আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
edited by
১.কেউ যদি মুখে এমন বলে "তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে দ্বীন বিজয় হয়েছে" আর মনে মনে কুফরির চিন্তা চলে আসে তাহলে কি ইমান চলে যাবে??

২.কোনো মহিলা সাজগোছ করে অন্য একজন কে জিজ্ঞেস করছে বৌদ্ধের মতো দেখাচ্ছে না??আসলে সে বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ বোঝায়নি বরং বেঁদেনীদের মতো দেখাচ্ছে কিনা তাই বলেছে কিন্তু জিজ্ঞেস করার সময় তার মনে বৌদ্ধ মানুষের কথা স্মরণ সে নিজেকে বৌদ্ধ বললো কিনা এটা মনে হয় আর ইমান চলে গেল কিনা এটাও মনে হয়।এরকম টা ভেবে বোদ্ধের মতো দেখাচ্ছে না? এটা বলার কারনে কি ইমান চলে যাবে??

৩.ঐ একই মহিলা ক্যামারায় ছবি কালো উঠার কারনে বললো কৃষ্ণকলির মতো লাগছে  কৃষ্ণকলির মতো লাগছে (কৃষ্ণকলি একটা একটা মেয়ের নাম সেটা বুঝাতে চেয়েছে)এটা বলার সময় তার মনে হিন্দুদের কৃষ্ণ নামক নামক এক দেবতার কথা স্মরণ হলো যে তাকে সেটার মতো লাগছে।ঐকথাটা বলার সময় এরকম ভাবনা আসার কারনে কি ইমান চলে যাবে ঐ মহিলার?? তার ইমান নিয়ে ইদানীং খুব চিন্তা হচ্ছে এজন্য এরকম মাথায় আসছে কি না আল্লাহই ভালো যানে আগে এমন হতো না।

৪.আবার এমনও হয়েছে স্বামী নাকফুল বড় হয়েছে বলার প্রতিত্তোরে ই মহিলা বলেছে বৌদ্ধের মতো সাথে সাথে কারেকশন করে বলছে বাইদ্যাদের মতো। বৌদ্ধের মতো কথাটা বলার পর তার মনে হয়েছে সে নিজেকে বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ মনে করে এটা বলেছে তাই আবার করেকশন করে বাইদ্যা(বাইদ্যা বলতে যে সম্প্রদায়ের মানুষ বড় বড় নাকফুল পড়ে বেশি বেশি নাক কান ফুটায় আমাদের এখানে ওদেরকে বৌদ্ধও বলে অনেকে।সে আসলে এটাই বোঝাতে চেয়েছিলো প্রথমে তাও কেন জানি ওরকম চিন্তা তার মনে এসে গেছে)বলেছে।সে এরকমও বলেনি যে আমি বৌদ্ধ বা আমি বৈাদ্ধদের মতো শুধু এতটুকু বলছে যে বৌদ্ধের মতো।তবুও বৈাদ্ধের মতো এটা বলার পর ওরকমটা মনে হওয়ার কারনে কি তার ইমান চলে যাবে??

৫.উপরের প্রশ্নগুলো করার কারণে কি আমরা ইমান ঠিক থাকবে??যদিও ওগুলো আমার ঘটনা হয়?

৬.কোনো মজলিসে স্বামী যদি বলে আমাদের মাঝে আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকবে না বা আমাদের আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকবে না এদুটার কোনো একটা বলার কারনে কি সেই মজলিস তালাকের মজলিস বলে গন্য হবে?? বা এই বাক্য দুইটা কোনো একটা বাক্য বলার কারনে কি তালাক হবে??

