বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহী গ্রন্থ
আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহতুল কোয়েতিয়্যাহ নামক কিতাবে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।নিম্নে আলোচনার সেই চুম্বকাংশকে তুলে ধরছি-
سَابِعًا: صِنَاعَةُ لُعَبِ الْبَنَاتِ:
اسْتَثْنَى أَكْثَرُ الْعُلَمَاءِ مِنْ تَحْرِيمِ التَّصْوِيرِ وَصِنَاعَةِ التَّمَاثِيل صِنَاعَةَ لُعَبِ الْبَنَاتِ. وَهُوَ مَذْهَبُ الْمَالِكِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ وَالْحَنَابِلَةِ. وَقَدْ نَقَل الْقَاضِي عِيَاضٌ جَوَازَهُ عَنْ أَكْثَرِ الْعُلَمَاءِ، وَتَابَعَهُ النَّوَوِيُّ فِي شَرْحِ مُسْلِمٍ، فَقَال: يُسْتَثْنَى مِنْ مَنْعِ تَصْوِيرِ مَا لَهُ ظِلٌّ، وَمِنِ اتِّخَاذِهِ لُعَبَ الْبَنَاتِ، لِمَا وَرَدَ مِنَ الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
শিশুদের খেলনার পুতুলের বিধান।
অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরাম ফটো-ভাস্কর্যের হারাম বিধানের মধ্যে শিশুদের খেলনা পুতুল কে শামিল করেন না।এটা মালিকী, শা'ফেয়ী এবং হাম্ববলী মাযহাবের সিদ্ধান্ত।
কাযী ইয়ায রাহ. অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম থেকে এর বৈধতা উদ্ধৃতি দিয়েছেন।এবং ইমাম নববী রাহ.ও উনার অনুসরণ করে বৈধ বলেছেন।
তিনি 'আল-মিনহাজ' নামক কিতাবে উল্লেখ করেন,
ছায়াযুক্ত ফটো-ভাস্ককর্য উক্ত হারামের আওতাধীন হবে না,কেননা নাবালিকাদের খেলনার পুতুলে রুখসত(শীতিলতা) রয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/320
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শিশুদের খেলনার জন্য খেলনার পুতুল সম্পর্কে কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম রুখসত দিয়ে থাকেন। তবে সাধারণত না রাখাই উত্তম।
আপনার বর্ণনা মুতাবেক যেহেতু জরুরত রয়েছে, তাই আপনি খেলনার পুতুল ঘরে রাখতে পারবেন। নুপুরের আওয়াজ ব্যতিত শিশু শান্ত না থাকলে সেটাও রাখতে পারবেন।কেননা জরুরত অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে হালাল করে দেয়,
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।