ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কারো নামের সাথে যদি মুহাম্মদ তথা নবীজীর নাম থাকে, তাহলে তার নাম শুনলে দরূদ পড়তে হবে না।
(২)
ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,
ﻭﻳﻠﺰﻡ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻃﺎﻋﺔ ﻭﺍﻟﺪﻳﻪ ﻓﻲ ﻏﻴﺮ ﺍﻟﻤﻌﺼﻴﺔ ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻧﺎ ﻓﺎﺳﻘﻴﻦ ... ﻭﻫﺬﺍ ﻓﻴﻤﺎ ﻓﻴﻪ ﻣﻨﻔﻌﺔ ﻟﻬﻤﺎ ، ﻭﻻ ﺿﺮﺭ ﻋﻠﻴﻪ " ﺍﻧﺘﻬﻰ .
মাতাপিতা আদেশ নিষেধের অনুসরণ সন্তানের জন্য তখনই ওয়াজিব যখন তা কোনো গোনাহের কাজ হবে না।যদি ও তারা ফাসিক হোক না কেন? উপরোক্ত হুকুম তখনই যখন তা মাতাপিতার জন্য ফায়দাদায়ক হবে,এবং সন্তানের জন্য কোনো ক্ষতির কারণ হবে না।(সন্তানের জন্য ক্ষতির কারণ হলে শরীয়ত কর্তৃক বৈধ জিনিষেও মাতাপিতার অনুসরণ ওয়াজিব হবে না)(আল-ইখতিয়ারাত-১১৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1722
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যিকির পড়তে গিয়ে মায়ের "না পড়ার" অাদেশকে অমান্য করাতে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
(৩)
হত্যার শাস্তি জাহান্নাম। তাদেরকে সামর্থ্যানুযায়ী বাধা দিবেন। তবে ফিতনা ফাসাদের আশংকা থাকলে সর্বশেষ অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবেন। তাদের সাথে ঝগড়া বাধানো ঠিক হবে না।হ্যা, তাদেরকে চিহ্নিত করে আপনি প্রশাসন বিভাবে নালিশ করতে পারবেন।যদি তারা আগ বাড়িয়ে তাদের সাথে ঝগড়া করতে আপনাকে মজবুর করে ফেলে, তাহলে তখন তাদের সাথে ঝগড়া করা নাজায়েয হবে না।
(৪)
বর্তমান পরিস্থিতিতে এভাবে আইনকে তুলে নেয়া জায়েয হবে না।
(৫)
প্রশ্নটি অস্পষ্ট। গোনাহ করার পর সাথে সাথেই তাওবাহ করতে হবে, নতুবা দেড়ী করার কারণে আল্লাহকে বলতে হবে, হে আল্লাহ! আমি গোনাহ করেছি এবং দেড়ী করেছি, সবগুলোর জন্য তাওবাহ করতেছি।একসাথে মাফ চাচ্ছি।এভাবে বললেই হবে।
(৬)
সে যেকোনো মাযহাবকে মানতে পারবে।তবে আগাগোড়া একটি মাযহাবকেই মানতে হবে। হ্যা, সে যদি প্রবৃত্তির অনুসরণ না করে,মাযহাবকে বদলায়,তাহলে সে হকপহ্নী হিসেবে বিবেচিত হবে।
(৭)
সালাফি ভালো মানের আলেম সম্পর্কে পুরোপরি বলতে পারবো না।আপনি সালাফি কোনো আলেমকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন।
(৮)
জ্বী , এটা শুধু জায়েয না বরং জরুরী।
(৯)
জ্বী, করা যাবে।তবে উত্তম হল, একাগ্রতার সাথে যিকির করা।
(১০)
জ্বী, চশমা পড়া জায়েয।