আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।কোন মেয়ের মা ধরেন তার বিয়েটা মানতেছে না।সে এখনো বাবার বাড়িতে থাকে।সে মাকে বলতেছে ধরেন আপনারা যেটা বলবেন সেটা করব বা সেটা হবে।মা যদি বলে চলে আয় বিয়ে ওটা থেকে যোগাযোগ করিস না ওর সাথে।মেয়েটা বলে স্বামীকে বলে দি ফোন করে?  মা বলে অতটুকু তে সরে আয়।মেয়ে যদি বলে ঠিক আছে।ওকে ওর স্বামী পাওয়ার দিছে।কিন্তু মেয়েটা একটা কথাও নিজের দিকে ইন্গিত করে বলে নি।এমনকি কথা গুলো বলার পর ওর মনে তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে সে না না করত।মানে নিজেকে তালাক দিত না।মাকে যখন বলতেছিল তখন হয়ত মনে ছিল পরে দিবে তখন বা সেই মুহুর্তে না। ।বাবার সাথে কথা বলে বাবা যেটা বলে সেটা করবে এমন আসত ওর মনে।আসলে সে খুব ডিপ্রেশনে বা টেনশনে ছিল তখন।পরে যখন বাবার সাথে কথা হয় তখন বলে আমি আমার স্বামীর সাথে থাকতে চায়।একটা কথাও নিজের দিকে ইন্গিত করে বলে নি ধরেন।মনে মনে ছিল ধরেন পরে দিবে তখন না।উপরোক্ত কোন কথা দ্বারা কি তালাক হবে?

২।কোন স্ত্রী মেসেজে তালাক চাইলে স্বামী যদি বলে ঠিক আছে তুমি যেটা চাও সেটা বা সেটা হবে বা তুমি সেটা চাইলে সেটা বা সেটা হবে  এমন নিয়ত ছাড়া বা ঊদ্দ্যেশ্য ছাড়া  বললে তালাক হবে?ধরেন স্বামী জানেই না এমন বললে তালাক হবে বা কেনায়া তালাক কি সেটা।এমনিতে নিয়ত ছাড়া বলেছে ধরেন। বা ধরেন পরে অনেকদিন পরে বলেছে ধরেন তিনি সেই নিয়তে কোনদিন কিছু বলে নি।

৩।কোন স্ত্রী তালাক চাইলে মেসেজে  স্বামী যদি বলে  তুমার যেতে  ইচ্ছে হলে চলে যাও বা থাকতে ইচ্ছে না হলে থাকিও না ইত্যাদি এমন কথা বললে কি তালাক হয়? আগে একটা প্রশ্ন করেছিলাম স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর স্বামী যদি বলে যাইলে যাওগা এমন বললে তালাক হয় না বলেছিল বা বলেছিল মনে হয় যদ্দুর মনে পড়ে।তহ উপরোক্ত কথা বা আগের প্রশ্নটার কথা দ্বারা কি তালাক হয়?

৪।স্ত্রী মেসেজে তালাক চাইলে স্বামী যদি বলে ঠিক আছে ভেবে দেখ আর কিছুদিন আমার সাথে থাকতে পারবা কিনা ততদিন যোগাযোগ করিও না এমন বললে কি তালাক হয়?

৫।স্ত্রী তালাক চাইলে মেসেজে স্বামী যদি বলে ঠিক আছে, তালাকের নিয়ত ছাড়া বা উদ্দ্যশ্য ছাড়া বললে কি তালাক হয়?

৬।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে তালাক চায় আর বলে থাকতে পারব না তুমার সাথ।স্বামী যদি বলে এতটুকুতে থাকতে পারলে থাক আর থাকতে না পারলে থাকিও না চলে যাও।স্ত্রীকে যদি পাওয়ার দেয়  স্ত্রী  ধরেন নিজের দিকে ইন্গিত করে কিছু বলে নি। এখানে উপরোক্ত স্বামী স্ত্রীর কথা দ্বারা কি তালাক হবে? বা ধরেন স্ত্রী জানেও না মেয়েরা ইসলামে এই অধিকার পায় সেটা।শুনেও নি।সে যদি স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বলে তাহলে কি তালাক হবে?পরে জেনেছে ধরেন যখন কথাগুলে বলেছিল তখন ধরেন জানত না এই বিষয়ে আর ধরেন স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বলেছিল তখন।

৭।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে বলে স্বামীকে মুক্তি দাও।স্বামী যদি নিয়ত ছাড়া বলে দিলাম বা যদি বলে মুক্তি দিলাম তাহলে কি তালাক হয়?

