আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
468 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম। এইটাই শেষ প্রশ্ন। আপনাদের বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত।

১. মুয়াল্লাক তালাক নিয়ে ওয়াসওয়াসা ছিল অনেক আগে থেকেই। কিন্তু এতো গুরুতর ছিল না। তো প্রথমে সন্দেহ হতো যে আমি এরকম কোনো বাক্য মুখে উচ্চারণ করেছি কি না। কিন্তু এখন আর সেই ওয়াসওয়াসা নেই আলহামদুলিল্লাহ। তো গত মাসে আমি জানতে পারি যে, মুয়াল্লাক তালাক মুখের বলার মাধ্যমেও যেমন কার্যকর হয় তেমনি লিখার মাধ্যমেও কার্যকর হয়। এরপর থেকেই ওয়াসওয়াসা শুরু হয়েছে। নিম্নের বিষয়গুলো নিয়েই মূলত ওয়াসওয়াসা হচ্ছে.....

১. অনেক সময় ইন্টারনেটে, গুগলে, ব্রাউজারে, ইত্যাদিতে মাসআলা জানার জন্য সার্চ বারে গিয়ে সেইটা লিখে সার্চ করতে হয়। আমার প্রশ্ন হলো, আমি মুআল্লাক তালাক সম্পর্কে জানার জন্য সার্চ বারে লিখি আমি যাকে বিয়ে করবো.........(ওয়াসওয়াসার কারণে লিখতে পারলাম না, আপনারা তো ঠিকই বুঝতে পারবেন)। কিন্তু এই বাক্য আদৌ আমি অতীতে লিখেছিলাম সেইটা নিয়ে সন্দেহে আছি। আমার প্রশ্ন ইন্টারনেটে মাসআলার সমাধানের জন্য এভাবে ঐ বাক্য লিখে সার্চ করলে কী কোনো সমস্যা হবে এবং এতে কি মুয়াল্লাক তালাক হবে?

২. আমি আপনাদের এবং অনেক মুফতি সাহেবদের প্রশ্ন বুঝাতে গিয়ে অনেকবার লিখেছি ঠিক এভাবে যে "আমি যাকে বিয়ে করবো সেই....."। এভাবে আমি অনেকবার লিখেছি কিন্তু তালাক শব্দটা লিখেছি কি না সেটা নিশ্চিত না। আমার প্রশ্ন আমি যদি ঠিক এভাবে লিখে প্রশ্ন করি তাহলে কী কোনো সমস্যা হবে বা মুয়াল্লাক তালাক হবে?

৩. কারও দ্বারা যদি বিবাহের আগে মুয়াল্লাক তালাক হয়েও যায় তাহলে কি সে আর কখনো বিবাহ করতে পারবে না?
৪. মুয়াল্লাক তালাক নিয়ে আমার শুধু দুশ্চিন্তা হয়। অতীতে এমন কোনো কথা বলেছি বা লিখেছি কি না সেটাও পুরোপুরি নিশ্চিত না। শুধু সন্দেহ হয়। এসকল সন্দেহের দ্বারা কি কোনো মুয়াল্লাক তালাক হবে? এসকল সন্দেহ মনে আসলে কিভাবে এড়াবো?

৫. আমার দুশ্চিন্তা হচ্ছে যে, এতো সন্দেহ নিয়ে বিবাহ করবো কীভাবে? এক্ষেত্রে অন্য কোনো উপায়ে বিবাহ করার পদ্ধতি আছে কী?

৬. যদি পদ্ধতি থেকেও থাকে তাহলে কি আমি আল্লাহর কাছে ইস্তেখারা করতে পারবো এ বিষয় নিয়ে যে, আমি কি সাধারণ নিয়মেই বিবাহ করবো নাকি ঐ বিকল্প পদ্ধতিতে?

৫.

