আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
edited by
আমি গভীর ভাবে শয়তানের ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত। ওয়াসার কারনে আমার জিবন অতিষ্ঠ। বুক চিরে কান্না আসে। কিছুতেই এর থেকে বাহির হতে পারতেছি নাহ। এখন কিছু প্রশ্ন জানার ছিলো,, দয়াকরে একটু তাড়াতাড়ি উত্তর দিবেন।
১/ যদি কোনো কিছুতে নাপাকি লাগে আর আমি ওয়াসাওয়াসায় আক্রান্ত থাকার কারনে এটা ওয়াসওয়াসা মনে করে কখনোই তা না ধৌত করি, তাহলে কি ঐ জিনিসটা পড়ে নামাজ পড়লে নামাজ হবে কি।
(বিঃদ্রঃ এমন অনেক জিনিস আছে যা কখনোই ধৌত করা হয় নাহ। যেমন পেন্টের বেল,সানগ্লাস ইত্যাদি। এসব জিনেসে নাপাকি লাগলো আর আমি ওয়াসওয়াসা মনে করে কখনোই ধৌত করলাম নাহ। এগুলো পড়েই সব সময় নামাজ পড়ি। যেমন পেন্টের বেল প্রতিদিনই পড়তে হয়।আর এটা পরেই নামাজ পরতে হয়। এতে কি নামাজ হবে)
২/ ফরজ গোসলে নাভিতে পানি দেওয়ার নিয়ম কি?  আমি ফরজ গোসলে নাভিতে অনেক সময় ধরে পানি দেই, ১০-১৫ মিনিট সময় যায় নাভিতে পানি দিতেই। নাভি গুতাতে গুতাতে কেটেও যায় তবুও মনে হয় পানি যায় নি। তাই পানি দেওয়ার সহজ নিয়মটা বলে দিবেন দয়াকরে।

৩/ একজন বললো দাতের চিপায় কোনো কিছু আটকে থাকলে নাকি ফরজ গোসল হয় নাহ,, এ কথাটা কি সঠিক। সঠিক হলে কিভাবে দাত পরিষ্কার করে ফরজ গোসল করতে হবে?

৪/ কেউ একজন একা ঘরে শুধু আল্লাহর উদ্দেশ্যেই নামাজে দাড়ালো হঠাৎ করে তার মনে আসলো কেউ একজন ঘরে এসে দেখুক আমি নামাজ পরতেছি আর এই অবস্থাতেই নামাজ শেষ করলো। কিন্তু কেউ এসে দেখেনি সে নামাজ পড়তেছে। এখন কি তার নামাজ রিয়া হয়ে গেছে। রিয়া হয়ে গলে করনীয় কি। নামাজ শেষে তার মধ্যে এর জন্য অনুশোচনা সৃষ্ট হয়েছে, যে কাজটা ঠিক হয় নি। এর জন্য সে পেরেশানিতে আছে।
৫/ যা করি তাতেই অনিচ্ছাকৃত ভাবে রিয়া এসে পরে এবং এবাদাত শেষে মনেহয় কাজটি ঠিক হয়নি। এর জন্য অনেক খারাপ লাগে। মাঝে মাঝে কান্নাও আসে। এর জন্য কি আমার এবাদত বাদ হয়ে যাবে আমি কি গুনাহগার হবো।
৬/ ফরজ গোসলে কানে পানি দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বলবেন।

৭/  কুরআন পড়ার সময় হঠাৎ যদি একথা মনের মধ্যে আসে যে,,, কুরআনের বড় আয়াত গুলো পড়তে ভালো লাগে নাহ, দেরি হয়। ছোট আয়াত গুলো পড়তে ভালো লাগে কারন তাড়াতাড়ি হয়। মনে এ কথা আসার কারনে কি গুনাহ হবে।

৮/ বাতরুম শেষে পানি খরচ করার সময় যদি কমোটের সাদা জায়গা থেকে পানি ছিটে আসে তাহলে কি শরীর বা কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
আমি অনেক সতর্কতার সাথে পানি খরচ করি। অনেক আস্তে আস্তে পানি খরচ করি।  তবুও ছিটে আসে। পানি ছিটে আসা থেকে বাচতে পারতেছি নাহ। বারবার তো কাপড় বদলানো যায় নাহ। এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি???

