ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/55291/
নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ
فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ
أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه
وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ
عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ
لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে এসে বললো, হে
আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তাঁর বাদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার আর আমার
স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে
আরোহণ করলেন, অতঃপর বললেন, হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন করো যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার। [সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১]
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم " ثَلاَثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ النِّكَاحُ وَالطَّلاَقُ
وَالرَّجْعَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু
থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি বিষয় এমন যেগুলির যথার্থ তো যথার্থই এমনকি সেগুলোর কৌতুকের
ব্যবহারও যথার্থ: বিবাহ, তালাক, রাজআত। - ইবনু মাজাহ ২০৩৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৫ ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-গারীব।
★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে। এটি নিকাহ
নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক, বা
পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে
তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত
বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/12329/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর। তবে যদি স্বামী তার
স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার দিয়ে দেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে স্ত্রী সে তার নিজের
নফসের উপর তালাক দিতে পারবে। এভাবে বললে (আমি আমার নিজের উপর তালাক দিলাম) তালাক
হবে। অন্যথায় স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে যে, ‘আমি তোমাকে তালাক দিলাম’। তাহলে এতে কোনো তালাক পতিত হয় না।
২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তালাক হয়েছে
কি না জানতে হলে বিবাহের কাবিননামা, ডিভোর্সড
পেপার দেখার প্রয়োজন। কারণ, আপনি কোন ক্ষমতা বলে তালাক দিয়েছেন? আদৌ আপনাকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিলো কি না? ক্ষমতা দেওয়া হয়ে থাকলে কয় তালাকের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিলো? ডিভোর্সড পেপারে কি শব্দে তালাক লেখা ছিলো? ইত্যাদি
বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় বিস্তারিত উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিয়ের কাবিননামা, তালাকনামা নিয়ে নিকটস্ত কোনো নির্ভরযোগ্য ইফতা বিভাগে
সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।