আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
614 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হযরত।আশাকরি আল্লাহ আপনাকে এবং আপনাদের সকল কে অনেক ভাল রেখেছেন।হুজুর আমি এমন এক সমস্যায় ভুগতেছি, না পারি কাওকে বলতে না পারি সইতে।হুজুর প্রবলেম বলার আগে একটা কথা জানিয়ে রাখি সেটা হলো আমি একবার আমার বিবিকে রাগের মাথায় মুখ ফসকে ফোনে তালাক বলে দিছিলাম,,(তখন ৫-৬ মাস খুবই পেরেশানি তে ছিলাম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এমনকি যাদু টোনা করার সম্ভাবনাও ছিলো অনেকটা) কি করার তালাক তো হয়েই যাবে আমিও মেনে নিছিলাম।এরপরে আমরা প্রায় ২ বছর ধরে সংসার করি,কিন্তু তালাক পতিত হবার আগে আমি একটা কথায় স্ত্রি কে হারাম বলেছিলাম।পরে জানতে পারি যে হারাম বললে ১ তালাক বায়েন হবে,,পরে আমরা হুজুরের পরামর্শ নতুন করে বিবাহ করে নেই।(যদিও আমার কাছে লাগে যে তালাক হয়নি,কারন নিয়্যাত +মজলিশ ভিন্ন ছিলো,তবুও আমি মেনে নিছি আপাতত, কারন পরিপূর্ণ তো আর ৩ তালাক হয়নাই তাই) তো সে হিসেবে আমি আর এক তালাকের অধিকারি বলে আছি শরিয়ত মোতাবেক।

এখন আসি বর্তমান সমস্যা নিয়ে।আমি প্রচন্ড ভাবে ওয়াসওয়াসা তে ভুগতেছি,আমি যে বিষয়ে নিশ্চিত সেই বিষয়েও সন্দেহে পড়ে যাচ্ছি।

হুজুর আমি রমজান মাস কে ভালো করে কাটানোর জন্যে আমি দোয়ার মধ্যে ৩-৪ টা গুনাহ কে খাছ করি এবং বলি আমি যদি এই গুনাহ গুলি ইচ্ছাকৃত ভাবে সার্চ দিয়ে নিজ উদ্যোগে দেখি এবং গুনাহ করি তাহলে আমার বিবি তালাক।(বিঃদ্রঃ আমি জানতাম না যে এমন বিষয়ে তালাকের শর্ত করলে আল্লাহ রাগ করেন,আমি না বুঝে এবং নিজেকে গুনাহ থেকে হেফাজত রাখতে এমনটা বলেছিলাম)

তো যাইহোক আলহামদুলিল্লাহ আমি যে বিষয়ে আমি খাছ করেছিলাম বা যে গুনাহ গুলি নির্দিষ্ট করেছিলাম অই গুনাহ গুলি কখোনো করিনাই রমজান মাসের মধ্যে।

আমি অন্যান্য গুনাহ করেছি এবং এ নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ বা দ্বিধান্বীত ছিলাম না।যাইহোক রমজান শেষে ইদের রাত্রে আমি গুনাহ করি কারন আমার তো শর্ত ছিলো রমজান মাস পর্যন্ত। উদাহারন স্বরূপ ধরেন গান শুনলাম যাকে আমি খাছ করেছিলাম।গান খাছ করিনাই আমি উদাহারন দিচ্ছি গান দিয়ে।

তো ইদের রাতেও বা ২-৩ দিন পর্যন্ত মনে কোনো সন্দেহ ছিলোনা আমার।কিন্তু ১০-১২ দিন পর থেকে হুট করে আমার মনের মধ্যে আসতে লাগলো আচ্ছা আমি কি রমজান বলছিলাম না ইদের রাত পর্যন্ত গুনাহ করবোনা শর্ত দিয়েছিলাম! এটা সন্দেহ নাম্বার ১।

আমি যদি সেদিন বিষয়টি সিম্পল নিতাম তাহলে আজ আমাকে এই দিন দেখা লাগতোনা।যাইহোক আমি অযথা জিনিস টাকে পেচাই এবং একটা সু স্পষ্ট সহজ বিষয় কে কঠিন করে তুলি।পরবর্তীতে মুফতি সাহেব দের কে প্রশ্ন কর উনারা বলেন যেদিকে গালেবে জন হবে সেদিকে প্রাধান্য পাবে, পরে আমি ভালো মতোন ভেবে দেখলাম এবং সুনিশ্চিত হইলাম যে আমি রমজান পর্যন্ত বলেছিলাম।দোয়া+সদকা করেছিলাম। আমার কাছে লাগতো অল্প সন্দেহ হলেই বুঝি তালাক হয়ে যাবে।

এরপরে টানা ৫-৬ মাস কোনো সন্দেহ ছিলোনা,এরপরে আবার শুরু হয় যে আমি তো কার্টুন দেখছিলাম এটার দ্বারাও কি শর্ত ভঙ হবে!

