আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
216 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (65 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ১

১,নামাজের একটা সিজদায় পা উঠানো ছিল,লাগলেও অতি স্বল্প সময়ের জন্য এবং তা তাসবীহ পড়ার সময় কিনা নইশ্চিত নই। এই ত্রুটিপূর্ন সিজদাহ থেকে উঠে বুঝার পর আবার সিজদা দিই এক্সট্রা।অর্থাৎ সেই রাকাতে ৩ সিজদা হয়।পরে একটা সাহু সিজদাও দিই।এতে কি নামাজ হবে

২, কোনো কোচিং বা প্রকাশনীর বই যদি কিনি এরপর হারায় ফেলি তারপর ইন্টারনেট থেকে তার পাইরেটেড কপি ব্যবহার করলে সমস্যস হবে? যেহেতু একবার আমি কিনেছিলাম।

২,সাধারন ভাবে স্কুল কলেজের গাইড/প্রশ্নব্যাংক এর pdf অনলাইন থেকে নামিয়ে ব্যক্তিগত কাজে পড়লে জায়েজ হবে?

৩,আমি সিক্সের এক বাচ্চাকে পড়াই, সেই বাচ্চাকে উপরের ক্লাসের কিছু গনিত করানোর জন্য বই pdf নামাই যেটা পাইরেটেড।এক্ষেত্রে অর্থ কি হারাম? কাজ কি হারাম?(সেখানে বলা আছে,এইটা প্রিন্ট করে ফেসবুকে শেয়ার দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে)।

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/35523/?show=35523#q35523 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

সেজদারত অবস্থায় কোনো এক মুহূর্তের জন্য হলেও এক পায়ের কিছু অংশ জমিনে থাকা জরুরি। আর যদি পূর্ণ সেজদায় উভয় পা জমিন থেকে পৃথক থাকে, অর্থাৎ সেজদার পুরো সময়ের মধ্যে কিছুক্ষণের জন্যও পায়ের কিছু অংশ জমিনে না লাগে তাহলে সেজদা সহিহ না হওয়ার কারণে নামাজ হবে না। সেই নামাজ দ্বিতীয়বার পড়তে হবে।

আর যদি সেজদারত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য জমিন থেকে উঠে যায় এবং ওঠার পরেই আবার জমিনের সঙ্গে মিলিয়ে দেয় তাহলে তাতে নামাজ ভঙ্গ হবে না। তবে মাকরু হবে। কেননা পূর্ণ সময় উভয় পা জমিনে রাখা এবং কেবলামুখী করে রাখা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। (আদ-দুররুল মুখতার: ১৪৪৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ১/৫০৬; আহসানুল ফাতাওয়া : ৩/৯৬; ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া : ১/২৯৭)

সিজদার পুরো সময় দুই পায়ের কোনো অংশ কিছু সময়ের জন্যও যদি যমিনে লেগে না থাকে তাহলে সিজদা হবে না। কিন্তু যদি সিজদার সময় কোনো এক পা অল্প সময়ের জন্য মাটিতে লাগানো থাকে তাহলে সিজদা সহীহ হয়ে যাবে এবং  নামাযও হয়ে যাবে। তবে সিজদা অবস্থায় উভয় পা যমিনে লাগিয়ে রাখা সুন্নতে মুআক্কাদা। তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন সিজদার সময় উভয় পা যমিনে লেগে থাকে এবং আঙ্গুলগুলো কিবলামুখী থাকে। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৫৫; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২০; ফাতহুল কাদীর ১/২৬৫; আলবাহরুর রায়েক ১/৩১৮; রদ্দুল মুহতার ১/৪৪৭,৫০০; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/২২৩)

সিজদার পুরো সময় দুই পায়ের কোনো অংশ কিছু সময়ের জন্যও যদি যমিনে লেগে না থাকে তাহলে সিজদা হবে না। কিন্তু যদি সিজদার সময় কোনো এক পা অল্প সময়ের জন্য মাটিতে লাগানো থাকে তাহলে সিজদা সহীহ হয়ে যাবে এবং  নামাযও হয়ে যাবে। তবে সিজদা অবস্থায় উভয় পা যমিনে লাগিয়ে রাখা সুন্নতে মুআক্কাদা। তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন সিজদার সময় উভয় পা যমিনে লেগে থাকে এবং আঙ্গুলগুলো কিবলামুখী থাকে। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৫৫; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২০; ফাতহুল কাদীর ১/২৬৫; আলবাহরুর রায়েক ১/৩১৮; রদ্দুল মুহতার ১/৪৪৭,৫০০; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/২২৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. জ্বী আপনার নামাজ সহিহ হয়েছে।

২-৩. কপিরাইট নিষিদ্ধ থাকলে সামর্থ্য থাকাবস্থায় পাইরেটেড ভার্সন ব্যবহার করা কখনো জায়েয হবে না। শরীয়তের বিধান হলো সংরক্ষিত কোনো গ্রন্থের পিডিএফ ফাইল পড়া যাবে না। বরং নাজায়েযই হবে। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বই গুলোতে যেহেতু প্রকাশক কর্তৃক এটার অনুলিপি, সংযোজন ইত্যাদি করে প্রকাশ সংক্রান্ত নিষেধ করা হয়েছে, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত সংরক্ষিত কোনো গ্রন্থের  পিডিএফ পড়া জায়েজ হবেনা। হারিয়ে গেলেও পুনরায় সংগ্রহ করতে হবে। হ্যাঁ যদি প্রকাশকের অনুমতি নিয়ে এটির পিডিএফ তৈরী করা হয়,বা পরবর্তীতে প্রকাশক অনুমতি দেয়, তাহলে এটির পিডিএফ পড়া যাবে। অনুরুপ ভাবে স্কুল কলেজের গাইড/প্রশ্নব্যাংক এর pdf অনলাইন থেকে নামিয়ে পড়া যাবে যদি কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি থাকে। অন্যথায় জায়েয হবে না।

যেই বই প্রিন্ট করে ফেসবুকে শেয়ার দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেই বই কর্তৃপক্ষ থেকে সংগ্রহ করে পড়তে বা পড়াতে হবে। অন্যথায় নিষিদ্ধ পিডিএফ পড়ানো ও উক্ত পন্থায় উপার্জন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আরো বিস্তারিত জানতে: https://ifatwa.info/44582/

https://ifatwa.info/13439/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 551 views
...