আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (56 points)
edited by
মনে করেন একজন স্বামী তার স্ত্রীকে কিছু খারাপ কাজের ব্যাপারে শর্ত দেয় যেগুলো করলে ইমান চলে যায় স্বামী বলেছে সে যদি ঐ কাজগুলো করে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।এখন স্ত্রী সব ধরনের খারাপ কাজ করতে গেলে তালাক হয়ে যাবে বা যেতে পারে এই ভেবে সে ঐ কাজগুলো করেনা এবং কিছু ইবাদত ও সে এই ভয়ে করতো যে এগুলো না করলে তালাক হয়ে যাবে।এগুলোর সময় তার মাথায় আল্লাহর কথা স্মরণে ছিলো না।এভাবে তালাকের ভয়ে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা ও ইবাদত করার কারণে যে শিরক হতে পারে তা তার মাথায় তখন আসেনি।এখন মনে হচ্ছে যে এগুলো শিরক হলো কিনা।

১.এখন শায়েখ স্ত্রী খারাপ কাজগুলোকে তালাকের শর্ত মনে করে তালাকের ভয়ে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার কারনে কি শিরক হবে?? বা তার ইমান চলে যাবে??যদিও এখারাপ কাজগুলো থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তার বিরত থাকা উচিত ছিলো।

২.কিছু ইবাদত যে সে তালাক হয়ে যাবে বা যেতে পারে এই ভয়ে করেছে এজন্য ও কি তার ইমান চলে যাবে??শিরক হবে??

৩.স্বামী যদি খুব রাগ করে স্ত্রীকে বলে "তোর/তোকে হাত কাইটা ছেড়ে দি/দিই" এতে কি তালাক হবে?? এটা কি তালাকের বাক্য বা কেনায়া তালাকের বাক্য??

 ৪.কোনো মহিলা তালাকের অধিকার পাওয়ার পর যদি ফোনে সার্চ দিতে গিয়ে শুধু তালাক শব্দ টা লিখলো এবং লিখার পর মনে মনে নিলাম  শব্দটা বলে ফেললো কিন্তু মুখে উচ্চারণ করলো না বা লেখলো না তাহলেও তালাক শব্দটা লেখার পর মনে মনে তালাক নিলাম/নিলাম বলার কারণে কি তালাক পতিত হবে??

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে। 

যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি। 
,
কিছু বিষয় আছে এমন, যা তাওহীদ-পরিপন্থী তো নয়, তবে তা ‘তাওয়াক্কুলে’র সর্বোচ্চ স্তর থেকে নিম্নস্তরের। এ ধরনের বিষয়গুলোকে শিরক বলা স্পষ্ট ভুল। 
,
শিরকের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-

وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.

নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.

আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শিরক হবেনা।

অনেক সময় মানুষ বাবা মায়ের ভয়ে গুনাহের কাজ করেনা,অন্য কেউ দেখে ফেলবে,এই ভয়ে গুনাহের কাজ করেনা।

এই সব ছুরতে তার সেই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকাকে শিরক বলে আখ্যায়িত করা যায়না।  

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও শিরক হবেনা।

(০২)
এতে ঈমান চলে যাবেনা। শিরক হবেনা।

(০৩)
এতে তালাক হবেনা।
ছেড়ে দেয়ার দ্বারা স্বামী এখানে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করা উদ্দেশ্য নিলে এটি কেনায়া বাক্য হবে ঠিকই,তবে এটি ভবিষ্যতের দিকে ইঙ্গিত সূচক বাক্য হওয়ায় ওয়াদা মূলক বাক্য বলে বিবেচিত হবে।

যার দ্বারা স্বামী তালাকের নিয়ত করলেও তালাক হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক শব্দটা লেখার পর মনে মনে তালাক নিলাম/নিলাম বলার কারণে তালাক পতিত হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...