আমি শর্ত এভাবে দিয়েছিলাম যে সত্যিকারের কোনো নারী পুরুষের খারাপ(বিস্তারিত না বলি) কিছু দেখবোনা,,,কিন্তু আমি যখন কার্টুন দেখছি তখন আমি পুরাপুরি নিশ্চিত ছিলাম যে আমার শর্ত ভঙ্গ হবেনা কারন এখানে সত্যিকারের মানুষ নাই।আর আমার শর্ত ছিলো সত্যিকারের নারী পুরুষ।৷৷ ৷৷.

আমি উদাহারন দিয়ে একটু বুঝাই (সিনেমা/মুভিতে সত্যিকারের মানুষ থাকে কিন্তু কার্টুন এ সত্যিকারের মানুষ থাকেনা,কিন্তু গল্প একই থাকে,একশন থাকে, মারামারি হাসাহাসি সব কিছুই থাকে।সেজন্য আমার সন্দেহ আসে মনে যে  কার্টুন এ তো মুভির মতোন ঘটনা থাকে এরদ্বারা যদি কোনো প্রবলেম হয়!) যদিও আমি পুরাপুরি নিশ্চিত  এমনকি যখন কার্টুন জাতীয় কিছু দেখি তখন আমার মনের মধ্যে দৃঢ়তা ছিলো যে আমি সত্যিকারের মানুষ মুখে উচ্চারণ করেছিলাম সুতরাং কার্টুন এ সত্যিকারের মানুষ নাই সেজন্য এটা আমি দেখতে পারবো আর যখন শর্ত দেই তখন দিলে কোনো প্রকার এমন নিয়্যাত ছিলোনা যে কার্টুনও দেখবোনা বা দেখবো। আর মুখে উচ্চারণ করে যেহেতু সত্যিকারের মানুষ বলেছিলাম সেজন্য সত্যিকারের মানুষ পাওয়া যাওয়াটাই শর্ত।আর সত্যিকারের মানুষ বলে মূলত সত্যিকারে জীবত নাড়ি পুরুষ বুঝিয়েছিলাম।

কিন্তু ৫-৬ মাস পর থেকে ওয়াসওয়াসা আসলো যদি এর দ্বারাও হয়!!যাইহোক খুবি পেরেশান হইলাম এবং ভাবতেইই থাকলাম পরে আমি অসুস্থ হবার উপক্রম। পরে আবারো ৩-৪ জন মুফতি সাহেব কে বললাম উনাদের একটাই কথা শর্ত যা মুখে দেয়া হবে সেটাই হবে,আশপাশেও যদি কোনো কাজ হয় তাহলে শর্ত ভঙ্গ হবেনা। যেহেতু শর্ত মোতাবেক হয়নি সেজন্য তালাক হয়নি।

এরপরে আবার সে রমজান মাস না ইদের রাত এমন ওয়াসওয়াসা আসতে শুরু করলো এবং আবার একা একা চলে গেলো আল্লাহর কাছে দোয়া করার পর।

আমার প্রশ্ন বিস্তারিত হয়ে যাচ্ছে আমি বড় করবোনা,,,আমি মাত্র ২টা ওয়াসওয়াসা ঘটনা তুলে ধরলাম।আমি হিসাব করেছি  এভাবে আমার ১৩-১৪ বার বিভিন্ন বিষয়ে ওয়াসওয়াসা আসছে।

আমি সেখান থেকে ২টা উল্যেখ করলাম।অহেতুক সব বিষয়ে আসে এবং সুনিশ্চিত কে অনিশ্চিত বানায় দেয়,সন্দেহে ফেলে দেয়। এটা না হলে যদি সেটা হয়,সেটা হলে যদি এটা এভাবে হয় ইত্যাদি। প্রতিবার একটা মাসালা হল করার পর আরেকটা বিষয়ে সন্দেহ শুরু হয়।

