জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো হালাল প্রানী বিসমিল্লাহ বলে জবাইয়ের পর যদি রক্ত প্রবাহিত হয়,তাহলেই সেই প্রানী খাওয়া যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نَلْقَى الْعَدُوَّ غَدًا وَلَيْسَ مَعَنَا مُدًى أَفَنَذْبَحُ بِالْمَرْوَةِ وَشِقَّةِ الْعَصَا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَرِنْ - أَوْ أَعْجِلْ " - مَا أَنْهَرَ الدَّمَ، وَذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ فَكُلُوا مَا لَمْ يَكُنْ سِنًّا أَوْ ظُفْرًا، وَسَأُحَدِّثُكُمْ عَنْ ذَلِكَ، أَمَّا السِّنُّ: فَعَظْمٌ، وَأَمَّا الظُّفْرُ فَمُدَى الْحَبَشَةِ ". وَتَقَدَّمَ بِهِ سَرْعَانٌ مِنَ النَّاسِ فَتَعَجَّلُوا فَأَصَابُوا مِنَ الغَنَائِمِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آخِرِ النَّاسِ، فَنَصَبُوا قُدُورًا، فَمَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْقُدُورِ فَأَمَرَ بِهَا فَأُكْفِئَتْ، وَقَسَمَ بَيْنَهُمْ فَعَدَلَ بَعِيرًا بِعَشْرِ شِيَاهٍ، وَنَدَّ بَعِيرٌ مِنْ إِبِلِ الْقَوْمِ، وَلَمْ يَكُنْ مَعَهُمْ خَيْلٌ، فَرَمَاهُ رَجُلٌ بِسَهْمٍ فَحَبَسَهُ اللَّهُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ لِهَذِهِ الْبَهَائِمِ أَوَابِدَ كَأَوَابِدِ الْوَحْشِ، فَمَا فَعَلَ مِنْهَا هَذَا فَافْعَلُوا بِهِ مِثْلَ هَذَا صحيح
রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলি, হে আল্লাহর রাসূল! ‘আমরা আগামীকাল সকালে শত্রুর মোকাবিলা করবো। কিন্তু আমাদের কাছে ছুরি নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এমন বস্তু দ্বারা দ্রুত যবাহ করো যা দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয়, আল্লাহর নাম নিয়ে যবাহ করো এবং তা খাও, কিন্তু দাঁত অথবা নখ দিয়ে যবাহ করো না। আমি এর কারণ তোমাদের বলছি। দাঁত হচ্ছে হাড় আর নখ হলো হাবশীদের ছুরি। সৈন্যদের কিছু লোক সামনে অগ্রসর হয়ে কিছু গানীমাত লাভ করলো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিছনের দিকে ছিলেন। তারা গোশতের হাড়ি চুলায় বসালো।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ডেগের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর নির্দেশ মোতাবেক গোশতের হাড়িগুলো উপুড় করে ফেলে দেয়া হলো। তিনি তাদের মধ্যে গানীমাত বণ্টন করলেন এবং একটি উটকে দশটি বকরীর সমান ধরলেন। দলের মধ্যকার একটি উট পালিয়ে যায়। তখন তাদের নিকট ঘোড়া ছিলো না। এক লোক (উটকে লক্ষ্য করে) তীর ছুঁড়লে মহান আল্লাহ উটটিকে থামিয়ে দেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এরূপ পশুর মধ্যেও পালাতে তৎপর পশু আছে, বা বন্য পশুর মধ্যেও থাকে। সুতরাং (যে পশু পালাবে) তোমরা সেটির সাথে এরূপ আচরণ (তীর নিক্ষেপ) করবে।
(আবু দাউদ ২৮২১)
★ইসলামী শরীয়ত সম্মত পন্থায় জবাই করার পদ্ধতি হলো হলোঃ
মুসলিম অথবা আহলে কিতাব ব্যাক্তি বিসমিল্লাহ বলে জবাই করবে।
জবাই করার সময় চারটি রগ কাটতে হবে। সে চারটি রগ হচ্ছে, শ্বাস নালী, খাদ্যনালী এবং শ্বাস নালীর দুই পার্শ্বের দুটি মোটা রগ। কোনো কারণে চারটি রগ না কেটে তিনটি কাটলে গোশত খাওয়া বৈধ হবে। কিন্তু তিনটির কম কাটলে সেই পশু বা পাখি মৃত বলে গণ্য হবে এবং তা খাওয়া বৈধ হবে না। (বেহেশতি জেওর, পৃষ্ঠা-৩৭৫)
যে কোন পশু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম তথা বিসমিল্লাহ বা আল্লাহু আকবার বা আল্লাহ তাআলার সাথে খাস আল্লাহ তাআলার যে কোন নাম উচ্চারণ করা আবশ্যক। যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহর নাম না নেয়া হয়, তাহলে উক্ত পশু খাওয়া জায়েজ হবে না।
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জবাই শুদ্ধ হওয়ার জন্য জবাইয়ের সময় মুরগীর যে কয়টি রগ কাটা আবশ্যক, সেই রগ গুলো যেহেতু প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কাটা হয়,সুতরাং এভাবে মারা যাওয়া প্রাণী হালাল।