জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْهُ قَالَ كَانَ أَهْلُ الْكِتَابِ يَقْرَءُونَ التَّوْرَاةَ بِالْعِبْرَانِيَّةِ وَيُفَسِّرُونَهَا بِالْعَرَبِيَِّ لِأَهْلِ الْإِسْلَامِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لَا تُصَدِّقُوا أَهْلَ الْكِتَابِ وَلَا تُكَذِّبُوهُمْ وَ﴿قُولُوا آمَنَّا بِاللهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا﴾ الْآيَةَ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আহলি কিতাবগণ তাওরাত কিতাব হিব্রু ভাষায় পাঠ করতো (এটা ইয়াহুদীদের ভাষা ছিল)। আর মুসলিমদেরকে তা ‘আরাবী ভাষায় বুঝাতো। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাদের ব্যাপারে সাহাবীগণকে) বললেন, তোমরা আহলি কিতাবদেরকে সমর্থনও করো না, আবার মিথ্যা প্রতিপন্নও করো না। সুতরাং তোমরা তাদের বলবে, ‘‘আমরা আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছি, আর যা আমাদের ওপর নাযিল করা হয়েছে’’- (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২: ১৩৬) আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
(সহীহ : বুখারী ৪৪৮৫, সহীহাহ্ ৪২২, সহীহ আল জামি‘ ৭৩৪৬, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২০৬১৫।)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ইসরায়েলী রেওয়ায়েতের ক্ষেত্রে হুকুম হলো যেই রেওয়ায়াত অহি অথবা জ্ঞানের বিপরিত।
সেটা মানা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে ফরিদিয়্যাহ ১/৩৫২)
★ঈসরায়েলী রেওয়ায়াত দ্বারা মূলত বুঝানো হয়েছে যেটা বনি ঈসরাইল (ইহুদী নাছারা) দের কিতাব থেকে নকল করা হয়েছে।
,
অবশ্য আমাদের পরিভাষায় যেই ঘটনার আলোচনা বা তার কোনো অংশের আলোচনা কুরআন মাজীদ বা রাসুল সাঃ থেকে বর্ণিত আছে,সেটাকে ইসরায়েলী রেওয়ায়াত বলা যাবেনা।
বরং সেটাকে আমাদের দ্বীনের মধ্যেই গননা করা হবে।
আর যেই ঘটনার আলোচনা হুবহু বা কোনো অংশ কুরআন মাজিদ,অথবা রাসুল সাঃ এর থেকে
পাওয়া যায়না,সেটাকে ঈসরায়েলী রেওয়ায়াত বলা হয়।
যেহেতু ইহুদি নাসারারা তাদের কিতাবে বিকৃত করে ফেলেছে,তাই তাদের ঐ রেওয়ায়েতের উপর পুরোপুরি ভরসা করা যাবেনা,যেগুলো শুধুমাত্র তাদের কিতাবেই আছে।
সুতরাং সেই রেওয়ায়েত গুলোর হুকুম হলোঃ
যদি তার মধ্যে কোনো এমন বিষয় পাওয়া যায়,যেটার সত্যতা কুরআন হাদীস থেকে পাওয়া যায়,তাহলে আমরা সেগুলো বিশ্বাস করবো সেগুলো রেওয়ায়েত করাও আমাদের জন্য জায়েজ হবে।
★যদি তার মধ্যে এমন বিষয় হয়,যেটার সত্যতা কুরআন হাদীস থেকে পাওয়া যায়না,কিন্তু সেটা কুরআন হাদীসের উছুলের বিপরিতও নয়,তাহলে এমন রেওয়ায়েতের হুকুম হলো, যে আমরা সেই রেওয়ায়েত গুলো বিশ্বাসও করবোনা,আবার মিথ্যাও বলবোনা।
অবশ্য সেই রেওয়ায়েত গুলো বর্ণনা করার সুযোগ রয়েছে।
★আর যেসমস্ত রেওয়ায়েত গুলো কুরআন হাদীসের উছুলের খেলাফ,তাহলে সেগুলোকে আমরা মিথ্যা বলে সাব্যস্ত করবো,এমন রেওয়ায়েত কে বর্ণনা করা জায়েজ হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আম্বিয়ায়ে কেরাম (আঃ) দের শানে মিথ্যা,বানোয়াট কোনো গল্প বলা জায়েজ হবেনা।
এহেন মজলিস পরিত্যাগ করা উচিত।
হ্যাঁ যদি তাহা ঈসরায়েলী রেওয়ায়াত হয়,তাহলে সেটা কুরআন হাদীসের উছুলের বিপরিত না হলে,এমন রেওয়ায়েত বলা/শোনা জায়েজ হবে।