এখন কথা হলো আমি শর্ত দিয়েছিলাম একসাথে এই ভাবে যে ❝আমি ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজ উদ্যোগে সার্চ দিয়ে খুজে সত্যিকারের  মহিলা পুরুষের ... খারাপ (বিস্তারিত বললাম না) যেকোনো কিছু দেখি তাহলে আমার বিবি তালাক❞

এভাবে বলার কারন হলো এই গুনাহ তে আমি আসক্ত ছিলাম,,,আমি ছাড়তে চাইছিলাম সেজন্য এভাবে বলছিলাম।

আলহামদুলিল্লাহ আমি কসম করে বলি এবং সবসময় কসম করতে পারবো তা হলো আমি আমার শর্ত অনুযায়ী এমন কোনো গুনাহ করিনাই কিন্তু মনের ভিতর ওয়াসওয়াসা থাকে যে সেম গুনাহ করোনাই কিন্তু অন্য গুনাহের দ্বারাও যদি আল্লাহ না করুন তোমার অজান্তে তালাক হয়ে যায়!

হুজুর ধরেন আমি গান শুনবোনা কিন্তু আমার বন্ধু গান চাইলো আমি তাকে জিনিসটা এমন ভাবে পাঠিয়েছি যাতে আমি না শুনতে পাই,আমার শর্ত ছিলো না শুনা(উদাহারন) , কিন্তু পাঠানো তো নয়।যাইহোক আমি পাঠাই কিন্তু কসম আমি জানতাম না যে শেয়ার করার সময় গান প্লে হবে, যখনি প্লে হইছে আমি সাথে সাথে অফ করে দিছি।আমি এই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম যে কিছুই হবেনা কারন আমি তো ইচ্ছাকৃত ভাবে করিনাই এবং আমার শর্ত ছিলো ইচ্ছাকৃত ভাবে করা।

কিন্তু ওয়াসওয়াসা রোগ শুরু হবার পর থেকে শেষ পর্যন্ত এসে এখন এই যায়গায় ওয়াসওয়াসা আসতেছে যে অনিচ্ছাকৃত ভাবে কানে আওয়াজ আসার কারনে তো আবার তালাক হবেনা!কিন্তু আমি কল্পনাও করতে পারিনাই যে এই বিষয়েও আমি ওয়াসওয়াসা তে ভুগবো।

সেম ভাবে অন্য গুনাহের সময় অনিচ্ছাসত্ত্বেও এমন কিছু আসছে কিন্তু কসম আমি কখোনো দেখিনাই আসলেই চোখ সরায় নিছি এবং এগুলা নির্দিষ্ট করে শর্ত অনুযায়ী সার্চ ও দেইনি।কিন্তু এতোদিন পর এসে আমার মনের মধ্যে ওয়াসওয়াসা আসে যে ইচ্ছাকৃত ভাবে হোক আর অনিচ্ছাকৃত ভাবে হোক চোখ পড়ছে তো,,,এর দ্বারাও যদি কোনো প্রবলেম হয়!

হুজুর আমি আবারো বলতেছি আমি কসম করে বলতে পারবো এবং এর চেয়েও কঠিন কিছু থাকলে আমাকে বলেন আমি সেটাও করতে পারবো,, আমি কখোনো নিজ ইচ্ছাকৃতভাবে আমার শর্ত ওয়ালা কোনো গুনাহ করিনাই এবং যখনি সামনে আসছে আমি ২য় বার আর তাকাইনি চোখ সড়িয়ে ফেলছি।আমি এই ব্যাপারে একদম পরিপূর্ণ একিন আছে।

আবার স্পষ্ট ভাবে দেখিনাই কিন্তু অন্য কাজ করতে গিয়ে অস্পষ্ট ভাবে পাশে কোনো কিছু আছে বুঝতে পারছি কিন্তু আমি দেখার উদ্যেশ্যে তাকাইনি আমি আমার কাজ করে চলে গেছি,,ভয় হয় এর দ্বারাও কি কোনো প্রবলেম হবে।নামাজে দাড়ালে আমি সেজদার দিকে তাকায় থাকি কিন্তু সামনের কাতারে বা পাশে যদি কিছু থাকে বা নড়াচড়া করে সেটা তো উপলব্ধি করা যায় এখন এই উপলব্ধি করার দ্বারা কি দেখার উদ্যেশ্য আসবে?? কারন আমি স্পষ্ট ভাবে তো কিছুই দেখিনাই আমি এগুলা এড়িয়ে গিয়ে আমি আমার কাজ করে গেছি।কারন আমি জানতাম আমার সামনে এগুলা আসবে কারন আমি অনলাইনে কাজ করি,সেজন্য আমি শর্তের সাথে ইচ্ছাকৃত ভাবে কথাটি স্পষ্ট করে উল্যেখ করেছিলাম।

