আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
edited by
১.'আল্লাহ কাছে ঠেকা থাকা' এটা কি অনেক বড় বদ দোয়া?

২.কারো সাথে যদি টাকা-পয়সা সংক্রান্ত কোনো ঝামেলা হয় এবং সেখানে টাকার সংখ্যা অই মুহূর্তে মনে না আসলে (কিছু এদিক সেদিক হলে)কেউ যদি বলে 'আপনি আল্লাহর কাছে ঠেকা থাকবেন',তখন কি করা উচিত??যদি কারোই সঠিক এমাউন্ট টি মনে না থাকে?
*সেই সাথে যদি মনে খচখচানি হয় যে  কিছু কম বেশি হতে পারে, কি করা উচিত?

*লজ্জায় বা অপমান বোধে কেউ সেই টাকা দান করে দিতে চায়,  সে কি দান করতে পারবে? নাকি উক্ত ব্যাক্তি কেই টাকাটা দিতে হবে?

৩.ব্যাবসার পার্টনারশিপে ক্ষেত্রে কেউ যদি মিথ্যা বলে,সেটার প্রমাণ যদি পাই এবং ব্যাক্তিটি যদি অসীকার করে, তারপরও আমি যদি সঠিক হিসাব করেই ভাগ-বাঁটোয়ারা করি, এতে যদি কারো কোনো কিছু বলার না থাকে তাহলে কি এখানে কোনো সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (708,320 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
এর অর্থ শেষ বিচার দিবসের হাওলা করা।জ্বী, এটা অনেক বড় বিষয়। অর্থাৎ আল্লাহর কাছে বিচার দায়ের করা।

(২)
সঠিক ভাবে মনে করতে হবে, কার কাছে কার কতটুকু পাওনা,তারপর উক্ত পাওনাকে পরিশোধ করতে হবে। সদকাহ করলে হবে না, বরং মালিককে তার প্রাপ্য দিতেই হবে।

(৩)
প্রশ্নটি অস্পষ্ট।দয়াকরে বুঝিয়ে লিখে ইডিট করে কমেন্টে উল্লেখ করবেন।নতুনকরে কোনো প্রশ্ন করবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...