আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। পূর্বেও করেছিলাম প্রশ্নটা আপনাকে তালাক হবে না বলেছিলেন।কিছু বাদ পরে গেছিল ঐগুলো সহ এড করে করতেছি প্রশ্ন।দয়া করে একটু বলবেন ওরা সংসার করতে চায় একসাথে।

১।ধরেন কোন মেয়ের বিয়ে তার পরিবারে মেনে নেয় নি।সে মাকে বলল আপনারা যেরকম বলেন সেরকম করব।মা বলে এতটুকুতে চলে আয়, ভুলে যা বা সাফ হয়ে যা, সে বলে ঠিক আছে।ওকে ওর স্বামী আগে বলছিল তুমি ছড়ে দিতে চাইলে আটকাব না এমনটা বলেছিল যে ওটাও বলেছিল মাকে।এরপর মা বলে সাফ হয়ে যা মানে চলে আসতে ওই বিয়ে থেকে।মেয়েটি ঠিক আছে বলেছিল।কিছুক্ষণ পর মানে একটু পর  ধরেন ১-২ মিনিট বা আরো কম সময় পর মেয়েটা ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় নাকি ওয়াশরুম  থেকে আসে কি ভাবতে ভাবতে এসে বলে কিন্তু যার সাথে বিয়ে দিবেন তাকে আমার অতীতের  মানে আগের বিয়ের কথা বলবেন।মানে এখনের বিয়েটা আর কি।এমনটা বলেছে ধরেন।মেয়েটাকে তার স্বামী তালাকের পাওয়ার দিছে।কিন্তুু সে নিজেকে তালাক দেয় নি।কথা গুলো বলেছে ঠিক কিন্তু তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে সে না না করত।মানে নিজের দিকে ইন্গিত করত না।সে জানত না মেয়েরাও কেনায়া শব্দ দ্বারা তালাক দিতে পারে নিজেকে সেটা।কথা গুলো বললেও পরে মানে  ঐদিন পরে তালাকের কথা চিন্তায় আসলে সে না না করত।ভাবত আগে বাবার সাথে কথা বলবে পরে ডিসিশন নিবে।সে  তখন খুবই ডিপ্রেশনে ছিল।কেনায়া শব্দ নতুন শুনেছিল।সে ভয়ে ছিল কোন এরকম স্বামী বলেছিল কিনা ভেবে ভেবে টেনশন করত কাদত।কি করবে বুঝতে পারতেছিল না।মেয়েটা মাকে কথা গুলো বললেও হয়ত নিজের দিকে  ইন্গিত করে বলত না।সে জানত না মনে হয় তখন মেয়েরাও কেনায়া শব্দ দ্বারা নিজেদের তালাক দিতে পারে যে সেটা তাই কথা গুলো আগে বললেও পরে যখন তালাকের চিন্তা আসে তখন না না করত।মানে কেনায়া তালাকের কথা না স্প্ষ্ট তালাকের কথা চিন্তায় আসলে না না করত মানে দিত না।।হয়ত ভাবত পরে ডিসিশন নিবে কি করবে বা পরে দিবে ডিভোর্স। মানে পরে দিলে দিবে এটা ভাবত তখন ঐ মুহুর্তে না।মানে সে ভাবত আগে বাবার সাথে কথা বলবে।কিন্তুু  পরের দিন বাবার সাথে কথা বলার সময় সে বলেছে বাবা আমি স্বামীর সাথে থাকতে চায়।সে কথা গুলো যখন মাকে বলেছিল তখন ভয়ে ছিল কোন স্বামীীর কোন কথা দ্বারা তালাক হয়েছিল কিনা এসব ভেবে।তাই মাকে ঐরকম বলেছিল।কিন্তুু সে মন থেকে স্বামীকে চায়ত।তাই সে তালাকের চিন্তা আসলে না না করত।বলতে পারেন সিদ্ধান্ত হিনতায় ছিল যখন  মায়ের সাথে কথা বলেছিল তখন।সে এখন স্বামীর সাথে থাকতে চায়।উপরের কথা দ্বারা কি কোন তালাক হবে? সে খুব চিন্তায়। সে স্বামীর সাথে থাকতে চায়।সে মাকে কথা গুলো বললেও নিজের দিকে ইন্গিত করে বলে নি মনে হয়।সে ভাবতেছিল মা বাবা যা বলে করবে কিন্তু নিজেকে তালাক দেয় নি  মনে আসলে ওয়াসওয়াসা তখন সহ না না করত।

১।শায়খ ১ নং প্রশ্নটা কি বুঝেছেন নাকি আবার লিখব?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্ত্রীর উপরে উল্লেখিত কথাগুলি দ্বারা কোন তালাক হবেনা।

প্রশ্নে উল্লেখিত দম্পতির বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে। 
তারা একসাথে সংসার করতে পারবে।
কোনো সমস্যা নেই।

(০২)
হ্যাঁ, প্রশ্নটি বুঝেছি।
পুনরায় প্রশ্ন করার প্রয়োজনীয়তা নেই।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো তালাক হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (82 points)
edited by
 ১নং প্রশ্নের মেয়েটা তখন যদি নিয়ত ছাড়া বলত ঠিক আছে আপনারা যাকে দেন তাকে করব বিয়ে মানে কথা গুলে বলার সময়,আর কি উপরের।মায়ের পাশে বসে কথা গুলো বলেছিল।কিন্তুু নিজের দিকে তালাকের ইন্গিত করে বলে নি ধরেন।এরপরে যখন এইরকম চিন্তা আসলেও না না করত মানে ওইদিনই আর কি।আগে বাবার সাথে কথা বলবে পরে ডিশিসন নিবে এমনটা ভাবত।মানসিক ভাবে খুবই ভেন্গে পড়েছিল।তহ এরকম বললে কি তালাক হবে? মেয়েটা চায় ধরেন স্বামীর সাথে থাকতে।খুবই যুদ্ধ করে যাচ্ছে এখনো। 
by (565,890 points)
এরকম বললে তালাক হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...