এগুলা রোগে আক্রান্ত হয়ে আমি যেসব সমস্যা ফিল করতেছি তা হলোঃ

১/আমার ওজন ৩ মাসে ৫ কেজির মতোন কমে গেছে

২/কিচ্ছু খাইতে পারিনা,খানার ব্যাপারে অনিহা

৩/ঘুম থেকে উঠলে বিক্ষিপ্ত চিন্তা মাথায় যেকে বসে

৪/দিনের একটা সময় বেশি প্রবলেম হয়

৫/হুজুর রা বলছিলেন এগুলা নিয়ে না ভাবতে কিন্তু আমি যখনি ভাবি তখনি এগুলা আমাকে জেকে ধরে অন্যথায় প্রবলেম হয়না

৬/আমি ওসিডি নামক রোগের প্রায় সব লক্ষনি আছে এবং বদ নজর ওয়াসওসার রুকাইয়া করবো ভাবছি

হুজুর এখন আমার প্রশ্ন হলো...অর্থাৎ আমি জা জানতে চাই

১/হুজুর আমি বিগত ৭-৮ মাস আগের কথা কিছুই মনে নাই,আমি আর পারিনা ব্রেনের উপর চাপ দিতে তবে এতোটুকু আমি নিশ্চিত যে আমি কোনো অবস্থায় আমার শর্ত অনুযায়ী শর্ত ভঙ্গ করিনাই,এখন আমার কি করণীয়?

২/হুজুর আমার অজান্তে যে প্রবলেম গুলি হইছে অর্থাৎ আমার অজান্তে চোখের সামনে অই জিনিসগুলো আসছে এবং আমি সাবধানতা অবলম্বন করছি সবসময়। হয়তোবা আমি উক্ত জিনিস আমি না দেখে কাওকে দিছি অথবা চোখ আসলে ফিরিয়ে নিয়েছি হুবুহু কিচ্ছু খেয়াল নাই।কারন খেয়াল করতে গেলে সম্ভাবনা ময় কয়েকটি দিক আসে কিন্তু সুনিশ্চিত না।কিন্তু এই বিষয়ে একদম পুরাপুরি সুনিশ্চিত যে শর্তযুক্ত বিষয় আমি কখোনো ইচ্ছাকৃতভাবে দেখিনাই বা দেখার ইচ্ছাও পোষন করিনাই।যখনি সামনে আসছে চোখ ফিরিয়ে নিয়েছি অথবা সবাধানতা অবলম্বন করছি যাতে আমার চোখে না পড়ে।এতে করে কি কোনো প্রবলেম হতে পারে?তালাক হইতে পারে?আমি আবারো বলছি আমি শর্তের ব্যাপারে  সুনিশ্চিত, শর্তযুক্ত কাজ আমি করিনাই কিন্তু আশপাশের জন্যে ভয় করে।

৩/হুজুর আমি কখোনো শর্তযুক্ত কর্মের জন্যে কখোনো নিজ উদ্যোগ নিয়ে কিছু করিনাই কিন্তু অন্য কাজ করতে গিয়ে বা শর্ত দেইনাই এমন কাজ করতে গিয়ে সামনে আসছে আর আমি সেদিকে চোখ পরার সাথে সাথে চোখ ফিরিয়ে নিয়েছি। এরদ্বারা কি তালাক হবে?

৪/হুজুররা বলেছিলেন শর্তযুক্ত তালাকের মাসালা বলে এমন যে যেই শর্ত দেয়া হবে হুবুহু সেই শর্ত যখন পাওয়া যাবে তখনি বলে তালাক হবে নতুবা তালাক কোনো অবস্থা তেই হবেনা। অর্থাৎ অল্প সল্প হলে হবেনা পরিপূর্ণ ভাবে হতে হবে, আসলে মাসালা কি এমনি??

