জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কবরের উপরে ঘর নির্মান,তার উপর বসা,ঘুমানো কোনোটিই ইসলাম সমর্থন করেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ ابْنِ جَابِرٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ، عَنْ أَبِي مَرْثَدٍ الْغَنَوِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُصَلُّوا إِلَى الْقُبُورِ وَلاَ تَجْلِسُوا عَلَيْهَا " .
আলী ইবনু হুজর (রহঃ) আবূ মারসাদ গানাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কবরের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করবে না এবং তার উপর উপবেশন করবে না।
(সুনানে নাসায়ী ৪৬১)
ویکرہ ان بنی عل القبرأو یقعد او ینام علیہ او یو طأ علیہ الخ۔فتاویٰ عالمگیری کتاب الجنائز فی القبر والدفن والثقل الخ ج۔۱ ص ۱۶۶
সারমর্মঃ
যদি কবরের উপর ঘর নির্মান করা হয়,অথবা তার উপর বসা হয়,অথবা তার উপর ঘুমানো হয় বা পদদলিত করা হয়,তাহলে এটি মাকরুহ হবে।
★শরীয়তের বিধান হলো কোনো কবরস্থান যদি মালিকানাধীন হয়,সেখানের কবর যদি এতো পুরাতন হয় যে,মাইয়িত একেবারে মাটি হয়ে গিয়েছে,তাহলে সেই কবরের উপর ঘর/রাস্তা বানানো জায়েজ আছে।
(নিজামুল ফাতওয়া ৪/১৮০)
ولو بلی المیت وصار ترابا جاز دفن غیرہ فی قبرہ وزرعہ والبناء علیہ‘‘ (عالمگیری ج۱، ص ۱۶۷)
সারমর্মঃ
যদি মাইয়িতের লাশ অনেক পুরাতন হয়ে যায়,মাটি হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে অন্য মাইয়িতকে তার উপরে কবত দেওয়া,তার উপরে ক্ষেত চাষ, তারপর ঘর নির্মান জায়েজ আছে।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত জায়গা যদি আপনার চাচার মালিকানা
সম্পত্তি হয়।
সেক্ষেত্রে কবরটা যেহেতু ৩০/৩৫ বছর পুরাতন কবর।
এতো দিনে লাশ গলে পঁচে মাটিতে পরিনত হওয়ার কথা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত সেই জায়গার উপর আপনার চাচার ঘর নির্মান জায়েজ আছে।
এক্ষেত্রে বিল্ডিং করতে গিয়ে কিছু হাড় বের হলে তাহা অন্যত্রে সম্মান বজায় রেখে দাফন করে দিতে হবে।
★প্রশ্নে উল্লেখিত জায়গা যদি আপনার চাচার মালিকানা
সম্পত্তি না হয়,সেক্ষেত্রে কোনো ভাবেই তার উপর ঘর নির্মান জায়েজ হবেনা।