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান মতে বিবাহের পূর্বে সাধারণত তালাক পতিত হয়না। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَنْبَأَنَا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ ح و حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ جَمِيعًا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ فِيمَا لَا تَمْلِكُ

‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তালাক দেয়ার অধিকার জন্মানোর আগে প্রদত্ত তালাক কার্যকর হয় না।

তিরমিযী ১১৮১, আবূ দাউদ ২১৯০, সহীহ, ইরওয়াহ ১৭৫১, ২০৬৯, সহীহ আবী দাউদ ১৯০০, ইবনে মাজাহ ২০৪৭ রাওদুন নাদীর ৫৭১, আত-তা'লীকু আলাত তানকীল ২/৬২।

★হ্যাঁ তবে বিবাহের পূর্বে বিবাহের দিকে ঈঙ্গিত করে শর্তযুক্ত তালাক দিলে সেই শর্ত পাওয়া গেলে বিবাহের পর তালাক হবে। 

★★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী শর্তাধীন তালাক সহীহ হওয়ার ক্ষেত্রে জরুরী হলো ঐ মহিলা সেই ছেলের বিবাহে থাকতে হবে অথবা শর্তযুক্ত বাক্যটি উক্ত মহিলার দিকে বিবাহের নিসবত করা হবে।
কেহ যদি বলে যে অমুক কাজ করলে আমার ভবিষ্যত স্ত্রী তালাক,তাহলে এখানে বিবাহের নিসবত স্পষ্ট আকারে না পাওয়া গেলেও অস্পষ্ট ভাবে তালাকের নিসবত পাওয়ার কারনে বিবাহ করা মাত্র এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
পরবর্তীতে আবারো তাকে বিবাহ করা যাবে,এক্ষেত্রে নতুনভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
,
আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
২ নং ছুরতে কোনো সমস্যা না হলেও ১ নং ছুরতটি সমস্যাকর। 
তাই উক্ত বাক্য গুলি বলা/লেখার সময় যদি আপনি তালাকের কোনো সংখ্যা না লিখে থাকেন,যখনই বিবাহ করবো,যাকে যাকে বিবাহ করবো,যতবার বিবাহ করবো ততবার,,,,,
এভাবে যদি বলে না থাকেন,তাহলেঃ-
আপনি প্রথম বার বিবাহ করে তাকে এক তাকাক প্রদান করে পুনরায় আবার তার সাথে বিবাহ পড়িয়ে নিবেন।
তাহলেই আর কোনো সমস্যা হবেনা। 

আর যদি তিন তালাকের কথা উল্লেখ করেন,বা যখনই বিবাহ করবো,যাকে যাকে বিবাহ করবো,যতবার বিবাহ করবো ততবার,,,,,
এভাবে যদি বলে থাকেন,তাহলে আপনি নিজে বিবাহ করবেননা।
একটি পদ্ধতি রয়েছে।
সেটি অবলম্বন করবেনঃ-

“আপনার কোন পরিচিত জন আপনাকে না জানিয়ে আপনার পক্ষ থেকে দুইজন স্বাক্ষ্যির সামনে কনেকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে। উক্ত মহিলা সেই বিয়ে কবুল করে নিবে। প্রস্তাবকারী আপনার কাছে এসে বলবে যে, “আমি তোমার বিয়ে ওমুক মেয়ের সাথে এত টাকা মোহরের বিনিময়ে দিয়ে দিলাম, সুতরাং তুমি মোহর হিসেবে কিছু টাকা/গহনা দাও”। তারপর আপনি কোন কথা না বলে কমপক্ষে দু’জন স্বাক্ষীর সামনে চুপচাপ মোহর বাবত কিছু টাকা/গহনা দিয়ে দিবেন। তখন উক্ত মোহর বাবত প্রাপ্ত টাকা/গহনা সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর কাছে পৌঁছিয়ে বলবে যে, এটা তোমার স্বামী মোহর বাবত দিয়েছে। এভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে।
তখন আর পূর্বোক্ত কোনো কথার দরূন কোন তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
শায়েখ আপনি বলেছেন যে, ১ নং ছুরতটি নিয়ে সমস্যা। কিন্তু এমন বাক্য আদৌ আমি ইন্টারনেটে লিখে সার্চ করেছিলাম কি না সেটা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। এখন আমি কি করবো? আমি পুরোপুরি নিশ্চিত না যে ঐ বাক্য লিখেছিলাম কি না। লিখার মাধ্যমেও মুয়াল্লাক তালাক হয় এইটা জানার পর থেকেই এইটা নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসছে যে "আমি কি আগে মুয়াল্লাক তালাক বিষয়ে জানার জন্য এমন বাক্য লিখে সার্চ করেছিলাম?"। তবে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...