আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in পবিত্রতা (Purity) by (12 points)
আমি শয়তানের ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত। খুব কষ্টে আছি। বুক ফেটে কান্না আসে।  কি করবো বুঝতেছি নাহ। দয়া করে উপদেশ দিন।

১/ আমি একটি হসপিটালে প্যাথলজি ল্যাবে কাজ করি। ল্যাবের কাজ হলো রক্ত,প্রস্রাব, বীর্য ইত্যাদি নিয়ে কাজ করা। কাজ করার সময় রক্ত  হাতে লাগে তার পর ঐ হাত দিয়ে আরো বিভিন্ন জিনিস ধরে কাজ করতে হয়। এখন ঐ সকল জিনিস কি নাপাক হয়ে যাবে? ঐ হাত দিয়েই আমি আমার শীরের বিভিন্ন জায়গায় ধরি, মোবাইল ধরি, কম্পিউটারে প্রিন্ট করি, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ধরে কাজ করি। সব কিছু কি তাহলে নাপাক হয়ে যাবে।
২/ কোনো কাপরে অল্প পরিমান প্রস্রাব বা রক্ত লেগে শুকিয়ে গেলে পরে ভিজা হাতে হাত দিলে কি হাত নাপাক হয়ে যাবে? এবং ঐ হাত দিয়ে অন্য কিছু ধরলে তাও কি নাপাক হয়ে যাবে।
৩/ নাপাক হাত বা কাপড় বেসিনে বা টিউবওয়েল দোয়ার সময় পানির ছিটা শরীরে আসলে কি নাপাক হয়ে যাবে।
৪/ রক্ত বা প্রস্রাবের কাজ শেষে সব কিছু বেসিনে ধৌত করি। কিছুক্ষণ পরে হাত মুখ ধৌত করতে গেলে ঐ বেসিনর নিচ থেকে পানি ছিটে আসে এতে কি শরীর নাপাক হয়ে যাবে।
যদি সব কিছু নাপাক হয়ে যায়,, তাহলে আমার করনীয় কি? আমি তো অনেক কিছু ধরে কাজ করি, রক্ত, প্রস্রাব পরিক্ষা করার মেশিন ধরি, রিয়েজেন্ট ধরে কাজ করি।  কিছু বুঝতেছি নাহ। পুরাই পাগল হয়ে যাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (598,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কপড়ে অপবিত্র জিনিষ লেগে উক্ত কাপড়কে অপবিত্র করে ফেলে।যাকে আরবীতে নাজাসত বলে।
নাজাসত দুই প্রকার
(ক)নাজাসাতে গালিজাহ
(খ)নাজাসাতে খাফিফাহ

প্রথম প্রকারঃ
নাজাসতে গালিজাহ
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
وَهِيَ نَوْعَانِ (الْأَوَّلُ) الْمُغَلَّظَةُ وَعُفِيَ مِنْهَا قَدْرُ الدِّرْهَمِ
নাজসতে গালিজাহ যা এক দিরহাম পরিমাণ হলে ক্ষমাযোগ্য।
(নাজাসতে গালিজাহ কি কি?)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/118

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আপনি যে হাত দ্বারা উপরোক্ত নাপাকি ধরেন, হাতে যদি সেই নাপাকি থাকে, এবং তা কাপড় বা শরীরে এক দিরহাম পরিমাণ লাগে, তাহলে কাপড় বা শরীর নাপাক হয়ে যাবে। কিন্তু হাতে যদি তরল কোনো নাপাকিই না থাকে, তাহলে যে জিনিষে ধরবেন, সেই জিনিষ নাপাক হবে না।

(২)
কোনো কাপরে অল্প পরিমান প্রস্রাব বা রক্ত লেগে শুকিয়ে গেলে পরে ভিজা হাতে হাত দিলে হাত নাপাক হয়ে যাবে। এবং ঐ হাত দিয়ে অন্য কিছু ধরলে তাও নাপাক হয়ে যাবে।

(৩)
নাপাক হাত বা কাপড় বেসিনে বা টিউবওয়েল ধৌত করার সময়ে পানির ছিটা কাপড় বা শরীরে লাগলে, এবং তা যদি এক দিরহাম পরিমাণ হয়, তাহলে কাপড় বা শরীর নাপাক হয়ে যাবে। আর এক দিরহাম পরিমাণ না হলে কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না।

(৪)
বেসিনে নাপাকি থাকলে, এবং সেখান থেকে কাপড় বা শরীরে ছিটা আসলে, সেই ছিটার পরিমাণ এক দিরহামের বেশী হলে কাপড় বা শরীর নাপাক হবে। কিন্তু এক দিরহামের বেশী না হলে কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (598,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...