৭.কোনো একজন পরিচিত বোন কোনো বহুল প্রচারিত একটা রাজনৈতিক ইসলামী সংগঠনের সাথে যুক্ত।সে ঐ সংগঠনের বাইয়াতপ্রাপ্ত একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মী কিন্তু এখন তার মনে হচ্ছে এই সংগঠন পুরোপুরি সঠিক না কিছু আলেমরাও বলে এই সংগঠনের সমস্যা আছে। তাই তার দায়িত্বশীলা(দায়িত্বশীলাও মেয়ে) কোনো কাজ দিলে সে মনে মনে ভাবে এই সংগঠনের ব্যাপারে তো আলেমরা দ্বীমত পোষন করে তাহলে একানকার নেতার আনুগত্য না করলে কিছু হবে না এটা ভেবে সে ঐ কাজগুলো ঠিকমতো করতো না আবার অনেক সময় কোনো কাজ দিলে মনে মনে বলতো এই কাজগুলো(সংগঠনের বিস্তৃতি ও কাজের হিসাব) তো আল্লাহর রাসূলের জামানায় সাহাবারা করেনি তাই এই বৈঠকে না বসলে হবে কিছু হবে না।এটা ভেবে সে আনুগত্য করতো না।তবে সে জানতো উলিল আমরের আদেশ মানা ওয়াজিব।এখন প্রশ্ন হলো উপরের বিবরন মতে উক্ত মহিলা মনে মনে ওরকমটা ভেবে আনুগত্য না করলে কিছু হবে না বাস্তবে দায়িত্বশীলার আদেশ না মানার কারণে কি তার ইমান চলে যাবে??সূরা নিসার ৫৯ নং আয়াতে নেতার আদেশ মানতে হবে বলা হয়েছে সেই বোন এ আয়াতটা পুরোপুরি মানে কিন্তু সংগঠনটা নিয়ে দ্বীধাদ্বন্ধ থাকায় সে এমন ভাবছে।এখন সে এমনটা ভেবে আনুগত্য না করলে কিছু হবে না  বাস্তবে আনুগত্য না করার কারণে কি ইমান চলে যাবে??তার কি এই সংগঠনের নেত্রীর আনুগত্য করতে হবে? এখন সে জানছে সব সংগঠনের নেতার আনুগত্য করতে হয়। সব সংগঠনেরই কোনো না কোনো ত্রুটি থাকে।

বিবরন মতে ঐ বোনের কি ইমান চলে যাবে??

1 Answer

0 votes
by (679,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوهُ إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ . قَالَ ” وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ ” ذَاكَ صَرِيحُ الإِيمَانِ ”

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় সাহাবী তাঁর সমীপে এসে বললেন, আমাদের অন্তরে এমন কিছু সংশয়ের উদয় হয়, যা আমাদের কেউ মুখে উচ্চারণ করতেও মারাত্মক মনে করে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেনঃ সত্যই তোমাদের তা হয়? তারা জবাব দিলেন, জ্বী, হ্যাঁ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটই স্পষ্ট ঈমান। (কারণ ঈমান আছে বলেই সে সম্পর্কে ওয়াসওয়াসা ও সংশয়কে মারাত্মক মনে করা হয়।) [সহীহ মুসলিম-১/৭৯, হাদীস নং-১৩২, ইফাবা, হাদীস নং-২৪০]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। [সহীহ বুখারী-১/৩৪৩, হাদীস নং-২৫২৮, ইফাবা, হাদীস নং-২৩৬১]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মনে মনে কুফরির চিন্তা চলে আসলে ইমান চলে যাবেনা।

(০২)
এখানে সে নিজেকে বৌদ্ধ বলে দাবী করেনি,তাই প্রশ্নের বিবরণ মতে তার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৫)
এই প্রশ্নগুলো করার দরুন আপনার ঈমান ঠিক থাকবে।
যদি এগুলো আপনার জীবনের ঘটনা হয়,তবুও ঈমান ঠিক থাকবে। 

(০৬)
উক্ত মজলিস তালাকের মজলিস বলে গন্য হবেনা।
এই দুটির বাক্যের কোনো একটা বাক্য বলার কারনে  তালাক হবেনা।

(০৭)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার ঈমান চলে যাবেনক,উক্ত সংগঠন থেকে চলে আসলে/তাদের কথা না মানলে/তাদের বৈঠলে না বসলে ঈমান চলে যাবেনা।
গুনাহও হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...