আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (56 points)

একটু কারেকশন করে দিলাম আরেকবার একটু পড়ে উত্তর দিবেন প্লিজ।

 

১.কোনো এক হিন্দু মহিলা নামে মাত্র এক মুসলিম কে বিবাহ করে বিবাহের সময় সে মুসলিম হয়েছিলো কিনা সেটা জানা নেই।কিন্তু বাচ্চা হওয়ার পর তাদের মধ্যে যখন ডিভোর্স হয় তারপর ঐ মহিলা প্রকাশ্যে হিন্দু ধর্ম পালন করা শুরু করে।এখন কেউ যদি ঐ দুজন সম্পর্কে মন্তব্য করে বলে ওদের সন্তার বৈধ কিনা সন্দেহ আছে।ওদের মধ্যে কে মুসলিম কে কি? বর্তমানে ঐ মহিলা যে হিন্দু এ নিয়ে উক্ত ব্যক্তির মনে কোনো সন্দেহ নেই তবেবিয়ের সময় কি ছিলো এটা আসলে জানা নেই। তবুও বিবরন মতে উক্ত ব্যক্তি ওদের মধ্যে কে মুসলিম কে কি(কি বলছে নাকি হিন্দু বলচে সন্দেহ) বলার কারণে কি তার ইমান চলে যাবে??এ কথা বলাতে কি ঐ হিন্দু মহিলাকে মুসলিম বলা হয়ে যাবে বা তার হিন্দুত্ব নিয়ে সন্দেহ করা হবে?

 

২.যদি ঐ কথাটা বলার দ্বারা ঐ মহিলার হিন্দুত্ব নিয়ে সন্দেহ করা হয়েছে বলে নেয়া হয় তাহলে কি এতে উক্ত ব্যক্তির ইমান চলে যাবে?

 

৩.কোন কাফের মুশরিকদের হিন্দুদের ব্যাপারে কিছু সময়ের জন্য যদি সময় চলে সন্দেহ চলে সে হিন্দু কিনা? কিন্তু একটু পরেই যদি মনে মনে বলে সে তো হিন্দু।এই সন্দেহের কারণে কি ইমান চলে যাবে??

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তার ঈমান চলে যাবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْمَُرَ، أَنَّ أَبَا الأَسْوَدِ الدِّيلِيَّ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا ذَرٍّ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: لاَ يَرْمِي رَجُلٌ رَجُلاً بِالْفُسُوقِ، وَلاَ يَرْمِيهِ بِالْكُفْرِ، إِلاَّ ارْتَدَّتْ عَلَيْهِ، إِنْ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُهُ كَذَلِكَ.

হযরত আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (স) কে বলতে শুনেছেন, কেউ যদি কাউকে কাফের বলে সন্বেধন করে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে সম্বোধন করে অথচ সে তা নয়, তবে কাফের কথাটা বক্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে। (বুখারী ও মুসলিম,আল আদাবুল মুফরাদ ৪৩৪)

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: أَيُّمَا رَجُلٌ قَالَ لأَخِيهِ: كَافِرٌ، فَقَدْ بَاءَ بِهَا أَحَدُهُمَا.

আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন লোক তার কোন ভাইকে ‘হে কাফের’ বলে সম্বোধন করলে তাদের একজন কুফরীর শিকার হলো (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, মুয়াত্ত্বা মালিক,আল আদাবুল মুফরাদ ৪৪১)।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
ফাতহুল বারী গ্রন্থে আছেঃ

فقد باء بها أحدهما "، وهو بمعنى: " رجع " أيضا، قال النووي: اختلف في تأويل هذا الرجوع فقيل: رجع عليه الكفر إن كان مستحلا، وهذا بعيد من سياق الخبر، وقيل: محمول على الخوارج لأنهم يكفرون المؤمنين.
والتحقيق: أن الحديث سيق لزجر المسلم عن أن يقول ذلك لأخيه المسلم، وذلك قبل وجود فرقة الخوارج وغيرهم، وقيل: معناه: رجعت عليه نقيصته لأخيه ومعصية تكفيره، وهذا لا بأس به، وقيل: يخشى عليه أن يئول به ذلك إلى الكفر
সারমর্মঃ  
এই ব্যাপারের উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে। 
কেহ কেহ বলেছেন যে যদি সে এভাবে কাফের বলাকে হালাল মনে করে,তাহলে সে কাফির হবে।
কেহ কেহ বলেন এটি খাওয়ারেজদের উদ্দেশ্য তিলাওয়াত করা হয়েছে।  
তবে তাহকীকী কথা হলো, এই হাদীস আনা হয়েছে মুসলমানদের হুমকি ও সতর্কতার জন্য।
কেহ কেহ বলেন যে এতে উক্ত ব্যাক্তির উপর ভয় হয় যে এর কারনে সে কুফরের দিকে যাবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)

এতে উক্ত ব্যক্তির ইমান চলে যাবেনা।

(০৩)

এই সন্দেহের কারণে ইমান চলে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...