ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কপড়ে অপবিত্র জিনিষ লেগে উক্ত কাপড়কে অপবিত্র করে ফেলে।যাকে আরবীতে নাজাসত বলে।
নাজাসত দুই প্রকার
(ক)নাজাসাতে গালিজাহ
(খ)নাজাসাতে খাফিফাহ
প্রথম প্রকারঃ
নাজাসতে গালিজাহ
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
وَهِيَ نَوْعَانِ (الْأَوَّلُ) الْمُغَلَّظَةُ وَعُفِيَ مِنْهَا قَدْرُ الدِّرْهَمِ
নাজসতে গালিজাহ যা এক দিরহাম পরিমাণ হলে ক্ষমাযোগ্য।
(নাজাসতে গালিজাহ কি কি?)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/118
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আপনি যে হাত দ্বারা উপরোক্ত নাপাকি ধরেন, হাতে যদি সেই নাপাকি থাকে, এবং তা কাপড় বা শরীরে এক দিরহাম পরিমাণ লাগে, তাহলে কাপড় বা শরীর নাপাক হয়ে যাবে। কিন্তু হাতে যদি তরল কোনো নাপাকিই না থাকে, তাহলে যে জিনিষে ধরবেন, সেই জিনিষ নাপাক হবে না।
(২)
কোনো কাপরে অল্প পরিমান প্রস্রাব বা রক্ত লেগে শুকিয়ে গেলে পরে ভিজা হাতে হাত দিলে হাত নাপাক হয়ে যাবে। এবং ঐ হাত দিয়ে অন্য কিছু ধরলে তাও নাপাক হয়ে যাবে।
(৩)
নাপাক হাত বা কাপড় বেসিনে বা টিউবওয়েল ধৌত করার সময়ে পানির ছিটা কাপড় বা শরীরে লাগলে, এবং তা যদি এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে কাপড় বা শরীর নাপাক হয়ে যাবে। আর এক দিরহাম পরিমাণ না হলে কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না।
(৪)
বেসিনে নাপাকি থাকলে, এবং সেখান থেকে কাপড় বা শরীরে ছিটা আসলে, সেই ছিটার পরিমাণ এক দিরহামের বেশী হলে কাপড় বা শরীর নাপাক হবে। কিন্তু এক দিরহামের বেশী না হলে কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না।