আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকা-তুহ

এক বোন খুব অসুস্থতায় জীবন  কাটাচ্ছিল।একদিন রাতে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে যায়।অনেক কষ্ট করে ওজু করে কোনো রকমে নামাযে দাড়ায় কিন্তু নামায পড়াটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পরে।সেজদায় গিয়ে দম বন্ধ হয়ে আসে। আর ওঠতে পারছিলেন না। মনে হচ্ছিল এখনি মারা যাবে।মালাকুল মউতের পায়ের আওয়াজ মনে হয় শুনতেছিল এমন।সেই বন্ধ চোখে শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় শুধু কুরআনটার  কথাই মনে পড়ছিল।মানে তার এই জন্য কষ্ট হচ্ছিল না যে সে মারা যাবে বরং মরলে তো রবের কাছেই যাবে। কষ্ট হচ্ছিল এটা ভেবে যে কুরআন রেখে একা চলে যেতে হবে।সেই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় সেজদায় দোয়া করেছিল যেন অন্তত ৩টা বছর তাকে সময় দেওয়া হয়।যাতে কুরআনটা হিফজ করতে পারে।

সেদিন রাতের পর থেকে তার অসুস্থতা  অনেক কমেছে আলহামদুলিল্লাহ।

সে না বুঝেই এমন দোয়া করে ফেলেছে।এখন যদি সে নেক হায়াত চায় তাহলে কি তাকে এর জন্য কোনো কাফফারা দিতে হবে?
এখন তার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (565,350 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


নেক হায়াত বৃদ্ধির দোয়া করা জায়েজ আছে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدِ اللَّهِ، مُسْلِمِ بْنِ مِشْكَمٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ غَيْلاَنَ الثَّقَفِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " اللَّهُمَّ مَنْ آمَنَ بِي وَصَدَّقَنِي وَعَلِمَ أَنَّ مَا جِئْتُ بِهِ هُوَ الْحَقُّ مِنْ عِنْدِكَ - فَأَقْلِلْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ وَحَبِّبْ إِلَيْهِ لِقَاءَكَ وَعَجِّلْ لَهُ الْقَضَاءَ وَمَنْ لَمْ يُؤْمِنْ بِي وَلَمْ يُصَدِّقْنِي وَلَمْ يَعْلَمْ أَنَّ مَا جِئْتُ بِهِ هُوَ الْحَقُّ مِنْ عِنْدِكَ فَأَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ وَأَطِلْ عُمْرَهُ " .

আমর ইবনে গাইলান আস-সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে আল্লাহ! যে ব্যক্তি আমার উপর ঈমান এনেছে, আমার সত্যতা স্বীকার করেছে এবং আমি যা নিয়ে এসেছি তা আপনার পক্ষ থেকে আগত সত্য বলে জ্ঞান করেছে, আপনি তার ধনবল ও জনবল হ্রাস করে দিন, আপনার সাক্ষাত তার জন্য প্রিয় বানিয়ে দিন এবং তার মৃত্যু ত্বরান্বিত করুন। আর যে ব্যক্তি আমার উপর ঈমান আনেনি, আমাকে সত্য বলে মেনে নেয়নি এবং আমি যা নিয়ে এসেছি তা আপনার পক্ষ থেকে আগত সত্য বলে জ্ঞান করেনি,আপনি তার ধনবল ও জনবল বৃদ্ধি করুন এবং তার আয়ুকাল বর্দ্ধিত করুন।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ৪১৩৩)

حَدَّثَنَا عَارِمٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ ، عَنْ سِنَانٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَنَسٌ ، قَالَ : " كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْخُلُ عَلَيْنَا ، أَهْلَ الْبَيْتِ ، فَدَخَلَ يَوْمًا ، فَدَعَا لَنَا ، فَقَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ : خُوَيْدِمُكَ أَلا تَدْعُو لَهُ ؟ قَالَ : اللَّهُمَّ ، أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ ، وَأَطِلْ حَيَاتَهُ ، وَاغْفِرْ لَهُ ، فَدَعَا لِي بِثَلاثٍ ، فَدَفَنْتُ مِائَةً وَثَلاثَةً ، وَإِنَّ ثَمَرَتِي لَتُطْعِمُ فِي السَّنَةِ مَرَّتَيْنِ ، وَطَالَتْ حَيَاتِي حَتَّى اسْتَحْيَيْتُ مِنَ النَّاسِ ، وَأَرْجُو الْمَغْفِرَةَ

আনাস (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আহলে বাইতের এখানে আসতেন। একদিন তিনি এসে আমাদের জন্য দোয়া করলেন। উম্মু সুলাইম (রাঃ) বলেন, আপনার ছোট্ট খাদেমটি, আপনি তার জন্য কি দোয়া করবেন না? তিনি বলেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি তার সম্পদ ও তার সন্তান বৃদ্ধি করো, তাকে দীর্ঘজীবি করো এবং তাকে ক্ষমা করো”। আনাস (রাঃ) বলেন, তিনি আমার জন্য তিনটি দোয়া করেন। অতএব আমি এক শত তিনটি সন্তানকে দাফন করেছি, আমার বাগানে বছরে দুইবার ফল ধরে এবং আমার আয়ু এতো দীর্ঘ হয়েছে যে, অধিক বয়সের জন্য আমি লোকজনের সামনে লজ্জাবোধ করি। এখন আমি ক্ষমা আশা করছি। 
(আল আদাবুল মুফরাদ ৬৫৭,মুসলিম।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বোনের জন্য কোনো কাফফারা দিতে হবেনা।
তার এই দোয়া করা জায়েজ হয়েছে,এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
তিনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।
ছাহাবাদের মধ্যেও নেক হায়াত বৃদ্ধির দোয়ার প্রচলন ছিলো।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...