আমি কয়েকটি এমন মাসালা দেখেছিলাম যে একসাথে ২-৩ টা শর্ত দিয়েছে কেও, সেখানে ১ টা শর্ত পাওয়া গেছে কিন্তু শর্ত সব একসাথে পাওয়া যায়নাই সেজন্য তালাক পতিত হয়নাই।আপনাদের এখানেও এমন মাসালা দেখেছিলাম https://ifatwa.info/38147/

আলহামদুলিল্লাহ আমি পরিপূর্ণ একিন যে আমি শর্ত ভঙ্গ করিনাই কিন্তু আশপাশের জন্যে ভয় হয়।এই ভয় ছিলোনা কিন্তু এখন হয়, যখন থেকে বেশি ভাবা শুরু করেছি তখন থেকে।

৫/হুজুর আমি যদি গুনাহ করি বা দুনিয়ার মজমাস্তিতে লিপ্ত থাকি তখন কোনো ওয়াসওয়াসা আসেনা কিন্তু যখনি একটু ভালো কাজ করতে যাই বা আল্লাহ বিল্লাহ করতে যাই তখনি এমন প্রবলেম হয়।

৬/হুজুর আমি অতিতের বিষয়ে নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গেলে সু নিশ্চিত ভাবে কিছু মনে করতে পারিনা।আর সু নিশ্চিত বিষয়ের মাঝেও সন্দেহ ঢুকে যায়।এক্ষেত্রে কি করণিয়? ইসলাম কি বলে, এর দ্বারা কি তালাক হবে বা আমি চিন্তা করতেই থাকবো?

৭/হুজুর কয়েকজন মুফতি সাহেবকে প্রশ্ন করার পরো মনে ওয়াসওয়াসা আসে যে ভূল বলে নাই তো? বা আমার প্রশ্ন বুঝেনাই এমন হয়নাই তো!!এগুলা ক্ষেত্রে নিজের মোন কে কি বুঝাবো?

৮/সামনে আমার এমন ওয়াসওয়াসা আসলে আমি কি করবো? আমি ভাবতে চাইনা কিন্তু আবার মনে হয় যদি কোনো ক্ষতি হয় সেজন্য ভাবতেই থাকি আর তখনি যায় প্যাচ লেগে,,
আবার আমি একটা বিষয়ে আল্লাহর কাছে সদকা করে যখন আমার মোন সুনিশ্চিত হয় এবং কসম করতে পারি এমন একিন পর্যায় যায়   তখন মাঝে মাঝে মনে ওয়াসওয়াসা আসে আমি কি নিজের সাপোর্ট করতেছি না তো??

তখন আমি ভয় পেয়ে যাই এবং আল্লাহর কাছে বলি যে আল্লাহ তুমি সাক্ষি থাকো আমি সত্যি বলছি।আমি মিথ্যা বলেই বা কি করবো,,তুমি তো আমার দিলের খবরো যানো আর মৃত্যুর পর তোমার সামনেই তো দাড়াতে হবে।তখন আবার মোন কিছুটা হালকা হয়।এক্ষেত্রে কি করণিয় হুজুর??

এখন হুজুর বলেন আমি কি করবো??

আমার ব্যাপারে শরিয়তের কি হুকুম?

আমি ইনশাআল্লাহ এরপর থেকে আর কখোনো এগুলা নিয়ে ভাববোনা এবং কাওকে প্রশ্ন করবোনা।যদিও ইতিপূর্বে সকল মুফতি সাহেব বলেছেনে যে এগুলা নিয়ে না ভাবতে না পড়তে এবং এই সংক্রান্ত কোনো মাসালা না পড়তে,,কিন্তু আমি বার বার কথা অমান্য করি আর তালাকের মাসালা পড়ি।

সেজন্য এবার মনে যাতে কোনো সন্দেহ না থাকে সেজন্য লিখেদিলাম,,আমার মনে হয় যে আমি কি কিছু লুকাইছি হুজুরদের নিকট!সেজন্য লিখে প্রশ্ন করলাম,যাতে কোনো সংশয় না থাকে।আর হুজুর আমার আলহামদুলিল্লাহ একটা মেয়ে হইছে গত ৩ মাস আগে তাকে যখনি কোলে নেই বা আদর করি তখন চিন্তা আসে,ওয়াইফের সাথে থাকলে মাঝে মাঝে এমন উলটা পালটা চিন্তা এসে আমাক কাবু করে ফেলে।

