ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১)তাজবীদ ছাড়া সালাতে তাশাহুদ পড়ার সময় "আত্তাহিয়াতু ---------------ওয়াত তই ই বাত" এর বাত বলার সময় কি বা এক আলিফ টেনে "বা-তু" বলা মুস্তাহাব। যেহেতু আরবি বানানে "বা" এর উপরে খাড়া আলিফ আছে"।
" বা" এর এক আলিফ না টানলেও সালাতে কোনো হবেনা। কেননা মুস্তাহাব বাদ দিলে কোনো সমস্যা হয় না।তবে সর্বদা মুস্তাহাব আদায়ের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে।
২) নিঃশব্দ সালাতে তাজবীদ ছাড়া সূরা ফাতিহা পড়ার সময় "ওয়ালদ দল লিন" এর "দদ" এক আলিফ টান দেওয়া হয় শুধু।এতে সালাত হবে। সুতরাং উত্তম হল, চার আলিক লম্বা করে পড়া। যাকে কিরাতের পরিভাষায় ওয়াজিব বলা হয়। অর্থাৎ ওয়াজিব মদ বলা হয়।
৩)আয়াত শেষে "আ'লামিন, মুফলিহুন" এই জাতীয় শব্দ তো তিন আলিফ টেনে পড়তে হয় যেমন ঃ (আ'লামি-----ন, মুফলিহু----ন)
যদি সালাতে এই সূরার আয়াত শেষের এই শব্দ গুলা তিন আলিফ না টেনে পড়ে শুধু সাধারণ ভাবে "আ'লামিন,মুফলিহুন" পড়া হয়, তাহলেও সালাতে কোনো সমস্যা হবে না।