ্ছে একজন সবোচ্চ একটি অাইডি দিয়ে কাজ করতে পারবে। তার জন্য অনলাইন সাইট অনেক কঠোর নিয়ম ও করেছে ও তা কার্যকর করে। কিন্তু একজন ৫ টি অাইডি দিয়ে সেই সাইটে কাজ করে।  কতৃপক্ষ যাতে জানতে না পারে সেভাবে কাজ করে সে কারণ জানতে পারলে অাইডি ব্লক করে দিবে।
এখন তার অায় কি হালাল হয়। অার তার কাছ থেকে কি হাদিয়া নেওয়া যাবে কি।

হারাম হাদিয়া বা কোন ভাবে অামার অায়ে হারাম টাকা ঢুকে পড়া টাকা যদি বিকাশ এপ এর মাধ্যমে ডোনেশন অপশন এর মাধ্যমে
বিদ্যানন্দ,অাস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন,অাজ্ঞুমান মফিদুল,ফিলিস্তান দূতাবাস ঢাকায়
 দেই  তবে কি অামার সদকা অাদায় হবে। অার এই ক্ষেএে দেখা যাবে সদকা দিলাম নাকি দান করলাম নাকি কি কারণে তাদের ডোনেশন দিলাম এই ফাউন্ডেশন তার কারণ জানবে না।

ধরেন কেউ অামার কাছে ১০০০ টাকা রাখল। রাখার পর যেকোনো একদিন তাকে বলেছিলাম, অামার প্রয়োজন হলে অামার কাছে রাখা তোমার টাকা থেকে খরচ করব ও পরে সুবিধামত সময় অাবার রেখে দিব। সেও অনুমতি দেয়।পরে যখন যতবার দরকার অামিও অামার প্রয়োজনে তা খরচ করলাম ও পরে রেখে দিলাম। অার দিতে দেরি হলে বা দিতে না পারলে তার কাছে ক্ষমা চেলে সে ক্ষমা করে।  এখন অামানতের জিনিশ থেকে ত কোন উপকার পাওয়া যায় না কিন্তু অামি যে উপকার এইভাবে নিচ্ছি তার অনুমতি সাপেক্ষে এটিও কি সুদ হচ্ছে। অার সুদ হলে পরে যেহেতু তার টাকা অাবার অামার সাম্যর্থ অনুযায়ী যত তারা তারি রেখে দিচ্ছি তার জন্য তা দিয়ে যে উপকার পেলাম। ধরুণ তা দিয়ে একটি খাবার কিনলাম। সে খাবার খাওয়া কি হালাল। একটু বুঝিয়ে বলবেন।

হাদিয়া হালাল নাকি হারাম কোন উৎস থেকে অাসছে তা ত অনেক সময় জানা যায় না। অার অনেকে হালাল কাজ করে যেমন ঃঠিকাদারি। তাদের ইনকাম সম্পকে সমাজে একটা কথা তাদের ইনকাম নাকি হালাল হয় না কিন্তু যে অামাকে হাদিয়া দিচ্ছে সে কন্টেকটার এর অায় ত অার না জেনে হারাম ও বলতে পারি না। অনেকে কলেজে টিচার ক্লাসে তেমন পড়ায় না কিন্তু প্রাইভেটে ভাল ভাবে পড়ায় তাদের কাছ থেকে হাদিয়া নেওয়া। অার অনেকে অাছে কি করে কিছু জানি না তার হাদিয়া নেওয়া হয়।
এইসব না নেওয়া উওম কিন্তু  নিলে এইসব হাদিয়া নেওয়া কি হালাল হবে। (হুজুর কার অায় হালাল অার কারটা হারাম তা কিভাবে বুঝব যেখানে নিজের অায় নিয়েই সন্দেহ হয় হালাল ভাবে অায় করতে পাচ্ছি কিনা)

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির কাজ নিঃসন্দেহে ধোকার অন্তর্ভুক্ত যাহা জায়েজ নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি ধোকার আশ্রয় নিয়েছে।
তবে সে যেহেতু কাজের বিনিময়েই ইনকাম করছে,শ্রমের বিনিময়েই টাকা নিচ্ছে,তাই সে যেই কাজ করছে, সে কাজটা হালাল হলে ইনকামকে হারাম বলা যায়না।

(০২)
হ্যাঁ, এতে আপনার সদকাহ আদায় হবে।
আপনি হারাম থেকে মুক্ত হবেন।

(০৩)
আপনি যেহেতু তার থেকে অনুমতি নিয়েই সেই টাকা ব্যবহার করছেন,সুতরাং এটি জায়েজ আছে।

টাকা ফেরয় দেয়ার সময় দিতে না পারলে সে যদি আপনাকে সুযোগ দেয়,তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই।
আপনি নিজ সামর্থ অনুযায়ী সময় সুযোগ মোতাবেক তার টাকা ফেরত দিতে পারবেন।

এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
এতে কোনো সূদ নেই।

(০৪)
টিচার থেকে হাদিয়া নেয়ার ব্যাপারে তো কোনো সমস্যাই নেই।

আপনি যার থেকেই হাদিয়া নিবেন,সেক্ষেত্রে মুল লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো দেখবেন যে তার পুরো ইনকাম বা অধিকাংশ ইনকাম হালাল কিনা?
যদি তাই হয়,তাহলে হাদিয়া নিবেন।

আর অধিকাংশ ইনকাম হারাম হলে তার হাদিয়া নিবেননা,নিলে গরিব মিসকিনকে দিয়ে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...