بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/35523/?show=35523#q35523
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
সেজদারত অবস্থায়
কোনো এক মুহূর্তের জন্য হলেও এক পায়ের কিছু অংশ জমিনে থাকা জরুরি। আর যদি পূর্ণ সেজদায়
উভয় পা জমিন থেকে পৃথক থাকে, অর্থাৎ সেজদার পুরো সময়ের মধ্যে কিছুক্ষণের জন্যও পায়ের কিছু অংশ জমিনে না
লাগে তাহলে সেজদা সহিহ না হওয়ার কারণে নামাজ হবে না। সেই নামাজ দ্বিতীয়বার পড়তে হবে।
আর যদি সেজদারত
অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য জমিন থেকে উঠে যায় এবং ওঠার পরেই আবার জমিনের সঙ্গে মিলিয়ে
দেয় তাহলে তাতে নামাজ ভঙ্গ হবে না। তবে মাকরু হবে। কেননা পূর্ণ সময় উভয় পা জমিনে রাখা
এবং কেবলামুখী করে রাখা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। (আদ-দুররুল মুখতার: ১৪৪৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ১/৫০৬; আহসানুল ফাতাওয়া : ৩/৯৬; ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া : ১/২৯৭)
সিজদার পুরো
সময় দুই পায়ের কোনো অংশ কিছু সময়ের জন্যও যদি যমিনে লেগে না থাকে তাহলে সিজদা হবে
না। কিন্তু যদি সিজদার সময় কোনো এক পা অল্প সময়ের জন্য মাটিতে লাগানো থাকে তাহলে
সিজদা সহীহ হয়ে যাবে এবং নামাযও হয়ে যাবে।
তবে সিজদা অবস্থায় উভয় পা যমিনে লাগিয়ে রাখা সুন্নতে মুআক্কাদা। তাই খেয়াল রাখতে
হবে যেন সিজদার সময় উভয় পা যমিনে লেগে থাকে এবং আঙ্গুলগুলো কিবলামুখী থাকে। (খুলাসাতুল
ফাতাওয়া ১/৫৫; ফাতাওয়া
খানিয়া ১/১২০; ফাতহুল কাদীর ১/২৬৫; আলবাহরুর
রায়েক ১/৩১৮; রদ্দুল মুহতার ১/৪৪৭,৫০০;
হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/২২৩)
সিজদার পুরো
সময় দুই পায়ের কোনো অংশ কিছু সময়ের জন্যও যদি যমিনে লেগে না থাকে তাহলে সিজদা হবে
না। কিন্তু যদি সিজদার সময় কোনো এক পা অল্প সময়ের জন্য মাটিতে লাগানো থাকে তাহলে
সিজদা সহীহ হয়ে যাবে এবং নামাযও হয়ে যাবে।
তবে সিজদা অবস্থায় উভয় পা যমিনে লাগিয়ে রাখা সুন্নতে মুআক্কাদা। তাই খেয়াল রাখতে
হবে যেন সিজদার সময় উভয় পা যমিনে লেগে থাকে এবং আঙ্গুলগুলো কিবলামুখী থাকে। (খুলাসাতুল
ফাতাওয়া ১/৫৫; ফাতাওয়া
খানিয়া ১/১২০; ফাতহুল কাদীর ১/২৬৫; আলবাহরুর
রায়েক ১/৩১৮; রদ্দুল মুহতার ১/৪৪৭,৫০০;
হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/২২৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. জ্বী আপনার নামাজ সহিহ হয়েছে।
২-৩. কপিরাইট নিষিদ্ধ থাকলে সামর্থ্য থাকাবস্থায়
পাইরেটেড ভার্সন ব্যবহার করা কখনো জায়েয হবে না। শরীয়তের বিধান হলো সংরক্ষিত কোনো গ্রন্থের
পিডিএফ ফাইল পড়া যাবে না। বরং নাজায়েযই হবে। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বই গুলোতে যেহেতু
প্রকাশক কর্তৃক এটার অনুলিপি, সংযোজন ইত্যাদি করে প্রকাশ সংক্রান্ত নিষেধ করা হয়েছে, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত সংরক্ষিত কোনো গ্রন্থের পিডিএফ পড়া জায়েজ হবেনা। হারিয়ে গেলেও পুনরায় সংগ্রহ করতে হবে। হ্যাঁ যদি প্রকাশকের অনুমতি নিয়ে এটির
পিডিএফ তৈরী করা হয়,বা পরবর্তীতে
প্রকাশক অনুমতি দেয়, তাহলে এটির
পিডিএফ পড়া যাবে। অনুরুপ ভাবে স্কুল কলেজের গাইড/প্রশ্নব্যাংক এর pdf অনলাইন থেকে নামিয়ে পড়া যাবে যদি কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি থাকে। অন্যথায় জায়েয হবে না।
যেই বই প্রিন্ট করে ফেসবুকে শেয়ার দিলে আইনানুগ
ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেই বই কর্তৃপক্ষ থেকে সংগ্রহ করে পড়তে বা
পড়াতে হবে। অন্যথায় নিষিদ্ধ পিডিএফ পড়ানো ও উক্ত পন্থায় উপার্জন করা থেকে বিরত থাকতে
হবে।
আরো বিস্তারিত জানতে: https://ifatwa.info/44582/
https://ifatwa.info/13439/