1 Answer

0 votes
by (711,440 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
যেহেতু আপনি ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আপনার বিধান পৃথক। আপনার এই নাপাকির সন্দেহ দ্বারা পেন্টের বেল ইত্যাদি নাপাক হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

(২)
"وَيَجِبُ إيصَالُ الْمَاءِ إلَى دَاخِلِ السُّرَّةِ. وَيَنْبَغِي أَنْ يُدْخِلَ أُصْبُعَهُ فِيهَا لِلْمُبَالَغَةِ، كَذَا فِي مُحِيطِ السَّرَخْسِيِّ."
নাভীর ভিতরাংশে পানি পৌছানো ওয়াজিব। উচিৎ হল, হাতের আঙ্গুলকে নাভীর ভিতরাংশে পৌছিয়ে দেয়া।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৪)

স্বাভাবিকভাবে নাভীর ভিতরে কিছু পানি পৌছিয়ে দিলেই হবে।এজন্য তত মেহনত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। সামান্য কিছু পানি হাতে নিয়ে ঐ পানি নাভীতে পৌছিয়ে দিলেই হবে।

(৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/9205

( ৪)
কেউ একজন একা ঘরে শুধু আল্লাহর উদ্দেশ্যেই নামাজে দাড়ালো হঠাৎ করে তার মনে আসলো কেউ একজন ঘরে এসে দেখুক আমি নামাজ পরতেছি আর এই অবস্থাতেই নামাজ শেষ করলো। কিন্তু কেউ এসে দেখেনি সে নামাজ পড়তেছে। এতেকরে রিয়া হবে না।

(৫)
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী ইবাদতে কোনো সমস্যা হবে না।

(৬)
ফরয গোসলে কানেও পানি দিতে হবে। কেননা কান সমস্ত শরীরের অন্তর্ভুক্ত। তবে কানের ভিতরাংশে পানি দিতে হবে না।

(৭)
না,গোনাহ হবে না।তবে এমনটা ভাবা বা মনে করা কখনো উচিৎ নয়।

(৮)

কমোটের সাদা টাইলসে যদি নাপাকি রয়েছে বলে প্রবল ধারণা হয়, তাহলে সেখানে পানি পরার পর সেই পানির ছিটা নাপাক বলেই বিবেচিত হবে। উক্ত পানির ছিটা এক দিরহাম পরিমাণ না হলে, তা নিয়ে নামায পড়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
৮ নং প্রশ্নের উত্তর দিলেন নাহ যে শায়েখ। 
এর উত্তর জানাটা অনেক জরুরী। 
by (711,440 points)
৮ নং প্রশ্ন সম্ভবত শেষে করেছেন
by (3 points)
শায়েখ যতবার পানি খরচ করি ততবারই মনে হয় ছিটে আসেছে। মাঝে মাঝে ফোটা দেখতে পাই,, মাঝে মাঝে পাই না। আমি অনেক সতর্কতার সহিত পানি খরচ করি। তবুও ছিটে আসে। আমার পক্ষে তো বার বার কাপড় পাল্টানো বা শরীর ধৌত করা সম্ভব না। 

আপনি বলছেন ১ দিরহাম থেকে কম আসলে সমস্যা নেই। এমটা যদি বার বার হয় তাহলেও কি সমস্যা নাই। 

যেমন ১ বার প্রস্রাব করে পানি নেওয়ার সময় ১ দিরহাম থেকে কম পানি ছিটে আসলো 
২বাও প্রস্রাব করে পানি নেওয়ার সময় ১ দিরহাম থেকে কম পানি ছিটে আসলো 
৩বারও ১দিরহাম থেকে কম পানি ছিটে আসলো। 
এরকম বার বার হলেও কি মাফ। 
কারন দিনে রাতে তো কয়েকবারই আমাদেরকে প্রস্রাব পায়খানা করতে হয়। 
আমি এর থেকে বাচতে পারতেছি নাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...