হুজুর সুনিশ্চিত বিষয় গুলির মধ্যেও এখন আমাকে দ্বিধাদ্বন্দে ফেলায় দেয়,আমি কি করবো বুঝতেছিনা।হুজুর আমাকে ছোট ভাই ভেবে পরামর্শ দিবেন এবং নসিহাত করবেন।

আমার সামনে কি করণিয় সেটাও জানাবেন।

জাজাকাল্লাহ

আর আমি আল্লাহর হুকুম নিয়ে এভাবে হেলা ফেলা করার জন্যে খুবই লজ্জিত।আসলে আমি আগে জানতাম না।আর আমি এখানে যা বললাম সব সত্যি বললাম, কোনো কিছুই মিথ্যা বলিনাই বা লুকাইনি।

আর হুজুর আমি আসলেই খুবই পেরেশানি তে থাকি,আমি বুঝতেছিনা কিভাবে কি লিখবো,আমার লিখার মধ্যে কোনো বেয়াদবি প্রকাশ পাইলে আমাকে মাফ করে দিবেন।
by (16 points)
একটু দ্রুত জবাব পাইলে খুবই ভালো হইতো।
by (16 points)
প্রিয় ভাই, 
১) আশা করি, মুফতি সাহেবগণ আপনার বিষয়টির ওপর সামগ্রিকভাবে উত্তর দিবেন, ইনশাআল্লাহ। সবর করুন, ইনশাআল্লাহ। 

তবে, দ্বীনি ভাই হিসেবে আপনাকে দুটি পরামর্শ দিবো। 

প্রথমত,
তালাক এর মাসয়ালা খুবই সেন্সিটিভ। তাই, অফলাইনে নির্ভরযোগ্য কোন ইফতা বিভাগে আপনার মাসয়ালাটি নিয়ে কথা বলুন, ইনশাআল্লাহ।

দ্বিতীয়ত, 
আপনার বদ নজর, জাদু টোনা, জ্বীনের আছর, ওয়াসওয়াসা কোন সমস্যাটি আছে বা আদৌ আছে কিনা তা বুঝতে আপনার জন্য ভালো মানের রুকইয়া করানো দরকার মনে হচ্ছে (আল্লাহই ভালো জানেন)। তাই, ভালো মানের একজন রাকীর সাথে কনসাল্ট করুন, ইনশাআল্লাহ। (আবার দেখেন কোন জাদুকরের কাছে চলে যাইয়েন না) 

মহান আল্লাহ আপনার সমস্যাগুলো দূর করে দিন, আমীন। 

1 Answer

+1 vote
by (671,200 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

وشرط الحنث في قولہ إن خرجت مثلاً فأنت طالق أو إن ضربت عبدک فعبدي حر لمرید الخروج والضرب فعلیہ فورًا؛ لأن قصدہ المنع عن ذٰلک الفعل عرفًا ومدار الأیمان علیہ، وہٰذہ تسمی یمین الفور۔ (درمختار، الأیمان / باب الیمین في الدخول والخروج والسکنیٰ، مطلب في یمین الفور ۵؍۵۵۳-۵۵۴ زکریا، ۳؍۷۶۱-۷۶۲ دار الفکر بیروت، وکذا في البحر الرائق / باب الیمین في الدخول ۴؍۳۱۵ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
কেহ যদি বলে তুমি যদি বের হও,,তাহলে তুমি তালাক, অথবা তুমি যদি তোমার গোলামকে প্রহার করো,তাহলে আমার গোলাম আযাদ,তাহলে এটির বিধান তাৎক্ষনিক হবে।
কেননা তার উদ্দেশ্য ছিলো ঐ কাজ থেকে সেই সময়েই বিরত রাখা,( সারাজীবন এর জন্য নয়)।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক পতিত হয়নি।
আপনি নির্ভয়ে থাকুন,এগুলো বিষয় নিয়ে আর না ভাবার পরামর্শ রইলো। 

(০২)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা। 

(০৩)
এরদ্বারা তালাক হবেনা।

(০৪)
আপনি নিশ্চিত থাকুন, তালাক হয়নি।

(৫.৬)
আপনি এধরণের চিন্তাভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
নিজের কাজে মনোযোগী হোন।

(০৭)
এগুলো নিয়েও ভাবতে হবেনা।
কোনো সমস্যা হয়নি।

(০৮)
আপনি সেই ভাবনাগুলিকে পাত্তাই দিবেননা।
এগুলো বিতাড়িত শয়তান এর পক্ষ থেকে ওয়াসওয়াসা। 
তই বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...