আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ, অনেক অসহায় হয়ে লিখছি আপনার কাছে,,, যদি উত্তর দিতেন আমার খুব উপকার হত।
হাসবেন্ডের অনুমতি ছাড়া যেহেতু আমি ডিভোর্স দিলে শরিয়াহ নিয়মে তালাক হবে না+তালাক নিতে হলে তার কাছ থেকে জোর করেই নিতে হবে,,আর উনি আমার কাছে বার বার মাফ চাচ্ছে আর বলছে তার ভুল বুঝতে পেরেছে, সব শুধরে নিবে, আমি শুধুমাত্র আল্লাহর অভিশাপের ভয়ে তাকে মাফ করে দেওয়ার কথা ভাবছি, আবারও তাকে বিশ্বাস করে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছি।
কিন্তু আমার ফ্যামিলি তাকে বিলিভ করতে পারছে না, তাদের মতে সে আমাকে আলাদা রাখলেও শান্তি হবে না।তারা যথেষ্ট ভয় পাচ্ছে আমাকে নিয়ে গিয়ে আবার আগের মত নির্যাতন করে কিনা,,
আব্বু বলছে আমি যদি ওর কাছে ফিরে যেতে চাই তাহলে যেতে পারব৷ কিন্তু আব্বুর সাথে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না.... আমার আব্বুকে আমি অনেক ভালবাসি, আব্বুর সাথে সম্পর্ক না থাকা আমার কাছে বেচেও মরে যাওয়ার সমান। কিন্তু আব্বুকে কোনোভাবেই রাজি করানো সম্ভব হচ্ছে না, কারণ আব্বু অনেক জেদি, ৩০/৪০বছর আগের হওয়া ঝগড়ার কারণে এখনো নিজের বোনের সাথে কথা দূরে থাক, মুখ ও দেখেন না। তাই আমি খুব অসহায় অবস্থায় আছি,  কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না, আমার হাসবেন্ডকে অনেক বুঝাইছি যেন সে আমাকে নিজ থেকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়, কিন্তু তার এক কথা,সে দিবে না ডিভোর্স।  তার কাছ থেকে ডিভোর্স নেয়া মানে তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করে ডিভোর্স নেওয়া।
১)কিন্তু এভাবে মামলা করে তার কাছ থেকে জোর করে ডিভোর্স নিলে আমার উপর আল্লাহর অভিশাপ পড়বে না?
২) ফ্যামিলির সবাই বলছে আব্বুর মনে কষ্ট দিয়ে এভাবে হাসবেন্ডের কাছে গেলে আমার কখনো সুখ হবেনা,, আব্বুর দীর্ঘশ্বাস আমার উপর অভিশাপ হয়ে থাকবে সারাজীবন।
হাসবেন্ড এর কাছে চলে যাওয়া মানে আমার পুরো ফ্যামিলি কে হারানো, তারা কেউ কখনো আমার দিকে মুখ ফিরে চাইবে না।এখন আমি কি করব শায়েখ? কোনটা আমার জন্য ভাল হবে? যেকোনো একটা বেছে নিতে হবে আমাকে।

1 Answer

+1 vote
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিনা কারণে তালাক আবেদন কারী মহিলা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
ﺃَﻳُّﻤَﺎ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓٍ ﺳَﺄَﻟَﺖْ ﺯَﻭْﺟَﻬَﺎ ﻃَﻼَﻗًﺎ ﻓِﻰ ﻏَﻴْﺮِ ﻣَﺎ ﺑَﺄْﺱٍ ﻓَﺤَﺮَﺍﻡٌ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﺭَﺍﺋِﺤَﺔُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ . ‘
যে মহিলা বিনা কারণে তার স্বামীর নিকটে তালাক্ব চায়, তার জন্য জান্নাতের সুগন্ধিও হারাম’।
[আবুদাউদ হা/২২২৬; তিরমিযী হা/১১৮৭; ইবনু মাজাহ হা/২০৫৫; মিশকাত হা/৩২৭৯, সনদ ছহীহ।]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/468

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ লিখেন,
ويلزم الإنسان طاعة والديه في غير المعصية وإن كانا فاسقين ، وهو ظاهر إطلاق أحمد ، وهذا فيما فيه منفعة لهما ولا ضرر ، فإن شق عليه ولم يضره : وجب ، وإلا فلا
গোনাহের কাজ ব্যতীত মুবাহ কাজে,মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।যদি তার ফাসিকও হয়।এটা তখন যখন তাতে মাতাপিতার ফায়দা থাকবে,এবং সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক হবে না।যদি সন্তানের উপর কষ্টদায়ক হয় তবে ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে তখন মাতাপিতার আদেশ মান্য করা ওয়াজিব।(আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৫/৩৮১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্বামী ক্ষমা চেয়েছে সে আর এমনটা করবেন।আপনার উপর জুলুম নির্যাতন করবে না। আপনি আপনার স্বামীকে বলুন যে, আপনি একটি জিডি করবেন, এবং তাতে সবিস্তারে আপনার স্বামীর অতীতের নির্যাতন ও ক্ষমা চাওয়ার কথা উল্লেখ থাকবে। তারপর আপনি তাকে বলবেন,আপনার পরিবের দুইজন এবং তার পরিবারের দুইজন ব্যক্তির সামনে সে ক্ষমা চাইবে।যদি সে তাতে রাজি হয়, তাহলে তখন আপনার উচিৎ, স্বামীর কথামত তার বাড়িতে চলে যাওয়া। তখন যদি আপনার পিতা বাধা দেন, তাহলে আপনার পিতার বিধিনিষেধ আপনার জন্য মান্য করা ওয়াজিব হবে না এবং তখন পিতার না বাচক বাক্যকে মান্য করা জায়েযও হবেনা।

যদি সে জিডি করতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে হয়তো সে ভবিষ্যতেও আপনার উপর নির্যাতন করতে পারে, তাই তখন আপনার উচিৎ, পিতার দিকনির্দেশনাকে মান্য করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...