৮।সব প্রশ্ন জানার জন্য।অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে লিখেছি। সব আমার না প্রশ্নগুলো।মানে পুরোপুরি মিল নাই একটাও ধরেন।আর কতগুলো হয়ত একটু ও মিল নেই।এতে কি কোন সমস্যা হবে স্বামী পাওয়ার দিলে উপরোক্ত প্রশ্ন করার কারনে?

৯।স্বামী স্ত্রী একসাথে একই স্কুলে পড়ালেখা করেছে।তহ ক্লাসে হুজুর ধর্ম বই পড়ানোর সময় বলেছিল ভুলেও রাগের মাথায় বিয়ের পর বউকে কোনদিন কোন ছেলে তালাক বলবি না।তহ স্ত্রীর মনে ওয়াসওয়াসা আসতেছে কোন স্বামী সেইদিন শর্ত যুক্ত তালাকের কথা বলেছিল কিনা।জানে না বলেছে কিনা।হয়ত এতদিনে স্বামীর ও মনে না থাকতে পারে।ক্লাস ৮ এর কথা।স্বামীকে কি জিগ্যেস করা উচিত হবে? ভুলভাল বা আন্দাজে উত্তর দিতে পারে হয়ত।

১০।স্ত্রী যদি বলে মেসেজে আমাকে ১ টা তালাক দিলেও আমি মানতে পারব না বা মরে যাব বা যদি বলে ১ টা তালাক হলেও মানতে পারব না।স্বামী যদি বলে  কেন এর পর আরো ২ টা থাকবে না?  বা যদি বলে এরপর আরো ২ টা আছে না? মানে স্বামী বুঝাতে চাচ্ছে ধরেন ১ টা হলেও এরপর আরো ২ টা থাকবে । কোন তালাক দেয় নি স্ত্রীকে।এমন কথার দ্বারা কি তালাক হবে?আগের কথা তহ এই ব্যাপারে স্বামীকে প্রশ্ন করা উচিত হবে?স্ত্রী স্বামীর কথা দ্বারা এমনটাই বুঝেছে।স্ত্রীর মনে হয়েছিল স্বামী এমনটাই বুঝিয়েছে।বাকিটা আল্লাহ জানে।

১১।এটা আমার প্রশ্ন না।কোন মেয়েকে ধরেন স্বামী তালাকের পাওয়ার দিছ মুখে।কিন্তু তারা স্বামী স্ত্রী ধরেন জানেই না মেয়েরাও এই অধিকার পায়।শুনেও নি।ধরেন হয়ত এটা জানত আদালতের মাধ্যমে পারে।কিন্তুু মেয়েরা পারে সেটা জানত না ধরেন। ধরেন স্ত্রী যদি নিজেকে ডিভোর্সি বলে পরিচয় দেয় বা বলে তাহলে কি তালাক হবে?এটা আমার প্রশ্ন না এমনিতে জানার জন্য করেছি।আমার স্বামী আমাকে পাওয়ার দিছে।এতে কি সমস্যা হবে কোন?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
উপরোক্ত কোনো কথা দ্বারা তালাক হবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৩)
উপরোক্ত কথা বা আগের প্রশ্নটার কথা দ্বারা তালাক হবেনা।

তবে স্বামী যদি তালাকের নিয়তে স্পষ্ট আকারে চলে যাও বা যাওগা বলে,তাহলে তালাক হবে।

(০৪)
এতে তালাক হবেনা।

(০৫)
এতে তালাক হবেনা।

(০৬)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তালাক হবেনা।

(০৭)
তালাকের নিয়ত না থাকায় এতে তালাক হবেনা।

(০৮)
স্বামী পাওয়ার দিলে উপরোক্ত প্রশ্ন করার কারনে আপনার সমস্যা হবেনা।

(০৯)
স্বামীকে জিজ্ঞাসা করা উচিত হবেনা।

(১০)
এতে উক্ত স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবেনা।

(১১)
এতে তালাক হবেনা।
এতে তালাক সংক্রান্ত সমস্যা হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...